বেতন-বোনাসের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঈদের আগেই রাজপথে নামতে পারে – এমন আশঙ্কা আগেই করেছিল খোদ গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ৷ এই তালিকায় সহস্রাধিক গার্মেন্টস ছিল৷ ঈদ যতই এগিয়ে আসছে শ্রমিকদের আন্দোলন ততই বাড়ছে৷
বিজ্ঞাপন
বুধবারও সকালে বিজিএমইএ ঘেরাও করেছিল একটি গার্মেন্টসের ৫ শতাধিক শ্রমিক৷ আর দুপুরে বেতন ভাতার দাবিতে রাস্তায় নামা গার্মেন্টস শ্রমিকদের সঙ্গে বাড্ডায় পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে৷ এখন প্রতিদিনই কোনো না কোনো গার্মেন্টসের শ্রমিকরা রাজপথে বিক্ষোভ করছে৷ পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের বুঝিয়ে তুলে দিচ্ছেন৷ কিন্তু এভাবে কতদিন? পুলিশও বলছে, সামনে আরো কঠিন সময় আসছে৷ শ্রমিকরা কাজ করেছে, তারা পাওনা চায়৷ তাদের এ দাবি যৌক্তিক৷ মালিকরা শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ঠিক মতো না দিলে সামনের সময়ে আরো খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের৷
বিজিএমইএ-র সভাপতি আতিকুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শ্রমিকরা কাজ করেছে৷ তারা পাওনা চায়, এটাই স্বাভাবিক৷ আমিও শ্রমিক হলে তাদের মতোই পাওনা চাইতাম৷ কিন্তু বিজিএমইএ তো শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে পারে না৷ শ্রমিকদের পাওনা ওই প্রতিষ্ঠানের মালিককেই দিতে হবে৷ এ ক্ষেত্রে বিজিএমইএ মধ্যস্থতা করে দিতে পারে৷ সরকারকেও ভূমিকা নিতে হবে৷ শুধু বিজিএমইএ-র উপর দায় চাপিয়ে দিলেই হবে না৷''
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-র হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ শিশু-কিশোরকে খনি, কারখানা ও কৃষিখাতের বিভিন্ন চরম প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ
১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলো একটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করে৷ সেখানে ১৮ বছরের কমবয়সি শিশু-কিশোরদের শ্রমিক কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানোর বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়৷
ছবি: imago/Michael Westermann
তোয়ালে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে তোয়ালে তৈরির কারখানায় কাজ করে এই শিশুটি৷ আইএলও-র হিসাবে এশিয়ায় প্রায় সাত কোটি ৮০ লাখ শিশু কাজ করছে৷ অর্থাৎ ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশু-কিশোরের প্রায় ১০ শতাংশ কাজেকর্মে নিয়োজিত৷
ছবি: imago/imagebroker
দিনে ৬৫ টাকা
লেখাপড়ার পরিবর্তে এই শিশুটি ইট তৈরি করছে৷ চরিম দরিদ্রতার কারণে ভারতের অনেক পরিবার তাদের শিশুদের কাজে পাঠিয়ে থাকে৷ দিন প্রতি মাত্র ৮০ সেন্ট, অর্থাৎ প্রায় ৬৫ বাংলাদেশি টাকা পায় তারা৷ এ জন্য তাদের কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়৷
ছবি: imago/Eastnews
সস্তা শ্রম
ভারতের সবশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় এক কোটি ২৬ লাখ শিশু-কিশোর শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে৷ তারা পণ্য বিক্রি থেকে শুরু করে রান্না করা, রেস্টুরেন্ট পরিষ্কার করা – সব কাজই করে৷ এমনকি ইট কাটা, মাঠে তুলা তোলা ইত্যাদি কাজও করে থাকে শিশুরা৷
ছবি: imago/imagebroker
অমানবিক অবস্থা
২০১৩ সালে প্রকাশিত আইএলও-র একটি প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের শিশু শ্রমিকদের প্রায় অর্ধেক বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করে৷ তাদের অধিকাংশকেই কোনোরকম চুক্তিপত্র ও চাকরির অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই কাজ করতে হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
‘মেড ইন বাংলাদেশ’
জাতিসংঘের শিশু কল্যাণ সংস্থা ইউনিসেফ-এর হিসাবে, বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লক্ষ শিশু-কিশোর তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করে৷
ছবি: imago/Michael Westermann
কম্বোডিয়ার পরিস্থিতি
কম্বোডিয়ায় স্কুল পড়ুয়া শিশু-কিশোরের সংখ্যা অনেক কম৷ বেশিরভাগই তাদের মা-বাবার সঙ্গে কাজ করে৷ এছাড়া হাজার হাজার শিশু রাস্তায় বাস করে কম্বোডিয়ায়৷ এই যেমন এই শিশুটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি
২০০০ সালের পর বিশ্বব্যাপী শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমলেও এশিয়ার অনেক দেশ যেমন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারে পরিস্থিতির এখনও ততটা উন্নতি হয়নি৷
ছবি: AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজিএমইএ-র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল৷ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী গার্মেন্টস মালিকদের দ্রুত পাওনা পরিশোধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন৷ এর আগে শ্রম প্রতিমন্ত্রী, বিজিএমইএ-র প্রতিনিধি ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানে ২৬শে জুলাইয়ের মধ্যে সব গার্মেন্টসের শ্রমিকদের পাওনা বেতন ও বোনাস পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়৷ কিন্তু ২৬শে জুলাই চলে এলেও অনেক গার্মেন্টসে বেতন-বোনাস বাকি৷ শ্রমিক নেতারাও মালিকদের হুশিয়ার করে বলেছেন, তারা ওই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন৷ বেতন-বোনাস না দিলে শ্রমিকরা সবাই রাজপথে নেমে আসবেন৷
বুধবার তুবা গ্রুপের প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক অবরুদ্ধ করে রাখে বিজিএমইএ ভবন৷ কিন্তু বিজিএমইএ নেতারা তাদের বেতন-বোনাসের ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে পারেনি৷ বিজিএমইএ-র সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘তুবা গ্রুপের মালিক তাজরীনের দুর্ঘটনার মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন৷ তাই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়া সম্ভব হচ্ছে না৷'' তিনি আরও বলেন, ব্যাবসা করে ব্যাংক আর ব্যবসায়ী৷ ব্যবসায়ী বিপদে পড়লে ব্যাংকের এগিয়ে আসার কথা৷ কিন্তু তুবা গ্রুপের মালিক দেলোয়ার হোসেন কারাগারে থাকায় ব্যাংক তাঁর পক্ষে টাকা দিতে রাজি হচ্ছে না৷
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘ওই প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার শ্রমিক৷ তাদের পাওনা বকেয়া ৭ কোটি টাকার মতো৷ তুবার সব যন্ত্রপাতি বিক্রি করলেও ৭ কোটি টাকা হবে না৷ শ্রমিকরা কাজ করেছে তারা বেতন তো চাইবেই৷ কিন্তু এত টাকা কী ভাবে দেয়া হবে, সে বিষয়টি শ্রম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে৷ দেখি তারা কী সিদ্ধান্ত দেন৷'' তিনি বলেন, এই সেক্টরে ৪৪ লাখ শ্রমিক কাজ করেন৷ সবাইকেই ঈদের আগে বেতন বোনাস দিতে হবে৷ সেভাবেই তারা কাজ করছেন৷ তিনি আশা করছেন, ২৬শে জুলাইয়ের মধ্যে সব ফ্যাক্টরি তাদের শ্রমিকদের পাওনা দিয়ে দেবে৷
পোশাক শিল্পে শ্রমশোষণ: ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশ
দু মুঠো অন্নের সংস্থান করতে রানা প্লাজায় গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছিলেন এগোরো শ-রও বেশি মানুষ৷ যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের অনেকেরই বাকি জীবন কাটবে দুর্বিষহ কষ্টে৷ পোশাক শ্রমিকদের জীবনের এই নির্মমতার ইতিহাস কিন্তু অনেক দীর্ঘ৷
ছবি: DW/M. Mohseni
বৈশ্বিক শিল্প
প্রতিটি পোশাকে মিশে থাকে শ্রমিকের শ্রম-রক্ত-ঘাম৷ ১৯৭০-এর দশক থেকে ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো এশিয়া আর ল্যাটিন অ্যামেরিকার কিছু দেশ থেকে পোশাক কিনতে শুরু করে৷ খুব কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায় বলে দাম পড়ে কম, লাভ হয় বেশি৷ এমন সুযোগ ছাড়ে তারা! কম টাকায় পণ্য কিনবেন, ছবির মতো পোশক তৈরি হবে মিষ্টির দোকানে – তারপর আবার শ্রমিকের অধিকাররক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ করবেন – তাও কি হয়!
ছবি: picture-alliance/dpa
সবার জন্য পোশাক
বড় আঙ্গিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পোশাক তৈরি প্রথম শুরু হয়েছিল ব্রিটেনে, অষ্টাদশ শতাব্দীর সেই শিল্পবিপ্লবের সময়টাতে৷ এখন বিশ্বাস করতে অনেকের হয়ত কষ্ট হবে, তবে ইতিহাস বলছে, শিল্পবিপ্লবের ওই প্রহরে ব্রিটেনের লন্ডন আর ম্যানচেস্টারও শ্রমিকদের জন্য ছিল আজকের ঢাকার মতো৷ শতাধিক কারখানা ছিল দুটি শহরে৷ শিশুশ্রম, অনির্ধারিত কর্মঘণ্টার সুবিধাভোগ, অল্প মজুরি, কারখানার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ – সবই ছিল সেখানে৷
ছবি: gemeinfrei
সেই যুক্তরাষ্ট্র এখন কর্তৃত্বে
যুক্তরাষ্ট্রেও পোশাকশ্রমিকরা স্বর্গসুখে ছিলেন না সব সময়৷ সেখানেও এক সময় কারখানায় আগুন লাগলে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ভেতরে রেখেই সদর দরজায় তালা লাগাতো৷ ১৯১১ সালে তাই নিউ ইয়র্কের ট্রায়াঙ্গেল শার্টওয়েস্ট ফ্যাক্টরিতে পুড়ে মরেছিল ১৪৬ জন শ্রমিক৷ মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন নারী৷ মজুরি, কর্মঘণ্টা, কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা – কোনো কিছুই এশিয়ার এখনকার কারখানাগুলোর চেয়ে ভালো ছিল না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পোশাক শিল্পে চীন বিপ্লব
পোশাক রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চলছে সবচেয়ে কম খরচে পোশাক তৈরির প্রতিযোগিতা৷ রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থা সবচেয়ে ভালো৷ রপ্তানি সবচেয়ে বেশি, শ্রমিকদের মজুরিও খুব ভালো৷ চীনে একজন পোশাক শ্রমিক এখন মাস শেষে ৩৭০ ইউরো, অর্থাৎ, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৭ হাজার টাকার মতো পেয়ে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শ্রমশোষণ কাকে বলে...
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর সুমাংগলি৷ তামিল শব্দ ‘সুমাংগলি’-র অর্থ, ‘যে নববধু সম্পদ বয়ে আনে’৷ এলাকায় পোশাক এবং সুতা তৈরির প্রশিক্ষণের নামে খাটানো হয় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মেয়েকে৷ দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে তাঁরা হাতে পান ৬০ ইউরো সেন্ট, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় ৬০ টাকা৷ সে হিসেবে মাস শেষে পান ১৮০০ টাকা৷ টাকাটা তাঁদের খুব দরকার৷ বিয়ের সময় বাবাকে তো যৌতুক দিতে হবে!
ছবি: picture-alliance/Godong
অধিকার আদায়ের করুণ সংগ্রাম
কম্বোডিয়াতেও অবস্থা খুব খারাপ৷ ৩ লক্ষের মতো পোশাক শ্রমিক আছে সে দেশে৷ কাজের পরিবেশ আর অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন? মাসিক বেতন মাত্র ৫০ ইউরো, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় বড় জোর ৫ হাজার টাকা৷ মালিকের কাছে শ্রমিকদের মানুষের মর্যাদা প্রাপ্তি সৌভাগ্যের ব্যাপার৷ মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মিছিলে নেমে শ্রমিকরা মালিকপক্ষের গুলিতে মরেছেন – এমন দৃষ্টান্তও আছে সেখানে৷
ছবি: Reuters
ট্র্যাজেডি
গত ২৪শে এপ্রিল বাংলাদেশের রানা প্লাজা ধসে পড়ায় মারা যান ১১শ-রও বেশি তৈরি পোশাককর্মী৷ দেয়ালে ফাটল ধরার পরও সেখানে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এতগুলো জীবন শেষ হওয়াকে বিশ্বের কোনো দেশই ভালো চোখে দেখেনি৷ ঘটনার পর জার্মানির এইচঅ্যান্ডএম, কেআইকে এবং মেট্রোসহ বিশ্বের ৮০টির মতো পোশাক কোম্পানি শ্রমিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পোশাক রপ্তানিকারী কারখানাগুলোর সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷
ছবি: Reuters
আলোয় ঢাকা আঁধার
অভিজাত বিপণিবিতান কিংবা দোকানের পরিপাটি পরিবেশে ঝলমলে আলোয় ঝিকমিক করে থরে থরে সাজানো বাহারি সব পোশাক৷ দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায়৷ ক্রেতাদের ক’জনের মনে পড়ে রানা প্লাজা কিংবা অতীতের ব্রিটেন বা যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্যাহতদের কথা?
ছবি: DW/M. Mohseni
8 ছবি1 | 8
আন্দোলনকারী তুবা গ্রুপের শ্রমিক নাছিমা আক্তার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা মে মাস থেকে বেতন ভাতা পাই না৷ ঈদ চলে এলেও বোনাস পাচ্ছি না৷ খেয়ে না খেয়ে অর্ধাহারে আমাদের দিন কাটছে৷ এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি৷ কোনো আলোচনায় আর কাজ হবে না, আমরা বেতন-বোনাস চাই৷ না দিলে ফিরব না৷''
বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি রিয়াজ-বিন-মাহমুদ বলেছেন, ‘‘বিজিএমইএ সভাপতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছেন কী ভাবে তাদের বেতন-বোনাস দেয়া যায়৷ সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কারখানার ফ্লোর বিক্রির প্রস্তাবও রাখা হয়েছে৷ আশা করছি অতি শিগগির এ সমস্যার সমাধান হবে৷''
রোজা শুরুর আগে গত ২৫শে জুন গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এক জরিপ প্রকাশ করে বলেছিল, ঈদে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিয়ে জটিলতায় পড়তে পারে অন্তত ১ হাজার গার্মেন্টস কারখানা৷ তখন সরকার ও মালিক পক্ষ বলেছিল, এ সব কারখানার বেতন-বোনাস নিয়ে সৃষ্ট অসন্তোষ যাতে বড় আকারের শ্রম অসন্তোষে রূপ না নেয়, তা নিয়ে তাঁরা সতর্ক আছেন৷ ওই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে করণীয় ঠিক করতে একাধিক বৈঠকও হয়েছে৷ কিন্তু তারপরও পাওনা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা৷