ঈদ উল আজহার আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও বোনাস পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হলেও, আশ্বস্ত হওয়া যাচ্ছে না৷ কারণ তুবা-গ্রুপসহ বেশ কিছু পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এখনও ঈদ উল ফিতরের বোনাস পাননি, রয়েছে বকেয়া বেতনও৷
বিজ্ঞাপন
ঈদ উল আজহা ও দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে দেশের সব পোশাক কারখানায় ২৮শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্সব ভাতা (বোনাস) এবং ২রা অক্টোবরের মধ্যে চলতি মাসের বেতন পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ রবিবার সচিবালয়ে গার্মেন্ট মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি'-র সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু জানিয়েছেন, ‘‘ঈদ ও পূজা উপলক্ষ্যে শ্রমিকরা যাতে সঠিক সময়ে বেতন-ভাতা পান, সে বিষয়ে বৈঠকে সবাই একমত হয়েছেন৷ ব্যাংকগুলোর প্রতি অনুরোধ, তারা যেন মালিকদের এ বিষয়ে সহায়তা করে৷''
পোশাক শিল্পে শ্রমশোষণ: ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশ
দু মুঠো অন্নের সংস্থান করতে রানা প্লাজায় গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছিলেন এগোরো শ-রও বেশি মানুষ৷ যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের অনেকেরই বাকি জীবন কাটবে দুর্বিষহ কষ্টে৷ পোশাক শ্রমিকদের জীবনের এই নির্মমতার ইতিহাস কিন্তু অনেক দীর্ঘ৷
ছবি: DW/M. Mohseni
বৈশ্বিক শিল্প
প্রতিটি পোশাকে মিশে থাকে শ্রমিকের শ্রম-রক্ত-ঘাম৷ ১৯৭০-এর দশক থেকে ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো এশিয়া আর ল্যাটিন অ্যামেরিকার কিছু দেশ থেকে পোশাক কিনতে শুরু করে৷ খুব কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায় বলে দাম পড়ে কম, লাভ হয় বেশি৷ এমন সুযোগ ছাড়ে তারা! কম টাকায় পণ্য কিনবেন, ছবির মতো পোশক তৈরি হবে মিষ্টির দোকানে – তারপর আবার শ্রমিকের অধিকাররক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ করবেন – তাও কি হয়!
ছবি: picture-alliance/dpa
সবার জন্য পোশাক
বড় আঙ্গিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পোশাক তৈরি প্রথম শুরু হয়েছিল ব্রিটেনে, অষ্টাদশ শতাব্দীর সেই শিল্পবিপ্লবের সময়টাতে৷ এখন বিশ্বাস করতে অনেকের হয়ত কষ্ট হবে, তবে ইতিহাস বলছে, শিল্পবিপ্লবের ওই প্রহরে ব্রিটেনের লন্ডন আর ম্যানচেস্টারও শ্রমিকদের জন্য ছিল আজকের ঢাকার মতো৷ শতাধিক কারখানা ছিল দুটি শহরে৷ শিশুশ্রম, অনির্ধারিত কর্মঘণ্টার সুবিধাভোগ, অল্প মজুরি, কারখানার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ – সবই ছিল সেখানে৷
ছবি: gemeinfrei
সেই যুক্তরাষ্ট্র এখন কর্তৃত্বে
যুক্তরাষ্ট্রেও পোশাকশ্রমিকরা স্বর্গসুখে ছিলেন না সব সময়৷ সেখানেও এক সময় কারখানায় আগুন লাগলে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ভেতরে রেখেই সদর দরজায় তালা লাগাতো৷ ১৯১১ সালে তাই নিউ ইয়র্কের ট্রায়াঙ্গেল শার্টওয়েস্ট ফ্যাক্টরিতে পুড়ে মরেছিল ১৪৬ জন শ্রমিক৷ মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন নারী৷ মজুরি, কর্মঘণ্টা, কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা – কোনো কিছুই এশিয়ার এখনকার কারখানাগুলোর চেয়ে ভালো ছিল না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পোশাক শিল্পে চীন বিপ্লব
পোশাক রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চলছে সবচেয়ে কম খরচে পোশাক তৈরির প্রতিযোগিতা৷ রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থা সবচেয়ে ভালো৷ রপ্তানি সবচেয়ে বেশি, শ্রমিকদের মজুরিও খুব ভালো৷ চীনে একজন পোশাক শ্রমিক এখন মাস শেষে ৩৭০ ইউরো, অর্থাৎ, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৭ হাজার টাকার মতো পেয়ে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শ্রমশোষণ কাকে বলে...
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর সুমাংগলি৷ তামিল শব্দ ‘সুমাংগলি’-র অর্থ, ‘যে নববধু সম্পদ বয়ে আনে’৷ এলাকায় পোশাক এবং সুতা তৈরির প্রশিক্ষণের নামে খাটানো হয় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মেয়েকে৷ দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে তাঁরা হাতে পান ৬০ ইউরো সেন্ট, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় ৬০ টাকা৷ সে হিসেবে মাস শেষে পান ১৮০০ টাকা৷ টাকাটা তাঁদের খুব দরকার৷ বিয়ের সময় বাবাকে তো যৌতুক দিতে হবে!
ছবি: picture-alliance/Godong
অধিকার আদায়ের করুণ সংগ্রাম
কম্বোডিয়াতেও অবস্থা খুব খারাপ৷ ৩ লক্ষের মতো পোশাক শ্রমিক আছে সে দেশে৷ কাজের পরিবেশ আর অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন? মাসিক বেতন মাত্র ৫০ ইউরো, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় বড় জোর ৫ হাজার টাকা৷ মালিকের কাছে শ্রমিকদের মানুষের মর্যাদা প্রাপ্তি সৌভাগ্যের ব্যাপার৷ মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মিছিলে নেমে শ্রমিকরা মালিকপক্ষের গুলিতে মরেছেন – এমন দৃষ্টান্তও আছে সেখানে৷
ছবি: Reuters
ট্র্যাজেডি
গত ২৪শে এপ্রিল বাংলাদেশের রানা প্লাজা ধসে পড়ায় মারা যান ১১শ-রও বেশি তৈরি পোশাককর্মী৷ দেয়ালে ফাটল ধরার পরও সেখানে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এতগুলো জীবন শেষ হওয়াকে বিশ্বের কোনো দেশই ভালো চোখে দেখেনি৷ ঘটনার পর জার্মানির এইচঅ্যান্ডএম, কেআইকে এবং মেট্রোসহ বিশ্বের ৮০টির মতো পোশাক কোম্পানি শ্রমিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পোশাক রপ্তানিকারী কারখানাগুলোর সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷
ছবি: Reuters
আলোয় ঢাকা আঁধার
অভিজাত বিপণিবিতান কিংবা দোকানের পরিপাটি পরিবেশে ঝলমলে আলোয় ঝিকমিক করে থরে থরে সাজানো বাহারি সব পোশাক৷ দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায়৷ ক্রেতাদের ক’জনের মনে পড়ে রানা প্লাজা কিংবা অতীতের ব্রিটেন বা যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্যাহতদের কথা?
ছবি: DW/M. Mohseni
8 ছবি1 | 8
মন্ত্রী বলেন, ‘‘শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিবহনের ক্ষেত্রে পুলিশ সহযোগিতা করবে, পুলিশের সহযোগিতা নিতে আমরা মালিকদের অনুরোধ করেছি৷ শ্রমিকদের বেতন-ভাতা যাতে কোনোভাবে মিসিং না হয়৷''
তিনি জানান, শ্রমিকরা যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতা পান – সেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণে পোশাক শিল্প এলাকায় চারটি মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে৷ সেল থেকে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পরিদর্শন টিমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷ এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় শিল্প পুলিশ, থানা এবং বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ-এর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে৷
তবে সরকারের এই উদ্যোগে পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছে না পোশাক শ্রমিকরা৷ কারণ বেশ কিছু পোশাক কারখানায় এখনো ঈদ উল ফিতরের বোনাসই দেয়া হয়নি৷ আর বেতনও বাকি পড়েছে৷ মিরপুরের আকিক এ্যাপরেলস সেরকমই একটি পোশাক কারখানা৷ কারখানার শ্রমিকরা গত আগস্ট এবং চলতি মাসের বেতন ও বোনাসের দাবিতে দু'দিন পোশাক কারখানার সামনে অবস্থান নেয়৷
কারখানার শ্রমিকরা জানান, গত মাসের মজুরি দিতে মালিকপক্ষ ১০, ১২ ও ১৮ই সেপ্টেম্বর সময় দেয়৷ তবে শেষ পর্যন্ত মজুরি না দিলে শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন৷ এরপর শ্রমিকরা শনিবার দুপুরের পর পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান নেন৷ পরে রাতে বিজিএমইএ-র উদ্যোগে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়৷
সমঝোতা অনুযায়ী, আকিক এ্যাপরেলস-এর শ্রমিকদের ২৫শে সেপ্টেম্বর গত মাসের মজুরি দেওয়া হবে৷ এছাড়া ৩রা অক্টোবর চলতি মাসের মজুরির ৫০ শতাংশ ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করবে মালিকপক্ষ৷ তবে শ্রমিকরা মনে করেন, শেষ পর্যন্ত মালিক পক্ষ এই চুক্তি মানেন কিনা – তা বলা যায় না৷ কারণ বাকি ৫০ শতাংশ মজুরি কবে দেয়া হবে তা নিশ্চিত করে বলেনি মালিকপক্ষ৷
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির বর্ষপূর্তি
২৪শে এপ্রিল, ২০১৩৷ সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছের সুউচ্চ ভবন ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ল বিকট শব্দে৷ ধসের আশঙ্কাকে আমলে না নেয়ার পরিণাম ১,১৩৫ জন পোশাক শ্রমিক, করুণ মৃত্যু৷ আহত এক হাজারেরও বেশি মানুষের এখনো দিন কাটে আতঙ্কে৷
ছবি: DW/M. Mamun
বাঁচা আর বাঁচানোর লড়াই
ভবন মালিক সোহেল রানার অর্থলিপ্সার নির্মম শিকার পোশাক শ্রমিকদের বাঁচানোর জন্য সরকারি উদ্যোগের অপেক্ষায় বসে থাকেননি সাধারণ মানুষ৷ দূর দূরান্ত থেকে ছুটে এসে একরকম খালি হাতেই অনেকে নেমে পড়েন উদ্ধার কাজে৷ নিজেদের প্রাণ বাজি রেখে বহু পোশাক শ্রমিককে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে আনেন তাঁরা৷
ছবি: Reuters
অসহায়ত্ব
আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সুযোগ-সুবিধার অভাব থাকলেও, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীর কমতি ছিল না৷ তবুও অনেকেই চলে গেছেন স্বজনদের কাঁদিয়ে৷ এ ছবির মতো অবস্থাতেও উদ্ধার করতে হয়েছে অনেক মৃতদেহ৷ ৮০০-রও বেশি মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা গেলেও, অনেকের পরিচয় আজও জানা যায়নি৷ কিছু লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে৷ কিন্তু ৮৭ জনের জন্য নতুন করে নমুনা চাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রেশমার ফেরা
রানা প্লাজা ধসের ১৭তম দিনে ঘটে বিস্ময়কর এক ঘটনা৷ ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে আর কাউকে জীবন্ত উদ্ধার করা সম্ভব নয় ভেবে সাধারণ উদ্ধারকারীদের অনেকে যখন ঘরে ফিরছেন, তখনই প্রায় সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ২২ বছর বয়সি পোশাক শ্রমিক রেশমাকে৷
ছবি: Reuters
এখনো কাঁদে প্রাণ
ধসের পর ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন অনেকে৷ বিজিএমইএ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিয়েছে মাত্র ১৪ কোটি টাকা৷ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১২৭ কোটি টাকা জমা হয়েছে ঠিকই, তবে বিতরণ করা হয়েছে ২২ কোটি টাকা৷ ভবন ধসের বর্ষপূর্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মুখে শোনা গেছে হতাশা আর ক্ষোভের কথা৷ পপি বেগমকে কেড়ে নিয়েছে রানা প্লাজা৷ ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে তাঁর কবর জিয়ারত করতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন বোন রোজিনা৷
ছবি: DW/M. Mamun
মায়ের কান্না
জুরাইন কবরস্থানে রশিদা খাতুনের কবরের পাশে সফুরা খাতুন৷ ভবন ধসের প্রায় দশ মাস পর, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি পেয়েছিলেন সন্তানের লাশ খুঁজে পাওয়ার সান্ত্বনা৷
জুরাইন কবরস্থানে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করতে মূলত তাঁদের পরিবারের সদস্যরাই এসেছিলেন৷ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির বর্ষপূর্তিতে আয়োজন ছিল অনেক, তবে জুরাইন কবরস্থানে ভিড় ছিল না তেমন৷ সেখানে এভাবেই হারানো স্বজনের ছবি হাতে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছিলেন এক নারী৷
ছবি: DW/M. Mamun
প্রদর্শনী
রানা প্লাজা ধসের ছবি নিয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী৷ বাংলাদেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ৬০ জন আলোকচিত্র সাংবাদিকের তোলা ছবি স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে৷
ছবি: DW/M. Mamun
ফুলের জলসা
রানা প্লাজা ধসে নিহতদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে বেশ কিছু শ্রমিক সংগঠন৷
ছবি: DW/M. Mamun
মোনাজাত
জুরাইন কবরস্থানে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত৷
ছবি: DW/M. Mamun
10 ছবি1 | 10
অন্যদিকে, তুবা গ্রুপের শ্রমিকরা এখানো ঈদ উল ফিতরের বোনাস পাননি৷ অনশনের মুখে তাঁদের বকেয়া বেতন দিয়ে মালিকপক্ষ কারাখানা বন্ধ করে দিয়েছে৷ ভাতা এবং বোনাসও দেয়নি৷
এ বিষয়ে শ্রমপ্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে এ বিষয়ে আমাদের চেষ্টা চলমান আছে৷ আশা করি, তুবার শ্রমিকরা ঈদের আগে তাঁদের পাওনা পাবেন৷ আলোচনা করছি কিছু একটা করতে পারব৷''
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ঈদ উল ফিতরের সময় শতকরা ২০ ভাগ পোশাক কারখানা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা এবং বোনাস দেয়নি৷ আর সেসব কারখানার বড় একটি অংশ এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে৷''
তিনি আশঙ্কা করেন, ‘‘এবারও বেশ কিছু কারখানা বেতন-ভাতা দিতে পারবে না৷ তাই সরকারের উচিত হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করা৷''
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘তুবা গ্রুপের শ্রমিকরা এখানো ঈদ উল ফিতরের বোনাস এবং ভাতা পাননি, যা দুঃখজনক৷ এই ঈদের আগে তাঁদের বোনাস-ভাতা এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি৷''
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আগামী ৫ থেকে ৭ই অক্টোবর ঈদের সরকারি ছুটি হওয়ার কথা৷ তার আগে ৪ঠা অক্টোবর রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিজয়া দশমীর ছুটি৷