বেনজির ভুট্টোর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে কড়া নিরাপত্তা
২৭ ডিসেম্বর ২০০৯পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্রোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর সঙ্গে এবারের কোন মিল ছিল না৷ গত বছর বেনজিরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর সমাধিস্থলে নেমেছিল লাখো মানুষের ঢল৷ ফুলে ফুলে ছেয়ে গিয়েছিল তাঁর সমাধি৷ আর এবার গারহি খুধা বাখশ এলাকায় মানুষের ঢল নামতে পারেনি৷ কারণ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ সরকারী কর্মকর্তা ও শীর্ষ রাজনীতিকদের বাদে আর কাউকেই সমাধি চত্ত্বরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ হাজার হাজার সমর্থক বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, অপেক্ষায় ছিলেন যদি অনুমতি মেলে৷ কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থেকেও কোন লাভ হয়নি৷ অনেকে এজন্য ক্ষোভও প্রকাশ করেন৷
এদিকে বেনজিরের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁর স্বামী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি৷ প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরাও এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন৷ তার আগে শনিবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বেনজির পরিবারের তিন সন্তান তাদের মায়ের সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন৷ সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জুলফিকার তুনিও জানিয়েছেন, ভুট্টো পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এবার এত কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের এই দিনে রাওয়ালপিন্ডিতে এক জনসভা শেষে ফেরার সময় এক আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারান বেনজির ভুট্টো৷
সরকারী কর্মকর্তার ওপর বোমা হামলা
এদিকে পাকিস্তানের কুরাম উপজাতি এলাকায় বোমা হামলায় এক সরকারী কর্মকর্তা সপরিবারে নিহত হয়েছেন৷ বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে নিহত সরকারী কর্মকর্তার নাম সারফাজ খান৷ তিনি সাদা শহরে থাকতেন৷ স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বোমা হামলা চালানো হয় সারফাজ খানের বাড়িতে৷ হামলায় নিহত হন সারফাজ খান, তাঁর স্ত্রী ও চার সন্তান৷ এছাড়া আরও একটি মেয়ে আহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ কোন দল এই ঘটনার জন্য দায়িত্ব স্বীকার না করলেও এজন্য তালেবান জঙ্গিদের সন্দেহ করা হচ্ছে৷ এদিকে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় ১৩ তালেবান জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের কর্মকর্তারা৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার