1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেনামে ইন্টারনেট ব্যবহার

মার্টিন রডেভিশ / এআই১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ডার্কনেটকে তুলনা করা যেতে পারে অন্ধকারাচ্ছন্ন আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে, যা সার্চ ইঞ্জিনেরও আওতার বাইরে৷ অস্ত্র, ড্রাগ, পর্নোগ্রাফি – ডার্কনেট ব্যবহারকারীরা বেআইনি সাইটেও প্রবেশ করতে পারেন৷ তারা বেনামে ব্রাউজ করেন৷

#46462768 - Computerkriminalität © Amir Kaljikovic
ছবি: Fotolia/Amir Kaljikovic

ডার্কনেট বা বেনামে ইন্টারনেট ব্যবহারের অন্যতম উপায় হচ্ছে টোর নেটওয়ার্ক৷ এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বেনামে ইন্টারনেটে প্রবেশ করা যায়৷ টিলমান ফ্রশ বোখুম-এর হর্স্ট গ্যোরৎস ইন্সটিটিউট ফর আইটি সিকিউরিটি-তে কাজ করেন৷ সেখানে তিনি টোর সার্ভার দেখাশোনা করেন৷ টিলমান ফ্রশ বলেন, ‘‘আমরা মূলত গবেষণার কাজে টোর ব্যবহার করি৷''

টোর সার্ভারে প্রবেশের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রথমে একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করেন৷ এই সফটওয়্যার ব্যবহারকারীকে ক্রমাগত দুনিয়ার বিভিন্ন টোর সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত এবং বিচ্ছিন্ন করে৷ এভাবে পরিচয় গোপন করা হয়৷

গত নভেম্বরে বন শহরে আয়োজিত আইটি নিরাপত্তা সম্মেলন (উদ্যোক্তা: ডয়চে টেলিকম)ছবি: Deutsche Telekom AG/Norbert Ittermann

স্বাভাবিকভাবেই অপরাধীদের জন্য এটি আদর্শ ব্যবস্থা হলেও অন্যরাও এটি ব্যবহার করতে পারেন৷ মার্কিন সামরিক বাহিনী, মানবাধিকার কর্মী এবং যারা রাজনৈতিক কারণে নিপীড়নের শিকার, তারাও টোর ব্যবহার করেন৷

২০১১ সালে মিশরে গণআন্দোলনের সময় টোর-এর কার্যকারিতা বোঝা গিয়েছিল৷ আরব বসন্তের সময় মুবারক সরকার ইন্টারনেটের উপরে নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা করেছিল৷ উদ্দেশ্য ছিল, তরুণ প্রজন্ম যেন ফেসবুক ব্যবহার করে আন্দোলনের আয়োজন করতে না পারে৷ তখন মিশরে টোর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যায়৷

বেনামে বা ছদ্মনামে ইন্টারনেট ব্যবহারের আরেকটি উপায় ফ্রিনেট৷ এই নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীরা সবাই নিজেদের কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভের কিছু অংশ দান করে দেন৷ এভাবে তাদের কম্পিউটারগুলোও বেনামি ডার্কনেটের অংশ হয়ে যায়৷ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ফ্লোরঁ ডেনিয়ে এই নেটওয়ার্ক তৈরিতে সহায়তা করেছেন৷ এই ফরাসি দিনের বেলা একজন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন, যেখানে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সংবেদনশীল তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণের উপায় দেখান৷ আর রাতের বেলা তিনি ফ্রিনেটের জন্য কাজ করেন৷

ফ্লোরঁ ডেনিয়ে বলেন, ‘‘ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের জন্য একটি সেন্সরমুক্ত, নিরাপদ এবং বেনামি নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা করাই ছিল ফ্রিনেটের উদ্দেশ্য৷''

আর এটাই ফ্রিনেটকে জনপ্রিয় করে তুলেছে, বিশেষ করে ফাইল শেয়ারকারীদের মধ্যে৷ পরিচিত ফাইল শেয়ারিং ওয়েবসাইটগুলো ইন্টারনেটে সহজেই দেখা যায়৷ কিন্তু ফ্রিনেটে তারা গোপন থাকতে পারে৷ অনেক ফাইল শেয়ারিং ওয়েবসাইটে অবৈধ পাইরেটেড কন্টেন্ট রয়েছে৷ কিন্তু এটা ফ্রিনেটের স্রষ্টাদের জন্য কোনো সমস্যা নয়৷ তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে স্বাধীনতা নিশ্চিত করা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ