1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আর্গো: সত্যি, না কল্পনা?

১৭ জানুয়ারি ২০১৩

১৯৭৯ সালের পণবন্দি সংকটের সময় ছ’জন মার্কিন কূটনীতিককে উদ্ধার করে সিআইএর-র এজেন্টরা৷ সেই কাহিনির চিত্ররূপ এবার গোল্ডেন গ্লোব মাতিয়েছে৷ ইরান অবশ্য আগেই বলেছে, কাহিনিটা বিকৃত৷

ARCHIV - Ben Affleck beim Photocall zu seinem Film 'Argo' am 19.10.2012 in Rom. Foto: CLAUDIO ONORATI (zu dpa Iran plant Gegen-Film zu Hollywood-Film «Argo» vom 12.01.2013) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

হলিউডের সঙ্গে ঐতিহাসিক সত্যের সম্পর্ক কি অথবা কতটা, তা নিয়ে বিতর্কও এসে পড়েছে এর মধ্যে৷ ‘আর্গো' ছবিটি গত সপ্তাহান্তে দু'টি গেল্ডেন গ্লোব জেতে, ওদিকে আবার চারটি অস্কারেরও মনোনয়ন পেয়েছে৷

কিন্তু ছবিতে যে সত্যের ঠিক অপলাপ নয়, সত্যকে মনোরঞ্জনের খাতিরে কিছুটা কেটে-ছেঁটে, সাজিয়ে-গুছিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা-তে কোনো সন্দেহ নেই৷ যেমন ছবির চরম মুহূর্তে, অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে, ইরানি গার্ডরা কূটনীতিকদের বিমানটির পাশ দিয়ে গাড়িতে করে দৌড়চ্ছে, বিমানটার আকাশে ওড়া রোখার জন্য – বাস্তবে যা কোনোদিন ঘটেনি৷

আর্গো ছবির একটি দৃশ্যছবি: picture-alliance/dpa

তেহরানে ক্যানাডা ঐ মার্কিন কূটনীতিকদের আশ্রয় দেয় এবং ইরান থেকে তাদের নিরাপদে বের হয়ে আসার ব্যবস্থা করে৷ ছবিতে ক্যানাডার এই ভূমিকাও নগণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ যত ক্যার্দ্দানি করার, করেছেন সিআইএ এজেন্ট টোনি মেন্ডেজ, যার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বেন অ্যাফ্লেক স্বয়ং৷

মার্ক লিজেক ছিলেন মুক্তিপ্রাপ্ত ছ'জন কূটনীতিকদের মধ্যে একজন৷ তিনি বলছেন, থ্রিলারের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য ঘটনাগুলোকে যে কিছুটা নাটকীয় করতে হবে, সেটা তিনি বোঝেন৷ কেন্ টেইলর ছিলেন সে সময় তেহরানে ক্যানাডার রাষ্ট্রদূত৷ আজ তাঁর বয়স ৭৭৷ তিনি বলেছেন, ছবিটা তো বেশ মজারই হয়েছে৷ কিন্তু মনে রাখা দরকার, ক্যানাডা তখন শুধু হাত-পা গুটিয়ে দর্শক হয়ে বসে ছিল না৷ সিআইএ ছিল ক্যনাডার জুনিয়র পার্টনার, বলছেন টেইলর৷ বলতে কি, সিআইএ এজেন্ট মেন্ডেজ-এর বয়স এখন ৭০৷ তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার প্রদানের সময়েও উপস্থিত ছিলেন৷

সিআইএ-র অতি গোপন ফন্দি এবং সেই সঙ্গে ছবির কাহিনি হল, আটক কূটনীতিকরা ভান করছেন যে, তাঁরা হলিউডের একটি ফিল্ম ক্রু-র অঙ্গ, একটি সায়েন্স ফিকশন ছবি তোলার জন্য তেহরানে এসেছেন৷ চিত্রনাট্যের কল্যাণে পরে কূটনীতিকদের দু'টি দলে ভাগ করা হয়নি, সকলকে রাষ্ট্রদূত টেইলরের বাড়িতেই রাখা হয়েছে৷ পরে কূটনীতিকদের বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার পথে বাজারে ক্ষিপ্ত জনতার দৃশ্য, বিমানবন্দরে গাড়ির দৌড় ইত্যাদি, এ সবই উত্তেজনা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে৷

ওদিকে ইরান ফিল্ম করছে বিশজন মার্কিন পণবন্দিকে মার্কিন দূতাবাসের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে৷ মোট কথা, পণবন্দি সমস্যা ইতিহাস হয়ে গেলেও, ইরান-মার্কিন দ্বন্দ্বের আজও সমাধান হয়নি৷

এসি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ