1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেলজিয়ামের দুই ‘করোনা বীর’

২২ জানুয়ারি ২০২১

করোনার কারণে এখন তারা বেকার৷ তবে চাকরি চলে গেলে আর সবাই যেমন মুষড়ে পড়েন, শাপশাপান্ত করেন ভাগ্যকে, বেলজিয়ামের দুই তরুণ তা করছেন না৷

বেলজিয়ামের কোভিড বয়েজরা
ছবি: Johanna Geron/REUTERS

২৭ বছর বয়সি এডুয়ার্ড ডি ভোস এবং সদ্য ২৬ পেরোনো অস্কার ব্রিউ শুরুর দিকে অবশ্য কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না৷ বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎ এক ভাইরাস এলো, ছড়াতে শুরু করলো সংক্রমণ আর তার কারণে কিনা তাদের চাকরিটাই চলে গেল! গত মার্চে আকস্মিক বেকারত্ব একরকম দিশেহারাই করেছিল তাদের৷

সাবান কারখানার কাজ হারানোর প্রাথমিক ধাক্কা সামলাতে যে একটু সময় লেগেছে তা রয়টার্স টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অকপটেই স্বীকার করেছেন ডি ভোস, ‘‘প্রথম লকডাউনের সময়টা আমরা পানাহার আর এটাওটা করেই পার করেছি৷ কিন্তু একটা সময় কী যেন হলো, সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেল আমাদের কাছে৷’’ অর্থাৎ, মনে হলো, ঘরে বসে বসে দিন কাটালে চলবে না৷ ব্যস, করোনা পরিস্থিতিতে সবাই যাতে নিজেদের সুস্থ রাখতে পারেন তা নিজের সাধ্য অনুযায়ী নিশ্চিত করার জন্য নেমে পড়লেন কাজে৷

ছবি: Johanna Geron/REUTERS

কী কাজ করেন এডুয়ার্ড ডি ভোস এবং অস্কার ব্রিউ? নিজেদের করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচাতে পিপিই, হ্যান্ডগ্লাভস পরে, ডিসইনফেক্ট্যান্ট, স্পঞ্জ ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে নেমে পড়েন রাজধানী ব্রাসেলসের রাস্তায়৷ তারপর শুরু হয় কারো মুখে মাস্ক না থাকলে তাকে সতর্ক করা, কেউ হেঁটে হেঁটে খাবার খেলে কাছে গিয়ে বলা, ‘‘একদিকে সরে বসে খাবারটা শেষ করুন, প্লিজ৷’’ কারো হাত জীবাণুমুক্ত করে দেয়া দরকার মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে তার দিকে এগিয়ে যান ডিসইনফেক্ট্যান্ট নিয়ে৷ এমনকি পার্কের বেঞ্চ, গাড়ির দরজা ইত্যাদির হাতল জীবাণুমুক্ত করতেও ভোলেন না তারা৷

এডুয়ার্ড ডি ভোস আর অস্কার ব্রিউ এসবই কিন্তু করেন নিজের গরজে, বিনা পারিশ্রমিকে৷ পরোপকারী এই দুই তরুণকে তাই ব্রাসেলসের মানুষ এখন ‘কোভিড বয়েজ’ নামে চেনে৷

এসিবি/কেএম (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ