হুবহু যমজ ভাইবোনরা নাকি পরস্পরের মনের কথাও বোঝেন৷ বেলজিয়ামে দুই যমজ রাঁধুনি সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে অসাধারণ সৃষ্টির কাজে মেতে রয়েছেন৷ তাঁদের খাদ্যের খ্যাতি গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে৷
স্ক্যালপের সঙ্গে টাইম পাতা দেওয়া মাখন৷ বেলজিয়ামের দুই নামকরা রাঁধুনি সরাসরি বাসায় এমন সুস্বাদু খাবার পৌঁছে দেন৷ ক্রিস্টফ ও স্টেফান বক্সি সেই ক্যাটারিং ব্যবসা চালান৷ ছোটবেলা থেকেই দুই ভাই হাঁড়িকড়া নিয়ে নাড়াচাড়া করতেন৷ রান্নার ক্ষেত্রে তাঁরা একে অপরের সম্পূরক৷ দুই রাঁধুনির একই স্বাদ পছন্দ৷ আসলে দু'জনেই হুবহু যমজ৷ দুই ভাইয়েরই মশলাদার খাবার পছন্দ, চাই ভালো স্বাদ৷
বক্সি-ভাইরা অনবদ্য সৃষ্টির কাজে মেতে রয়েছেন৷ বেলজিয়ামের উত্তরে খেন্ট শহরের উপকণ্ঠে তাঁদের ডেরা৷ কাচ দিয়ে তৈরি আধুনিক রান্নাঘর স্টুডিও দেখলে বোঝা যায়, এখানে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে৷ দু'জনের মধ্যে সত্যি দারুণ বোঝাপড়া রয়েছে৷
থাইল্যান্ডের রাস্তার খাবার
থাইল্যান্ডের পথের ধারের খাবার তার স্বাদে বিশ্ববিখ্যাত৷ কিন্তু ব্যাংকক নগর প্রশাসন সদ্য এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাস্তায় আর কোনো খাবারের দোকান থাকবে না৷ তা হলে কি থাইল্যান্ডের এই সড়ক ঐতিহ্যের অবসান ঘটতে চলেছে?
থাই খাবারের মধ্যে বিশেষ প্রসিদ্ধি তার সামুদ্রিক খাবারের, যেমন, চিংড়ি মাছ৷ টাটকা চিংড়ি চোখের সামনে আগুনে ঝলসে দেওয়া হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মেছোহাটা
নানা ধরনের মাছও পাওয়া যায় রাস্তার ধারের দোকানে৷ পছন্দেরটি বেছে নিলেই হলো৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
খাদ্যবিলাসী
থাইল্যান্ডের নাগরিক জীবনযাত্রায় এই সুখাদ্য, তাই এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ ওরা খেতে ভালোবাসেন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বৈচিত্র্যপ্রিয়
স্কুইড, অক্টোপাস থেকে ঝিনুক, গেঁড়ি-গুগলি, সব ধরনের খাবার জায়গা পায় থাই রন্ধনশালায়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
এবার শেষ?
স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটক, সবার সমান পছন্দের এই রাস্তার খাবারের সংস্কৃতির কি এখানেই শেষ? প্রশাসন তো সেরকমই ঠিক করেছে!
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
14 ছবি1 | 14
দুই ভাই একেবারে নতুন এক স্টার্টার পরীক্ষা করেন৷ যেমন একটি পদের উপকরণ শুকনা স্প্রিং অনিয়ন, পার্সলে পাতার শিকড়ের ভরতা ও ডিম৷ তাঁরা প্রত্যেকটি নতুন পদ এঁকে রাখেন, সঙ্গে সব উপকরণের নাম, মাপ ও ওজন লিখে রাখা হয়৷ দু'জনের কাজও ভাগ করা থাকে৷ স্টেফান সৃজনশীল দিকটা দেখেন৷ আর ক্রিস্টফ বাস্তব দিকটা সামলান৷ ভাইয়ের সৃজনশীলতার ঠেলা সামলাতে প্রায়ই তিনি হিমশিম খেয়ে যান৷ ক্রিস্টফ বলেন, ‘‘আমি কোনো ক্যাটারিং ইভেন্টে গিয়ে খাদ্য তালিকা দেখে ভাবি, সমস্যায় পড়েছি৷ তখন ভাইকে ডাকতে হয়৷ কিন্তু আমি তার চিন্তাভাবনা বুঝতে পারি৷ তাই তো আমরা যমজ৷ সেটাই আমাদের সুবিধা৷....তুমি কী ভাবছো, কী করছো, সব সময় তা অনুমান করতে পারি৷’’
এর মধ্যে তাঁদের রন্ধনশিল্পের খ্যাতি গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে৷ দু'জনে মিলে বেশ কয়েকটি রেসিপি বই লিখেছেন৷ টেলিভিশনেও তাঁদের নিজস্ব কুকিং শো রয়েছে৷
গোপন ক্যামেরা নিয়ে তাঁরা ২০১৫ সালে ব্রাসেলস শহর ঘুরেছেন এবং নিজেদের পছন্দের কাজ করেছেন৷ অর্থাৎ খাওয়াদাওয়া, আড্ডা, তর্ক-বিতর্ক ও আরও খাওয়া৷
যমজ হওয়ার কারণে তাঁরা নজর কাড়েন বেশি৷ ১৯৬১ সালে জন্মের পর থেকেই তাঁরা এক অবিচ্ছেদ্য টিম৷ রান্নার নেশাও একসঙ্গে তৈরি হয়েছিল৷ সাধারণ মানুষ গাড়ি, লেগো, পুতুল সৈন্য নিয়ে খেলে৷ তাঁরা বালুতে হাঁড়ি নিয়ে খেলতেন৷
২১ বছর বয়সে দুই ভাই প্রথম রেস্তোরাঁটি খোলেন৷ অসাধারণ সৃষ্টিকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁরা একটি মিশেলিন স্টার খেতাবও পেয়েছেন৷