এজিং, মানে বয়োবৃদ্ধি পশ্চিমা জগতে একটা জনসংখ্যাগত সমস্যা হয়ে উঠতে চলেছে৷ তাই গবেষণা চলেছে, মানুষের আয়ু কী করে বাড়ানো যায়৷ ‘ইনসুলিন সিগনালিং পাথওয়ে’ তার একটা উত্তর হতে পারে৷
বিজ্ঞাপন
আলৎসহাইমার: চিকিৎসাবিদ্যায় আজও এ রোগের কোনো নিরাময় নেই৷ ক্যানসার কিংবা হৃদরোগের মতো আলৎসহাইমার-ও সাধারণত দেখা দেয় বার্ধক্যের সীমানায় এসে৷ এটি একটি নিউরো-ডিজেনারেটিভ অসুখ, অর্থাৎ স্নায়ু প্রণালীর অবনতি থেকেই এই অসুখের উৎপত্তি৷
মাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য বায়োলজি অফ এজিং, অর্থাৎ বয়োবৃদ্ধির জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত মাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বয়স বাড়ার জটিল প্রক্রিয়াটি বোঝার চেষ্টা করছেন৷ আঁচল শ্রীবাস্তব সেই গবেষকদের একজন৷ বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কী ঘটে, তা বোঝালেন তিনি৷ তাঁর মতে, ‘‘বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমদের শরীরের কোষগুলো খারাপ হতে থাকে৷ আমাদের বিপাক প্রক্রিয়া আর ততটা কার্যকরী থাকে না এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও কমতে থাকে৷ শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলির অভ্যন্তরীণ আন্তঃ-কোষ যোগাযোগ ব্যবস্থাও তার কার্যকারিতা হারাতে থাকে৷ এ সব আমাদের শরীরকে দুর্বল করে দেয় এবং শেষমেষ মৃত্যু ঘটে৷ এই গোটা প্রক্রিয়াটাই হলো এজিং বা বায়োবৃদ্ধি৷''
রুটিন চেকআপ করুন, দীর্ঘজীবী হোন
প্রায়ই শোনা যায় রোগী ডাক্তারের কাছে যেতে দেরি করে ফেলায় আর কিছু করার নেই৷ তাই অনেক ক্ষেত্রে আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা বা নিয়মিত প্রয়োজনীয় ডাক্তারি ‘চেকআপ’ করালে সুস্থভাবে দীর্ঘজীবী হওয়া সম্ভব৷
ছবি: Fotolia/E. Kharichkinan
জার্মানদের গড় আয়ু বেড়েছে
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে জার্মান পুরুষদের আনুমানিক গড় আয়ু ৭২ আর নারীদের গড় আয়ু ৭৮ বছর ছিল৷ ২০১২ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পুরুষদের ৭৮ বছর আর মহিলাদের ৮৩ বছর৷ এই গড় আয়ু বাড়ার কারণের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাবার, ডাক্তারি চেকআপ, সচেতনতা এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা৷
ছবি: Alexander Raths/Fotolia.com
সচেতনতা না শনাক্তকরণ?
আগে থেকে সচেতন হলে কঠিন অসুখ হওয়ার প্রবণতা কমে৷ অন্যদিকে রোগ দ্রুত শনাক্ত করা গেলে, অর্থাৎ সময় থাকতে ডাক্তারের কাছে গেলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়৷ অনেক অসুখের ক্ষেত্রেই আগে থেকে চেকআপের ব্যবস্থা রয়েছে, যা সত্যিই উপকারে আসে৷
ছবি: MSF
জার্মানির স্বাস্থ্যবীমা
জার্মানিতে যাঁদের স্বাস্থ্যবীমা রয়েছে, তাঁদের, অর্থাৎ নারী-পুরুষ সকলেরই ‘‘চেকআপ ৩৫’’ বা পুরো শরীর চেকআপ করানোর অধিকার আছে৷ এর জন্য বছরে অন্তত একবার পারিবারিক ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন৷ রক্ত, ব্লাড প্রেশার, ইসিজি, কিডনি, ডায়বেটিস, ক্যানসার ইত্যাদির পরীক্ষা তিনিই করিয়ে দেন৷
ছবি: Max Tactic - Fotolia.com
অন্ত্র বা পাকস্থলীর সতর্কতামূলক চেকআপ
৫৫ বছর বয়স থেকে প্রতিটি মহিলা এবং পুরুষদের পুরো অন্ত্রের পরীক্ষা করানো প্রয়োজন৷ ‘কোলোনোস্কোপি’ নামক এই পরীক্ষাটি একমাত্র পরীক্ষা, যা গোটা অন্ত্রের, অর্থাৎ বৃহদান্ত্র এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের কোনো সমস্যা থাকলে তা ধরতে সাহায্য করে৷
ছবি: Fotolia/Sebastian Kaulitzki
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
ফ্রাংকফুর্ট আম মাইনের ইয়োহান ভল্ফগাং গ্যোটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার ডাক্তার ফ্যারদিনান্দ এম গ্যারলাখ বলেন, ‘‘অন্ত্রের ক্যানসার হওয়ার আগে ছোট্ট ‘পলিপ’ দিয়ে শুরু হয়, যা আগে ধরা পড়লে তা কেটে ফেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়া যায়৷ অবশ্য পাশাপাশি প্রতি দুই বছর অন্তর মলও পরীক্ষা করা উচিত৷’’
ছবি: picture alliance/dpa
স্তন ক্যানসার
মেয়েদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিনদিনই বাড়ছে৷ এর নিদিষ্ট কোনো কারণ এখনও জানা না গেলেও জন্ম নিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট, হরমন সেবন বা পরিবারের কারো ব্রেস্ট ক্যানসার থাকলে – স্তন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে৷ তবে যে মা শিশুকে বুকের দুধ পান করান, তাঁর ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কম৷
ছবি: Fotolia/evgenyatamanenko
মেমোগ্রাফি চেকআপ
জার্মানিতে ৩০ বছরের বেশি বয়সের মেয়েদের জন্য স্তন ক্যানসারের চেকআপ রুটিন চেকআপের মধ্যে পড়ে৷ স্ত্রী বিশেষজ্ঞের কাছে প্রতি ছ’মাস অন্তর বিনা খরচে এই পরীক্ষা করা যায়৷ এছাড়া ৫০ থেকে ৬৯ বছর বয়সি নারীদের মেমোগ্রাফির পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে চিঠি লিখে মনে করিয়ে দেওয়া হয়৷
ছবি: picture alliance/CHROMORANGE
অনেক নারীরই অজানা
অনেক মহিলাই জানেন না যে মেমোগ্রাফি সচেতনতা নয়, স্তন ক্যানসার শনাক্ত করার অন্যতম উপায়৷ সময়মতো মেমোগ্রাফি করানো হলে এবং তাতে ক্যানসারে আক্রান্ত টিউমার সময়মতো ধরা পড়লে, মৃত্যুর ঝুঁকি কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব৷ তাই নিয়মিত চেকআপ করাকে হাল্কাভাবে না নেওয়ারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পুরুষদের প্রস্টেট চেকআপ
পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪৫ বছরের বেশি বয়েস হলে অবশ্যই ইউরোলজিস্টের কাছে প্রস্টেট ক্যানসারের পরীক্ষা করা উচিত৷ তবে যাঁদের পরিবারে প্রস্টেট ক্যানসারের ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্যই আরো আগে থাকতে চেকআপ করানো উচিত৷
ছবি: picture alliance / dpa
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ
আজকের এই যান্ত্রিক জীবনযাত্রায় মানুষের রয়েছে নানা রকম স্ট্রেস বা মানসিক চাপ৷ তাই শরীরে কোনো অসুবিধা বোধ না করলেও, বছরে একবার পুরো শরীরের ‘রুটিন চেকআপ’ করানো আগের তুলনায় অনেক বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে৷
ছবি: Fotolia/E. Kharichkinan
10 ছবি1 | 10
মাছিদের বার্ধক্য-গত সমস্যা
আঁচল শ্রীবাস্তবের সহকর্মী চিরাগ জৈন ইঁদুর আর ড্রসোফিলা, অর্থাৎ ফ্রুট ফ্লাই বা ফলের মাছি নিয়ে গবেষণা করছেন৷ এই ফলের মাছিদের আয়ু হলো ৬০ থেকে ৮০ দিন৷ মাছিগুলোর ওপর দিকে ওঠার একটা স্বাভাবিক প্রবণতা আছে: তারা ওপর দিকে ওঠা বন্ধ করার অর্থ, বয়োবৃদ্ধির ফলে তারা মন্থর হয়ে পড়ছে৷ চিরাগ বোঝালেন, ‘‘এর অর্থ এই হতে পারে যে, মাছিদের বার্ধক্যগত সমস্যা হচ্ছে৷ ওপরে ওঠার জন্য পেশির শক্তি দরকার; কাজেই মাছিরা যদি তা না করতে পারে, তাহলে তাদের পেশিগুলো ইতিমধ্যেই দুর্বল হতে শুরু করেছে, বলে ধরে নিতে হবে৷''
ইনসুলিন সিগনালিং পাথওয়ে
তবে এটা বন্ধ করা সম্ভব৷ বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, তথাকথিত ইনসুলিন সিগনালিং কেঁচো ও মশামাছি ছাড়া স্তন্যপায়ী জীবদেরও আয়ু বৃদ্ধি করতে পারে৷ মাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য বায়োলজি অফ এজিং-এর আরেক গবেষক বর্ণেশ টিক্কু বলেন, ‘‘আমরা নানা ধরনের অরগ্যানিজম নিয়ে পরীক্ষা করে প্রায় সব প্রজাতিতেই কিছু জিন এবং কিছু ইনসুলিন পাথওয়ে পেয়েছি৷ ইনসুলিন সিগনালিং পাথওয়ে হলো তার একটি আদর্শ দৃষ্টান্ত৷ কেঁচো এবং স্তন্যপায়ী জীবদের মধ্যে এই পাথওয়ে থাকে৷ আমরা প্রতিটি প্রণালী পর্যবেক্ষণ করে একই প্রমাণ পেয়েছি: এটা সত্যিই আয়ু নির্ধারণ করে থাকে৷''
বিশ্বব্যাপী আয়ু বাড়ার পরিণতি
গোটা বিশ্বে ৬৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ জাতিসংঘের সূত্র অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে তাঁদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে, যা জনসংখ্যার প্রায় ১৫.৬ শতাংশ৷ এর কারণ ও পরিণতি কী হতে চলেছে?
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/GettyImages
আরও বেশি বয়স্ক মানুষ
গোটা বিশ্বে মানুষের আয়ু বাড়ছে৷ ২০১০ সালে ৬৫ বছরের বেশি বয়সি মানুষের সংখ্যা ছিল মাত্র ৭.৭ শতাংশ৷ জাতিসংঘের পূর্বাভাষ অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে তা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়াবে (১৫.৬ শতাংশ)৷ একদিকে পড়তি জন্মহার, অন্যদিকে আয়ু বেড়ে চলায় এমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে৷ বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ভবিষ্যতে বয়স্কদের সংখ্যা বাড়বে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অবসরের পর প্রেম
১০০ বছর আগে কোনো মানুষ ৭৫ বছর পূর্ণ করলে, সেটা হতো এক বিরল ঘটনা৷ তাঁদের অতি বৃদ্ধ মনে করা হতো৷ আর আজ অবসর নেয়ার পরেও অনেকে তরতাজা সুস্থ যুবকের মতো থাকেন, চুটিয়ে জীবন উপভোগ করেন৷ জার্মানিতে শতবর্ষ পূর্ণ করা মানুষের সংখ্যা গত ৩ দশকের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে৷
ছবি: Fotolia/Gina Sanders
তরতাজা শরীর
বয়স হলেও শারীরিকভাবে সচল থাকা আজ আর নতুন কোনো ঘটনা নয়৷ চিকিৎসার উন্নতি ও সমৃদ্ধিই এর মূল কারণ৷ উন্নয়নশীল দেশেও এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷ ভবিষ্যতে বয়স্ক মানুষদের একটা বড় অংশই এ সব দেশে থাকবেন৷
ছবি: Patrizia Tilly/Fotolia
নারীরা সন্তান চাইছেন না
আগামী বছরগুলিতেও এমন প্রবণতা বজায় থাকবে৷ তরুণ দম্পতিরা কম সন্তান চাইছেন৷ এর অন্যতম কারণ হলো, নারীরা তাঁদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ কাজের পাশাপাশি সন্তান সামলানো তাঁদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়ে৷
ছবি: Fotolia/Fotowerk
মেয়েরা স্কুলে যেতে চায়
নারীরা যে আগের তুলনায় কম সংখ্যক সন্তান চাইছেন, তার আরও একটা কারণ রয়েছে৷ তাঁরা আসলে সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চান৷ বিশেষ করে গরিব দেশগুলিতে মায়েরা তাঁদের কন্যাসন্তানদের ভাই-বোনদের দেখাশোনার কাজে ব্যস্ত না রেখে স্কুলে পাঠাতে চান৷
ছবি: DW/H. Hashemi
অবসর ভাতা কাঠামোর দুর্বলতা
উন্নয়নশীল দেশগুলিতে অবসর ভাতা বা সামাজিক সুরক্ষা প্রায় নেই বললেই চলে৷ কিন্তু বেড়ে চলা জনসংখ্যার কারণে এ সব দেশে কিছুকাল পর বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়বে৷ অবসরপ্রাপ্তদের জীবন সহজ করে তুলতে তাই উপযুক্ত কাঠামো গড়ে তুলতে হবে৷
ছবি: Issouf Sanogo/AFP/GettyImages
শুধু দেখাশোনাই যথেষ্ট নয়
জার্মানির মতো সমৃদ্ধ দেশেও বয়স্কদের দেখাশোনার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই৷ ‘ওল্ড এজ হোম’ বা বৃদ্ধাবাস থাকলেও তার খরচ কম নয়৷ অবসর ভাতা কমে চলায় অনেক বৃদ্ধ মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়ছেন৷
ছবি: Fotolia/Kzenon
বৃদ্ধ বয়সে দারিদ্র্যের বিপদ
দরিদ্র অঞ্চলে বিশেষ করে বয়স্ক নারীরা অনেক সময়ে বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করতে বাধ্য হন৷ অনেক মানুষ সারা জীবন শুধু মাঠেই কাজ করেছেন, বেশি বয়সের জন্য সঞ্চয়ের সুযোগ পান নি৷ হাড়ভাঙা খাটুনি আর তাঁদের সহ্য হয় না৷ বয়স্কদের সংখ্যা বেড়ে চলায় এমন সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে৷
ছবি: picture-alliance/Lehtikuva/Hehkuva
বৃদ্ধদের বিপ্লব
সারা বিশ্বে বয়স্ক মানুষ ন্যায্য অবসর ভাতার দাবিতে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন৷ যেমন নিকারাগুয়ায় তাঁরা মাসে কমপক্ষে ৯০ মার্কিন ডলার পেনশনের দাবি জানাচ্ছেন৷
ছবি: REUTERS
বেশি বয়স পর্যন্ত কাজ
জাতিসংঘ তার সদস্য দেশগুলির উদ্দেশ্যে বয়স্ক মানুষের জন্য উপযুক্ত কাজ সৃষ্টি করার ডাক দিচ্ছে৷ চাকরি জীবন থেকে অবসর নেবার প্রচলিত ধারণায় পরিবর্তন প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করে জাতিসংঘ৷ অনেক বয়স্ক মানুষ আজই ছোটখাটো ব্যবসা করছেন৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/GettyImages
10 ছবি1 | 10
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
কিন্তু মানুষের বয়োবৃদ্ধি? সেক্ষেত্রে এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে – এটুকু বলা যায়৷ মাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য বায়োলজি অফ এজিং-এর সিনিয়ার রিসার্চার ড. সেবাস্টিয়ান গ্র্যোনকে বলেন, ‘‘শরীরচর্চার ভূমিকা নিয়ে কিছু কিছু গবেষণা হয়েছে, কিন্তু সেগুলো আয়ু বৃদ্ধি কিংবা হ্রাসের সঙ্গে বিশেষ যুক্ত নয়৷ অবশ্যই শরীরচর্চার ফলে আমাদের স্বাস্থ্য উপকৃত হয়, কিন্তু ল্যাবোরেটরির পরিবেশে জীবের আয়ু বাড়াতে গেলে পুষ্টিগত সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়৷ কাজেই আমি বলব: খাবারদাবারের প্রভাব সম্ভবত শরীরচর্চার চেয়ে বেশি৷ তবে স্বভাবতই শ্রেষ্ঠ সমাধান হলো ভালো খাদ্য ও শরীরচর্চার মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখা৷''
পুষ্টিকর খাদ্যের সঙ্গে কিছুক্ষণ ব্যায়াম কিংবা দৌড়ঝাঁপ করলে শরীর সুস্থ ও সজীব থাকে, সেটা কিন্তু গবেষণা না করেই বলা যায়৷