বাইডেনের প্রস্তাব সমর্থন করলেন অ্যামাজনের প্রধান জেফ বেজোস। তার মতে, পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য বিনিয়োগ দরকার।
বিজ্ঞাপন
বাইডেনের প্রস্তাবের পক্ষে অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস। বড় কর্পোরেটের উপর করের পরিমাণ বাড়িয়ে দেশের পরিকাঠামো উন্নত করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি সাধারণ মানুষের উপর কর বসাবেন না। কিন্তু কর্পোরেটের কর প্রায় সাত শতাংশ বাড়াতে চান তিনি। বাইডেন বিশেষ করে অ্যামাজনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, তারা কোনো কর দেয় না। কর্পোরেট কর বাড়িয়ে বাইডেন দুই দশমিক তিন ট্রিলিয়ান ডলারের পরিকল্পনা রূপায়ণ করতে চান।
এরই জবাবে বিশ্বের অন্যতম ধনী জেফ বেজোস বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন। কর্পোরেট কর বাড়ানোর প্রস্তাবে তার সায় আছে। অ্যামেরিকার পরিকাঠামোয় বাইডেন যেভাবে বিনিয়োগ করতে চাইছেন, তা তিনি সমর্থন করেন। বেজোসের মন্তব্য কোম্পানির ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে।
গত মাসে বাইডেন ২০১৯ সালে ৯১টি 'ফরচুন ৫০০' কোম্পানি নিয়ে সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ''বিশ্বের বৃহত্তম কোম্পানিগুলি কোনো কর দেয় না। যেমন অ্যামাজন এক পয়সাও ফেডারেল কর দেয় না। এটা উচিত নয়।''
করোনা যাদের টাকার পাহাড়
করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ মহাসংকটে৷ তবে এই পরিস্থিতিতেও কেউ হয়েছেন বিলিয়নিয়ার, আবার কেউ এগিয়ে চলেছেন বিলিয়নিয়ার থেকে ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার পথে৷ তাদের নিয়েই এ ছবিঘর...
ছবি: Dennis Tan Tine/Star Max//AP/picture alliance
যিনি হবেন প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার
অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোস আগে থেকেই বিশ্বের সেরা ধনী৷ তবে করোনা সংকটের সময় তার কোম্পানির ব্যবসা এত ফুলে-ফেঁপে উঠেছে যে এই ধারা চলতে থাকলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হবেন তিনি৷ ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, এ মুহূর্তে বেজোসের মোট সম্পদের দাম ১৯৩ বিলিয়ন ডলার (১৬১ বিলিয়ন ইউরো)৷
ছবি: Pawan Sharma/AFP/Getty Images
মাস্কের পোয়াবারো
বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরসের সিইও এলন মাস্কেরও এখন পোয়াবারো৷দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া এই অ্যামেরিকান উদ্যোক্তা সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের তালিকায় বিল গেটসকে পিছনে ফেলেছেন৷ এলন মাস্কের মোট সম্পদের দাম এখন ১৩২ বিলিয়ন ডলার৷
ছবি: Getty Images/M. Hitij
রাতারাতি বিলিয়নিয়ার ইউয়ান
করোনার সময়ে ভীষণ কাজে লাগছে জুম অ্যাপ৷অনলাইন ক্লাস, ইন্টারভিউ, টকশোসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান হচ্ছে এই অ্যাপের সহায়তায়৷ জুম অ্যাপের মালিক এরিক ইউয়ানের মোট সম্পদের দাম এখন ১৯ বিলিয়ন ডলার৷হ্যাঁ, জেফ বেজোসের ১৯৩ বিলিয়ন এবং এলন মাস্কের ১৩২ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় তা খুবই কম, কারণ চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পাড়ি জমানো ইউয়ানের জুম পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে ২০১৯ সালে, অর্থাৎ মাত্র এক বছর আগে৷
ছবি: Kena Betancur/Getty Images
ফোলিকে করোনার ‘উপহার’
করোনার এই সময়ে স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি এড়াবেন কী করে? কেন ব্যায়াম করুন, ইনডোর সাইকেল চালান! করোনা সংকট শুরুর পর থেকে অনেকেই তা করছেন৷ আর তাই ইনডোর সাইকেল তৈরির প্রতিষ্ঠান পেলোটনের শেয়ার বিক্রি তিনগুণ বেড়ে গেছে৷ সেই সুবাদে রাতারাতি বিলিয়নিয়ার হয়ে গেছেন পেলোটনের সিইও জন ফোলি৷
ছবি: Mark Lennihan/AP Photo/picture alliance
এক জার্মানের ক্যানাডা ‘জয়’
কোবলেন্ৎসে জন্ম নেয়া টোবিয়াস ল্যুটকে জার্মানি থেকে ক্যানাডায় গিয়েছেন ২০০২ সালে৷তখন মাত্র ২১ বছর বয়সে বাড়ির গ্যারেজে শুরু করেছিলেন ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা৷ তার প্রতিষ্ঠান শপিফাই করোনা সংকটে হাজার হাজার মানুষকে অনলাইন দোকান খুলতে সহায়তা করেছে৷ ফলে ক্যানাডার ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল এন্টারপ্রাইজ’ হয়ে গেছে শপিফাই এবং ফোলির মোট সম্পদের দাম দাঁড়িয়েছে নয় বিলিয়ন ডলার৷
ছবি: Wikipedia/Union Eleven
ভ্যাকসিন কপাল খুলেছে যার
জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োনটেকের প্রধান নির্বাহী উগুর সাহিনের সম্পদের দাম রাতারাতিই বেড়ে দুই দশমিক চার বিলিয়ন ডলার হয়ে গেছে৷ কেন এমন হলো? কারণ, বায়োনটেকের উদ্ভাবন করা ভ্যাকসিন৷
ছবি: BIONTECH/AFP
হ্যালোফ্রেশ খোলা আছে তাই
করোনার কারণে জার্মানির সব রেস্তোরাঁ যখন বন্ধ, তখন টাটকা খাবার পৌঁছে দিতে শুরু করে হ্যালোফ্রেশ৷বার্লিনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এরিক রিশটারেরও কপাল খুলে যায় তাতে৷ এই কয়েকমাসেই তিনি নাকি বিলিয়নিয়ার হওয়ার দ্বারপ্রান্তে৷
ছবি: Bernd Kammerer/picture-alliance
সবচেয়ে ধনী নারী
জেফ বেজোসের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হলেও অ্যামাজনের শেয়ার ছাড়েননি ম্যাকেঞ্জি স্কট৷ সে কারণেই বেজোসের সাবেক স্ত্রী এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী৷ তার সম্পদের দাম ৭২ বিলিয়ন ডলার৷ করোনা একদিকে অ্যামাজনের মালিক, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী জেফ বেজোসকে আরো ধনী করেছে, অন্যদিকে তার সাবেক স্ত্রী-কেও দিয়েছি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী হওয়ার সুযোগ৷
ছবি: Dennis Tan Tine/Star Max//AP/picture alliance
8 ছবি1 | 8
তবে বাইডেনের তথ্য পুরোপুরি ঠিক নয়। ২০১৯-এর পর অ্যামাজনের লাভের পরিমাণ আরো বেড়েছে এবং তারা কিছু কর দিয়েছে। গত বছর তারা ১৭০ কোটি ডলার ফেডারেল কর হিসাবে দিয়েছে।
বেজোস বলেছেন, ''অ্যামেরিকার সমস্যা সমাধান করার জন্য কংগ্রেস ও প্রশাসন কী প্রস্তাব নিয়ে আসে, তার দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা মনে করি, বিনিয়োগ দরকার।''