জার্মান শিল্পসংস্থাগুলির প্রদত্ত অনুদানের প্রায় সবটাই পেয়ে থাকে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দল ও খোলাবাজারের অর্থনীতির সমর্থক এফডিপি দল, বলে জার্মান সংসদের সর্বাধুনিক পরিসংখ্যানে প্রকাশ৷
বিজ্ঞাপন
খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল (সিডিইউ) ও মুক্ত গণতন্ত্রী দল (এফডিপি) আজও জার্মানির বিগ বিজনেস ও বিত্তশালী দাতাদের পছন্দের রাজনৈতিক দল – ও সম্ভবত পছন্দের সরকারি জোট, জার্মান সংসদের প্রকাশিত তালিকা থেকে যা দেখা যাচ্ছে৷
এ বছর প্রায় সব মোটা অঙ্কের অনুদান গেছে হয় আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল, অথবা খোলাবাজারের পক্ষপাতী ও সরকারি নিয়ন্ত্রণের বিরোধী এফডিপি দলের কাছে৷ মুক্ত গণতন্ত্রী, অর্থাৎ উদারপন্থিদের ২০১৩ সাল যাবৎ সংসদে কোনো আসন নেই, যদিও এবার তারা ৯ শতাংশ ভোট পাবার আশা করতে পারে, বলে জরিপে দেখা যাচ্ছে৷ ‘‘দৃশ্যত বিত্তশালী দাতা ও শিল্পবাণিজ্যের কর্ণধাররা এফডিপি দলের সংসদ ও সরকারে প্রত্যাবর্তন কামনা করেন'', বলে জার্মানির ‘লবি-কন্ট্রোল' ওয়াচডগ সংস্থার সেবাস্টিয়ান মায়ার-এর অভিমত৷
জার্মানির জাতীয় নির্বাচন ২০১৭: কবে, কী হচ্ছে
তিনটি রাজ্যে নির্বাচনের পাশাপাশি জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০১৭ সালে৷ চলুন জেনে নেই জাতীয় নির্বাচনের টাইমলাইন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
জার্মানির বড় নির্বাচনের বছর
জার্মানিতে চলতি বছর আয়োজন করা হচ্ছে একের পর এক নির্বাচন৷ একদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন, অন্যদিকে পপুলিস্ট পার্টি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) অভিবাসীবিরোধী অবস্থানের কারণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷ বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এটা নিশ্চিত যে, ২০১৭ সালের শেষে জার্মানির রাজনৈতিক অবস্থা এখনকার মতো থাকবে না৷
ছবি: Getty Images
জুন ১৯: দলের মনোনয়ন জমা দেয়ার দিন ছিল
জার্মানির সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আবেদনের শেষ দিন ছিল জুন ১৯৷ সেদিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আগ্রহী দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আবেদন জানাতে হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
জুলাই ৭: কোন কোন দল লড়ছে?
সংসদ নির্বাচনে কোন কোন দল অংশ নিতে পারবে তা ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ যদি কোন দল নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে পরবর্তী চারদিনের মধ্যে জার্মানির সাংবিধানিক আদালতে নালিশ করতে পারবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck
জুলাই ১৭: কারা কারা থাকছেন?
চলতি বছরের ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কোন কোন প্রার্থী কোন কোন এলাকায় লড়বেন, তা চূড়ান্ত করতে হবে৷ জার্মানিতে একসঙ্গে দু’টি ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ প্রথমটি প্রার্থীকে, দ্বিতীয়টি দলকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
জুলাই ২৭: ব্যালটে নাম উঠানোর লড়াই
যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে সাংবিধানিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, তাদের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ ২০১৩ সালে এই পন্থা চালু করা হয়েছিল৷ সেবছর এগারোটি দল আদালতের স্মরণাপন্ন হলেও কেউই মামলা জেতেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Steinberg
আগস্ট ১৩: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা
জার্মানিতে নির্বাচন শুরুর ছয় সপ্তাহ আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিক প্রচারণার পোস্টার বা টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে না৷ চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর তারিখ ১৩ আগস্ট৷ এই দিন থেকে দলগুলো তাদের প্রচারণায় কোনো ঘাটতি রাখবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
আগস্ট ২০: কে ভোট দিতে পারবেন?
নির্বাচনের মাসখানেক আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তালিকা চূড়ান্ত হবে৷ ভোটার লিস্ট ঘোষণা করবে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ৷ জার্মানিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি যে কোনো জার্মান নাগরিক ভোট দিতে পারবেন৷ সে হিসেবে চলতি বছর ভোটারের সংখ্যা সাড়ে ৬১ মিলিয়ন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K.-D. Gabbert
সেপ্টেম্বর ৩: তিন সপ্তাহ বাকি
এই সময়ের মধ্যে সকল ভোটার পোস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে ভোট দেয়ার সার্টিফিকেট পাবেন৷ যারা তখন অবধি ভোটার লিস্টে নিজেদের নাম পাননি, তারা রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন৷ আর যারা পোস্টের মাধ্যমে ভোট দিতে চান, তারা ব্যালট পেপার চাইতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
সেপ্টেম্বর ২৪: নির্বাচনের দিন
অবশেষে সেই মহেন্দ্রক্ষণ৷ জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৪ সেপ্টেম্বর৷ সেদিন সকাল আটটায় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত৷ ভোটগণনা সেদিনই শেষ হবে এবং নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ রাতে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেপ্টেম্বর ২৫: বিজয়ী এবং বিজিত
সকল প্রতিনিধি এবং দলগত ভোট গণনা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা দেয়া হবে ২৫ সেপ্টেম্বর৷ যদি কোনো প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জিততে ব্যর্থ হন, তা সত্ত্বেও দলগত জয়ের কারণে তিনি সংসদে একটি আসন পেতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
অক্টোবর ২৪: নতুন সাংসদরা সংসদে
নির্বাচন শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে নতুন সাংসদদের সংসদে মিলিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে৷ এ বছর সেই দিনটি হচ্ছে অক্টোবর ২৪৷ সেদিন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর নির্বাচিত হবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নভেম্বর ২৪: সবকিছু কি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে?
যদি কেউ জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, তাহলে তার হাতে সময় থাকে নির্বাচন পরবর্তী দুই মাস৷ ভোটাররাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যে কেউ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার রাখেন এই সময়ের মধ্যে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
12 ছবি1 | 12
সংসদীয় নির্বাচনের আর মাত্র আট সপ্তাহ বাকি৷ পয়লা আগস্টের পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর সিডিইউ দল বড় স্পন্সরদের কাছ থেকে দান হিসেবে পেয়েছে ১৯ লাখ ইউরো; এফডিপি দল পেয়েছে ১৫ লাখ ইউরো৷ জার্মান আইন অনুযায়ী কোনো রাজনৈতিক দল ৫০,০০০ ইউরোর বেশি কোনো দান পেলে, তা সংসদকে জানাতে বাধ্য৷ অতঃপর সংসদের ওয়েবসাইটে সেই তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে৷
অর্থানুকুল্য
এবারকার তালিকায় বেশ কয়েকটি বড় জার্মান কোম্পানির নাম দেখা যাচ্ছে, এবং তাদের অনেকেই একাধিক দলকে অনুদান দিয়ে থাকে৷ সিক্স্ট কার রেন্টাল সার্ভিস এফডিপি দলকে ৫৫,০০০ ইউরো দিয়েছে৷ নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের শিল্প ও ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানিগুলির সমিতি মেটাল এনআরডাব্লিউ এফডিপি দলকে দিয়েছে ৯০,০০০ ইউরো ও সিডিইউ দলকে দিয়েছে ১,১০,০০০ ইউরো৷গাড়ির কোম্পানিগুলি যে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি অনুদানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকবে না, তাতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই৷ মার্সিডিজ গাড়ি নির্মাতা ডাইমলার কোম্পানি সিডিইউ ও সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল, উভয়কেই ১,০০,০০০ ইউরো করে দিয়েছে – যা কিনা এসপিডি দলের খাতায় একমাত্র বড় ডোনেশান৷ বিএমডাব্লিউ গাড়ি কোম্পানির পরিচালকমণ্ডলীর স্টেফান কোয়ান্ড, যিনি ব্যক্তিগতভাবে বিলিনেয়ার পর্যায়ে গণ্য, তিনি সিডিইউ ও এফডিপি দলের প্রত্যেককে দিয়েছেন ৫০,০০১ ইউরো করে৷
বৃহত্তম একক অনুদানটি গেছে সিডিইউ দলের কাছে: গত মে মাসে ব্যবসায়ী রাল্ফ ডমারমুট সিডিইউ দলকে পাঁচ লাখ ইউরো প্রদান করেন৷ ডমারমুট হলেন জার্মান বহুজাতিক ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ইউনাইটেড ইন্টারনেটের সিইও৷
‘‘স্বভাবতই দাতারা কোনো গোপন অভিসন্ধি ছাড়া এই অর্থ দান করেন না, কিন্তু তারা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দাবিদাওয়া রাখতে পারেন না – কেননা সেটা বেআইনি হবে'', বলেছেন মায়ার৷ তবে দাতারা রাজনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ও পারলে নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করতে ভালোবাসেন৷ সেক্ষেত্রে তাদের পছন্দের ও অপছন্দের দল রয়েছে – বলেন মায়ার৷ দানের ক্ষেত্রে আবার চমকও থাকে, যদিও তা হয়তো শুধু আপাতদৃষ্টিতে, নয়ত ম্যার্কেলের সহযোগী দল সিএসইউ দল যে এই নির্বাচনের বছরে কেন ৫০,০০০ ইউরোর বেশি একটিও অনুদান পায়নি, তা ব্যাখ্যা করা শক্ত – অপরদিকে বামদলের ক্ষেত্রে তা ব্যাখ্যা করা অনুরূপভাবে সহজ৷ ব্যতিক্রমও ঘটে: যেমন সবুজ দল কোনো কোটিপতি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তাদের একমাত্র এক লাখ ইউরোর অনুদানটি পেয়েছে৷
ফাঁক ও ফাঁকি
সংসদ বড় বড় অনুদানের তালিকা প্রকাশ করছে বলেই যে পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা বিরাজ করছে, লবি-কন্ট্রোল তা ভাবে না৷ ২০১৫ সালের একটি বেসরকারি জরিপ অনুযায়ী ৭৮ শতাংশ জার্মান একটি লবি রেজিস্টার দেখতে চান, যেখানে লেখা থাকবে, কে বা কোন লবিইস্টরা কিভাবে সরকারি সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বা করেছেন৷ যেমন অনুদানের ক্ষেত্রে বড় অনুদানকে ছোট ছোট পরিমাণে ভাগ করে বেনামিতে প্রদান করার সুযোগ ও সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে৷ কাজেই মায়ার চান ৫০,০০০ ইউরোর বেশি অনুদানের তালিকা প্রকাশ না করে, অনুদানের পরিমাণ ৫০,০০০ ইউরোতে সীমিত করা হোক৷
বলে রাখা দরকার, জার্মানিতে রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনি প্রচারণার জন্য কোনো আলাদা তহবিল নেই৷ দ্বিতীয়ত, জার্মান সরকার রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারকার্যের জন্য প্রতিবছর প্রায় ১৩ কোটি ৩০ লক্ষ ইউরো বরাদ্দ করে রাখেন, দলগুলি তাদের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে যে অর্থ পেয়ে থাকে৷ এছাড়া রয়েছে দলীয় সদস্যদের চাঁদা৷ কাজেই জার্মান রাজনৈতিক দলগুলি তাদের নির্বাচনি প্রচারের জন্য অনুদান নির্ভর নয় এবং সে নির্বাচনি প্রচারের খরচও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো আকাশছোঁয়া নয়৷
বেন নাইট/এসি
আসন্ন জার্মান নির্বাচন নিয়ে আপনার আগ্রহ কতটা? কোন বিষয়ে আপনি জানতে চান? লিখুন নীচে৷
জার্মানির যে সাত রাজনৈতিক দলের নামও শোনেননি আপনি
জার্মানরা শুধু সিডিইউ বা এসপিডি নয়, কিছু ছোট এবং বিরল দলকেও ভোট দিতে পারে৷ এই যেমন, প্রাণী সুরক্ষা পার্টি কিংবা মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি৷ ভাবছেন, এরা কারা? চলুন দেখে নিই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
প্রাণী সুরক্ষা দল
জার্মানিতে প্রাণী অধিকার বিষয়ক অ্যাক্টিভিস্টরা সুযোগ পেলে পুরো হাইওয়ে বন্ধ করে দেন যাতে ব্যাঙেরা নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারে৷ এমন দেশে তাই ‘অ্যানিমেল প্রোটেকশন পার্টি’ বা প্রাণী সুরক্ষা দল থাকবে না, তা কি হতে পারে? তবে গ্রিন পার্টির কারণে এ দলের পালে হাওয়া কম থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul
দ্য রিপাবলিকানস
ব্যাপারটা কিছুটা বিভ্রান্তিকর৷ জার্মানির রয়েছে নিজস্ব রিপাবলিকান পার্টি, নাম আরইপি৷ তবে এই দলের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো সম্পর্ক নেই৷ জার্মান রিপাবলিকনরা হচ্ছেন ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী, যারা নিজেদের ‘রক্ষণশীল দেশপ্রেমিক’ এবং দেশের ‘সংস্কৃতি এবং আত্মপরিচয়’ রক্ষায় লড়াইরত বলে মনে করেন৷
ছবি: DW
দ্য পার্টি
হ্যাঁ, এই দলের নাম ‘দ্য পার্টি’৷ জার্মানির স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘টাইটানিক’ এর সম্পাদকরা ২০০৪ সালে এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ দলটির প্রধান হচ্ছেন মার্টিন স্যোনেবর্ন (ছবিতে)৷ ২০১৪ সালে তিনি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে দলটির জন্য একটি আসন নিশ্চিত করেন৷ ভবিষ্যতে দলটির অবস্থা আরো ভালো হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/Sven Simon/M. Ossowski
গণভোট দল
জার্মানির রেফারেন্ডাম পার্টি বা গণভোট দলের কাছে সুইজারল্যান্ড এক বিশাল অনুপ্রেরণা৷ দলটি চায় দেশের সব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গনভোটের মাধ্যমে জনগণ নেবে৷ সুইজারল্যান্ডে ২০১৬ সালে তেরোটি গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট পার্টি
জার্মানির এমএলপিডি একটি ছোট দল, যদিও দেশটির অর্ধেক মানুষ এক সময় কমিউনিস্ট ছিলেন৷ মানে ১৯৪৯ থেকে ১৯৮৯ সাল অবধি যখন জার্মানি দুই ভাগে বিভক্ত ছিল৷ তৎকালীন পূর্ব জার্মানি তখন শাসন করেছিল সোশ্যালিস্ট ইউনিটি পার্টি৷ বর্তমানে উগ্র বামপন্থি এমএলপিডি’র জার্মান রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Link
ক্রিশ্চিয়ানস ফর জার্মানি
‘অ্যালায়েন্স সি - ক্রিশ্চিয়ানস ফর জার্মানি’ একটি ক্রিশ্চিয়ান পার্টি, যেটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে৷ খ্রিষ্টান-মৌলবাদীদের একটি দল এবং শ্রমিক, পরিবেশ এবং পরিবারভিত্তিক একটি দল একত্র হয়ে এই দল গড়ে৷ বাইবেলের মান রক্ষা করে দেশ পরিচালনা করতে চায় এই দল৷