1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাঁদে ভ্রমণের সুযোগ

৮ ডিসেম্বর ২০১২

নাসা’র সাবেক কর্মকর্তারা এবার উদ্যোগ নিলেন আগ্রহী এবং সমর্থ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য চাঁদে ভ্রমণের সুযোগ সৃষ্টির৷ তাদের প্রতিটি মহাকাশ ভ্রমণে খরচ পড়বে দেড় বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে কলোরাডোর এই উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান৷

376713 16: (FILE PHOTO) One of the few photographs of Neil Armstrong on the moon shows him working on his space craft on the lunar surface. The 30th anniversary of the Apollo 11 Moon landing mission is celebrated July 20, 1999. (Photo by NASA/Newsmakers)
ছবি: NASA/Newsmakers

বেসরকারি উদ্যোগে মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ করে দিতে বাজারে নেমেছে গোল্ডেন স্পাইক নামের একটি প্রতিষ্ঠান৷ এই প্রতিষ্ঠানের পেছনে রয়েছেন ইতিমধ্যে মহাকাশ অভিযানে সফল হওয়া অ্যাপোলো উড্ডয়নের সাবেক পরিচালক এবং নাসা'র জনসন মহাকাশ কেন্দ্রের পরিচালক জেরি গ্রিফিন এবং মহাকাশ বিজ্ঞানী ও নাসা'র বিজ্ঞান শাখার সাবেক প্রধান অ্যালান স্টার্ন৷ এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের এমন বড়মাপের উদ্যোগের সাথে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন মার্কিন সংসদের প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার নিউট গিংরিশ ও প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের সরকারে থাকা শীর্ষ কর্মকর্তা ও নিউ মেক্সিকোর সাবেক প্রশাসক বিল রিচার্ডসন৷

১৯৭২ সালের ৭ই ডিসেম্বর অ্যাপোলো ১৭ চাঁদে সফল অভিযানের ৪০তম বর্ষপূর্তির লগ্নে বেসরকারি উদ্যোগে চাঁদে ভ্রমণের এমন সুযোগের কথা প্রকাশ করেছে গোল্ডেন স্পাইক৷ প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান গ্রিফিন বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য হলো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মানুষের চাঁদে অভিযানের নির্ভরযোগ্য এবং সাধ্যের মধ্যে থাকে এমন ব্যবস্থা করা৷'' জানা গেছে, নাসা'র মহাকাশ বিজ্ঞানীদের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অভিযানের উপযোগী করে যেসব মহাকাশযানের উন্নতি সাধন করা হচ্ছে সেগুলোই ব্যবহার করবে গোল্ডেন স্পাইক৷

ঠিক কতোজন ব্যক্তি বা কতোগুলো প্রতিষ্ঠান চাঁদে ভ্রমণের জন্য নিবন্ধন করছে তার উপর ভিত্তি করে ২০২০ সাল নাগাদ গোল্ডেন স্পাইক তাদের প্রথম যাত্রা শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে এখন পর্যন্ত কেমন আগ্রহ কিংবা সাড়া পাওয়া গেছে সেব্যাপারে বিস্তারিত প্রকাশ করেননি গ্রিফিন৷

১৯৬৯ সালে নিল আর্মসবচ্রং এবং তাঁর সঙ্গীরাছবি: picture-alliance/dpa

এই অভিযানের প্রথম যাত্রায় ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন গোল্ডেন স্পাইক এর প্রেসিডেন্ট অ্যালান স্টার্ন৷ অবশ্য একবার যাত্রা শুরু করলে ধীরে ধীরে এই অভিযানের খরচ কমে দেড় বিলিয়ন ডলারে নামতে পারে বলে মনে করছেন তিনি৷ সেক্ষেত্রে দুই ব্যক্তির দুই দিনের জন্য চাঁদে ঘুরে আসতে খরচ পড়বে মাত্র দেড় বিলিয়ন ডলার৷ ওয়াশিংটনে স্টার্ন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এটা অনেক বড় পট পরিবর্তনকারী ঘটনা হবে৷ কারণ এখন রোবোটের মহাকাশ অভিযানে যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে আমরা সেই খরচে চাঁদে মানুষ পাঠাতে পারবো৷'' তবে প্রতিষ্ঠানটি কতোবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর পর লাভের মুখ দেখবে সেব্যাপারে কিছু বলেননি তিনি৷

বাণিজ্যিকভাবে মানুষের জন্য চাঁদে ভ্রমণের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্বের ১৫ থেকে ২৫টি দেশ এই সুযোগ গ্রহণ করার সামর্থ্য রাখে কিংবা আগ্রহী হতে পারে৷ চাঁদে ভ্রমণকারী সম্ভাব্য যাত্রীদের মধ্যে থাকতে পারে বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, এর সাথে জড়িত বাণিজ্যিক সংস্থা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক কিছু ব্যক্তি৷

স্টার্ন বলেন, ‘‘আমরা কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো মধ্যসারির দেশগুলোর জন্য চাঁদে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করবো৷ কারণ এসব দেশগুলো যদি এককভাবে চাঁদে অভিযান চালাতে যায়, তাদের খরচ আমাদের অভিযানের চেয়ে অনেক বেশি পড়বে৷'' এই চাঁদে ভ্রমণের টিকেট বিক্রির আগে গোল্ডেন স্পাইক এখন মনোযোগ দিচ্ছে বিজ্ঞাপন এবং প্রচারণার মাধ্যমে তহবিল গঠনের দিকে৷

অবশ্য, বেসরকারি উদ্যোগে চাঁদে অভিযানের উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে গোল্ডেন স্পাইক প্রথম প্রতিষ্ঠান নয়৷ এর আগে মুন এক্সপ্রেস এবং স্পেসএক্স এমন চাঁদ ভ্রমণের উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছে৷

এএইচ / আরআই (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ