1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বোরকা পরা মেয়েদের সিদ্ধান্ত'

২০ মার্চ ২০১৮

বোরকা বা হিজাব না পরলে সৌদি আরবে মেয়েদের জেল পর্যন্ত হয়৷ এতই কড়া আইন৷ তবে সম্প্রতি সে দেশের যুবরাজ সালমান বলেছেন, মেয়েরা নিজের সম্মানজনক পোশাক নিজেরাই বেছে নিতে পারবেন৷

Saudi-Arabien | Kronprinz Mohammed bin Salman während einer Kabinettssitzung
ছবি: picture-alliance/dpa/Saudi Press Agency

কেউ বলছেন, যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত৷ কেউ বলছেন, ব্যাখ্যা স্পষ্ট নয়৷ কেউ বলছেন, সংস্কারের আরো এক পদক্ষেপ৷ কেউ বলছেন, এখনো অনেক পথ চলার বাকি৷ তবে সকলেই আশাবাদী৷ সৌদি আরবে মেয়েদের ওপর যে নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, ক্রমশ তা শিথিল হচ্ছে৷ এবং তার জন্য একমাত্র ধন্যবাদ প্রাপ্য সে দেশের বর্তমান যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের৷

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে ১ ঘণ্টার এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যুবরাজ সালমান৷ সেখানে তিনি বলেছেন, সৌদি আরবের মেয়েরাই ঠিক করবেন, তাঁরা কী পরবেন৷ তিনি বলেছেন, আবায়া বা বোরকা পরা মোটেই বাধ্যতামূলক নয়, কারণ, শরিয়তে তার কোনো উল্লেখ নেই৷ শরিয়া থেকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, সেখানে বলা আছে, মেয়েরা পুরুষের মতো সম্মানজনক পোশাক পরবেন, যাতে তাঁদের শরীর ঢাকা থাকে৷ কিন্তু কোনো বিশেষ পোশাকের কথা সেখানে বলা নেই৷

বস্তুত, বিভিন্ন দিক থেকেই নারীদের ওপর নানারকম অসম্মানজনক বিধিনিষেধ চালু আছে আরবে৷ জনসমক্ষে আসতে হলে মেয়েদের সেখানে কালো বোরকা পরতে হয়৷ মাথা এবং মুখও ঢেকে রাখতে হয়৷ অন্যরকম পোশাক পরার জন্য সেখানে মেয়েদের জেলও হয়েছে৷ পুলিশ এবং প্রশাসন এ বিষয়ে খুবই কড়া৷

কিন্তু যুবরাজের ঘোষণার পর অনেকেই মনে করছেন, সেই ব্যবস্থা এবার শিথিল হবে৷ মেয়েরা পোশাকের স্বাধীনতা পাবে৷ তবে সে দেশে নারী স্বাধীনতা নিয়ে যাঁরা আন্দোলন করেন, তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, যুবরাজ বিষয়টি ভাসিয়ে দিয়েছেন৷ বলেছেন, মেয়েদের সম্মানজনক পোশাক পরতে হবে৷ আইনে এর ব্যাখ্যা কী হবে সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন৷ বস্তুত তাঁদের মতে, কিছুদিনের মধ্যেই যুবরাজ যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন৷ সেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও তাঁর দেখা হওয়ার কথা৷ সেখানে গিয়ে যাতে কোনো অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে না হয়, তার জন্যই সালমান এমন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বলে অনেকের ধারণা৷

তবে অনেকেই বিষয়টিকে সদর্থক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন৷ তাঁদের বক্তব্য, এর আগেও বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ করেছেন সালমান৷ এ বছরের গ্রীষ্ম থেকে সে দেশের মেয়েরা গাড়ি চালাতে পারবেন৷ বিভিন্ন খেলার অনুষ্ঠানেও মেয়েরা যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন৷ যদিও সেখানে তাঁকে কোনো পুরুষ মানুষের সঙ্গে যেতে হবে৷ বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এখনো অনেক পথ চলার বাকি৷ কিন্তু সংস্কার হচ্ছে৷ সেটাই আশাব্যঞ্জক৷ তাঁদের বিশ্বাস, যুবরাজের ঘোষণার পর নারীদের পোশাকের বিষয়ে আইনও বদলাবে৷ উল্লেখ্য ইরানে বছরখানেক ধরে বোরকা এবং হিজাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন সেখানকার নারীরা৷ বহু নারী ইতিমধ্যে জেলে গিয়েছেন৷ এমন সময়ে যুবরাজ সালমানের এহেন বক্তব্য আশা জাগায়৷

রেবেকা স্টাউডেনমায়ার, এসজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ