বৈরুতে হেজবোল্লাহ বিক্ষোভে গুলি, মৃত ছয়
১৫ অক্টোবর ২০২১বৃহস্পতিবার বৈরুতের জাস্টিস প্লেসে বিক্ষোভ জানাবার জন্য আসছিলেন হেজবোল্লাহ ও আমাল সমর্থকরা। তাদের দাবি ছিল, বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিয়ে তদন্তরত বিচারককে সরিয়ে দিতে হবে। কারণ, তিনি পক্ষপাতপূর্ণ তদন্ত করছেন। ওই বিস্ফোরণে ২১৯ জন মারা গেছিলেন। বিক্ষোভ জানাতে আসার পথে তাদের উপর গুলি চলে। ছয়জন মারা যান। আহত অন্তত ৩৬ জন।
হেজবোল্লাহের অভিযোগ, লেবানিজ ফোর্স(এলএফ)-এর খ্রিস্টান শ্যুটাররা গুলি চালিয়েছে। কিন্তু এলএফ তা অস্বীকার করেছে। তারা উল্টে হেজবোল্লাহের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
২০২০ সালের অগাস্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বৈরুতবন্দর। শহরের একটা অংশ পুরো বিপর্যস্ত হয়ে যায়। হেজবোল্লাহ ও আমাল সমর্থকরা মনে করছে, বিচারক পক্ষপাতদুষ্ট। কিন্তু মৃতদের পরিবার এরকম কোনো অভিযোগ করেনি। ওই বিস্ফোরণের জন্য এখনো পর্যন্ত কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিকে দায়ী করা হয়নি।
এখনো পর্যন্ত যা জানা গেছে
জাস্টিস প্যালেসের বাইরে হেজবোল্লাহ সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তদন্তকারী বিচারককে সরিয়ে দেয়ার দাবি একটি আদালত বৃহস্পতিবার খারিজ করে দেয়। তারপর বিক্ষোভ শুরু হয়।
হেজবোল্লাহ সমর্থকরা যখন সেই বিক্ষোভে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন, তখন গুলি চলতে শুরু করে। বৈরুতের খ্রিস্টান-বহুল এলাকা দিয়ে তারা যাচ্ছিলেন। পরপর দুইটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তারপর অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়। তারা দোষীদের খোঁজ করতে থাকে।
সেনার তরফ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা জাস্টিস প্লেসে যাচ্ছিলেন। তখন তাদের উপর গুলি চালানো হয়। স্বরষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাড়ির ছাদ থেকে বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। আক্রমণকারীরা রকেট-চালিত গ্রেনেডও ছোড়ে।
সেনা জানিয়েছে, তাদের জওয়ানরাও গুলি চালিয়েছিল। সাধারণ মানুষকে ওই এলাকা খালি করে দিতে বলা হয়েছে।
নয়জন গ্রেপ্তার
সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার মধ্যে একজন সিরিয়ার নাগরিক। প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিটাকি সকলকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, দোষীদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। তিনি একদিনের জাতীয় শোকের ঘোষণাও করেছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি দেখে ১৯৭৫ ও ১৯৯০ সালের ভয়ংকর গৃহযুদ্ধের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)