1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলা

১৫ এপ্রিল ২০১৪

বার্লিনে সপ্তাহব্যাপী অধিবেশনের পর আইপিসিসি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা, পরিণাম ও এর মোকাবিলা সম্পর্কে অনেক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছে৷ রাজনৈতিক নেতৃত্ব সেই পরামর্শ-প্রস্তাব কার্যকর করার কতটা সদিচ্ছা রাখেন, সেটা এবার লক্ষ্যণীয়৷

বার্লিন সম্মেলনে আইপিসিসি-র প্রধান রাজেন্দ্র পচৌরি (ডানে)ছবি: picture-alliance/AP

ব্যক্তিবিশেষ জেনেশুনে ভুল করলে তাকে ‘জ্ঞানপাপী' বলা হয়৷ কিন্তু গোটা মানবজাতি যদি বছরের পর বছর ধরে সতর্কবাণী উপেক্ষা করে নিজেদের ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চললে কী হয়, তার কোনো সংজ্ঞা এখনো তৈরি হয়নি৷ জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যানেল আইপিসিসি আবার জানিয়ে দিলো যে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঘটে চলেছে এবং তার পরিণাম হবে মারাত্মক৷ অথচ এর মোকাবিলার কাজ মোটেই কঠিন নয়, ব্যয়ভারও তেমন বেশি নয়৷ অত্যন্ত দ্রুত সেই কাজ শুরু না করলে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে৷

আইপিসিসি-র হিসাব অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড সহ অন্যান্য ক্ষতিকারক গ্যাসের মাত্রা বছরে গড়ে ২.২ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ বিশেষ করে জ্বালানি ক্ষেত্রে কয়লার ব্যবহারই এর একটা বড় কারণ৷ কোনো কিছু না করে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা এখনকার তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে৷

আইপিসিসি-র প্রধান রাজেন্দ্র পচৌরি বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মোকাবিলা করতে যত দেরি হবে, তার ব্যয়ভারও ততই বেড়ে যাবে৷ তাছাড়া এই ব্যয়ের ফলে মানুষের শিল্প-বাণিজ্য সংক্রান্ত কার্যকলাপে কোনো ব্যাঘাতও ঘটবে না৷ অর্থাৎ এমন পদক্ষেপ এখনো মানুষের ক্ষমতার সীমার মধ্যেই রয়েছে বলে মনে করেন তিনি৷

কোন ধরনের পদক্ষেপের ফলে কতটা কাজ হবে, তারও রূপরেখা তুলে ধরেছে আইপিসিসি৷ জীবাশ্ম-ভিত্তিক জ্বালানি ছেড়ে বিকল্প জ্বালানি অথবা কম নির্গমন হয় – এমন জ্বালানির পথে অগ্রসর হলে জ্বালানির ব্যবহার বছরে ০.০৬ শতাংশ কমে যাবে৷ এর ফলে অর্থনৈতিক সুবিধাও পাওয়া যাবে৷ এখনই পুরোপুরি পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের সম্ভাবনা যে অবাস্তব, আইপিসিসি সে বিষয়ে সচেতন৷ তাই আণবিক শক্তির মতো ‘লো কার্বন' জ্বালানির ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে৷ এমনকি আধুনিক প্লান্ট ব্যবহার করে জীবাশ্ম-ভিত্তিক জ্বালানির নির্গমনের একাংশ বশে আনার কাজেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে৷

আর্থিক অঙ্কের বিচারে ভবিষ্যতে জীবাশ্ম-ভিত্তিক জ্বালানির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বছরে ৩,০০০ কোটি ডলার করে কমে যাবে বলে আশা করছে আইপিসিসি৷ অন্যদিকে ‘লো কার্বন' জ্বালানির ক্ষেত্রে সেই অঙ্ক দাঁড়াবে ১৪,৭০০ কোটি ডলার৷ পরিবহন, বাড়িঘর, শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদিত জ্বালানি সাশ্রয়ের মাত্রা দাঁড়াবে ৩৩,৬০০ কোটি ডলার৷

এই সব বৈজ্ঞানিক তথ্য ও অর্থের অঙ্কের বাস্তব মূল্যায়ন কী হয়, সেটাই এখন প্রশ্ন৷ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে শুরু থেকেই শিল্পোন্নত বিশ্ব ও উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে দর কষাকষি চলে আসছে৷ আইপিসিসি-র সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলির কার্বন নির্গমনের মাত্রাও বেড়ে চলেছে৷ পৃথিবীর দেশগুলি কী ভাবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে, আইপিসিসি সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, শুধু দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মনে করিয়ে দিয়েছে৷

এসবি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ