বায়ু দূষণ বাড়ছে, আর সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশুদ্ধ বাতাস বোতলে ভরে বিক্রির ধান্দা শুরু করেছেন কিছু চতুর ব্যবসায়ী৷ বড় বড় শহরে, স্যুভেনির হিসেবে বা হাসপাতালে বিক্রি হচ্ছে এই বাতাস৷ কেউ কেউ নিজেদের সাফল্যের নিজেরাই স্তম্ভিত!
বিজ্ঞাপন
জার্মানির অন্যতম গবেষণা প্রতিষ্ঠান মাক্স প্লাঙ্ক-এর একটি পরিসংখ্যান বলছে, চীনে বায়ু দূষণের কারণে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়৷ ফসলের ক্ষতি, বিমান ও গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মতো আরো কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে৷
বেইজিং এবং সাংহাইয়ের মতো শহরে ধোঁয়াশা এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, শহরের বাসিন্দারা এখন ২০ ডলার করে অক্সিজেন বোতল আমদানি করা শুরু করেছেন৷ ক্যানাডিয়ান উৎপাদনকারীরা বলছে এক লিটার অক্সিজেন দিয়ে কম-বেশি ১৫০ বার নিঃশ্বাস নেয়া যায়৷
ঢাকায় বায়ু দূষণে মরছে বছরে ১৫ হাজার মানুষ
প্রায়ই ঢাকা শহরের উপরে ভেসে বেড়ায় কুয়াশা ও ধোঁয়ার মিশ্রণ বা স্মগ৷ আর শুধু বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর মারা যায় শহরটির ১৫ হাজার মানুষ৷ তবে শুধু ঢাকা নয়, আরো অনেক শহরের অবস্থা এমন৷ দেখুন এখানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উলান বাটর, মঙ্গোলিয়া
উলান বাটর শুধুমাত্র বিশ্বের সবচেয়ে ঠান্ডা রাজধানী নয়, এটি চরম বায়ু দূষণের শিকারও৷ শীতের মাসগুলোতে টেসিগি-র তাঁবুগুলো গরম রাখতে কয়লা এবং কাঠ ব্যবহার করা হয়, যা শহরের সত্তর শতাংশ স্মোগের কারণ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত নিরাপদ সীমার চেয়ে সাতগুন বেশি দূষিত উলান বাটরের বাতাস৷
ছবি: DW/Robert Richter
বেইজিং, চীন
চীনের রাজধানী স্মগে এতই ক্ষতিগ্রস্ত যে বিজ্ঞানীদের মতে, শহরটি বসবাসের প্রায় অনুপযোগী৷ তাসত্ত্বেও দুই কোটি মানুষ বাস করে সেখানে৷ ধারণা করা হয়, বিশ্বে প্রতিবছর ৩৫ লাখ মানুষ বায়ু দূষণের কারণে মারা যায়, যাদের মধ্যে অর্ধেকই চীনের বাসিন্দা৷
ছবি: picture alliance/Photoshot
লাহোর, পাকিস্তান
পরিবেশ নিয়ে পাকিস্তানের উদ্বেগগুলোর মধ্যে অন্যতম বায়ু দূষণ৷ দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর করাচির অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়৷ শহরটিতে স্মগের মূল কারণগুলো হচ্ছে রাস্তায় অনেক যান চলাচল, ময়লা পোড়ানো এবং আশেপাশের মরুভূমি থেকে আসা ধূলিকণা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নতুন দিল্লি, ভারত
ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লিতে কারের সংখ্যা গত ৩০ বছরে এক লাখ ৮০ হাজার থেকে ৩৫ লাখে পৌঁছেছে৷ তাসত্ত্বেও অবশ্য সেখানে স্মগের সবচেয়ে বড় কারণ কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র৷ শহরের দূষিত বায়ুর ৮০ শতাংশের উৎসই এগুলো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রিয়াদ, সৌদি আরব
রিয়াদে ধুলিঝড় স্মগ সৃষ্টির অন্যতম কারণ৷ কেননা এটি বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কায়রো, মিশর
কায়রোর দূষিত বাতাস শহরের বাসিন্দাদের অনেক রোগের কারণ৷ বায়ু দূষণের কারণে শ্বাসযন্ত্রের নানাবিধ সমস্যাসহ ফুসফুসে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে৷ শিল্প উন্নয়ন এবং রাস্তায় যানবাহনের বাড়তি উপস্থিতি দূষণের কারণ৷
ছবি: DW Akademie/J. Rahe
ঢাকা, বাংলাদেশ
জার্মানির মাইনৎস শহরের ম্যাক্স-প্লান্ক ইন্সটিটিউট-এর এক গবেষণা অনুযায়ী, বায়ু দূষণের কারণে ঢাকায় বছরে মারা যায় ১৫ হাজার মানুষ৷ গবেষকরা ঢাকার বাতাসে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সালফার ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মস্কো, রাশিয়া
বাহ্যিকভাবে একই মনে হলে শহর ভেদে স্মগের ধরন আলাদা৷ যেমন মস্কোর বাতাসে হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি অনেক বেশি৷ আর এই দূষণের মধ্যে শহরের পশ্চিমাঞ্চলের বাতাস তুলনামূলকভাবে ভালো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
ভৌগোলিক কারণে মেক্সিকো সিটির স্মগ বিপজ্জনক৷ বাতাসে সালিফার ডাই-অক্সাইড এবং হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতির কারণে দীর্ঘসময় শহরটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল৷ কিছু ফ্যাক্টরি বন্ধ করায় এবং যান চলাচল নীতিতে পরিবর্তনের কারণে পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে ভালো হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
9 ছবি1 | 9
নিজের সাফল্যে চমৎকৃত ক্যানাডার এডমন্টনের ভাইটালিটি এয়ারের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোজেস লাম৷ টেলিভিশন চ্যানেল সিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেন, পুরোটাই শুরু হয়েছিল একটা রসিকতার অংশ হিসেবে৷ কিন্তু প্রথম উৎপাদনের ১০০ বোতল যখন চার দিনেই শেষ হয়ে যায়, তখন তিনি বিষয়টাকে পেশাগত রূপ দেয়া শুরু করেন৷
ভাইটালিটি এয়ার এখন শুধু চীন না, ভারত, কোরীয়া এবং ভিয়েতনামেও ব্যবসা চালাচ্ছে৷ দুই সপ্তাহ পরপর ২০ জন কর্মী ক্যানাডার রকি মাউন্টেইন থেকে কয়েক লাখ লিটার বাতাস সংগ্রহ করেন৷ ‘‘বানফ ন্যাশনাল পার্ক থেকে সংগ্রহ করা বাতাস এখন বিক্রির শীর্ষে'', বলেন মোজেস লাম৷
বিশুদ্ধ বাতাস উৎপাদন বেশ জটিল৷ সংগৃহীত বাতাসের মাত্র ২০ ভাগ থাকে বিশুদ্ধ অক্সিজেন৷ ফলে বাতাসকে শোধন ও সংকুচিত করে বোতলে ঢোকাতে হয়৷ মূল্যবান এই পণ্যের স্থায়ীত্বও খুব কম৷ লাম বলছেন, ‘‘এক থেকে দু'বছরের মধ্যে এই বোতল ব্যবহার করে ফেলা উচিত৷''
সিডনির গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন ২০১৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার বাতাস সরবরাহ করছে৷ ব্লু মাউন্টেন, গোল্ড কোস্ট, এমনকি গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের বাতাসও বিক্রি করে এই কোম্পানি৷ তবে অর্ডার করতে হবে ন্যূনতম চার হাজার বোতল৷ প্রতি বছরই লাখ লাখ ডলার আয় করছে প্রতিষ্ঠানটি৷ কোম্পানির ক্রেতারা বেশিরভাগই আসছেন এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে৷
বায়ুদূষণ রোধে গাড়ি উৎপাদক এবং বিভিন্ন শহর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ কোনো কাজে না আসায় জার্মানিকেও ভবিষ্যত বাজার হিসেবে দেখছে গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন৷ ডিজেল সম্মেলন তেমনই এক ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়৷
বহুমাত্রিক দূষণের কবলে কলকাতা
‘রক্তে বিষ মিশে আছে প্রিয়তমা’— কবিতার লাইন সত্যি হয়েছে৷ দিল্লি বা বেঙ্গালুরুর তুলনায় দূষণ অনেকটাই কম কলকাতায়৷ তবুও আজ বহুমাত্রিক দূষণের কবলে মিছিলনগরী৷
ছবি: DW/Payel Samanta
সভ্যতার বিষবাষ্প
নিঃশ্বাসের সঙ্গে রোজ নানা ধরণের বিষাক্ত উপাদান গ্রহণ করেন কলকাতার মানুষ৷ বাতাসে নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেশি৷ শহর ও শহরতলির কারখানা ও গাড়ির ধোঁয়া বাড়াচ্ছে হাঁপানি ও ফুসফুসের অসুখ৷গত ৫ জুন ছিল আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস৷ এই দিনে কলকাতা কি কিছু শিখল?
ছবি: DW/Payel Samanta
জলে যখন মারণ রোগ
কলকাতার দূষণের নেপথ্যে অপরিকল্পিত শহর হিসেবে তার গড়ে ওঠা৷ লিড ব্যাটারি রিসাইক্লিং, ক্রোম-লেদার প্রসেসিং এবং ইলেকট্রনিক ওয়েস্ট ডাম্পিংয়ের বর্জ্যে দূষিত খাল-বিল৷ জলাশয় বুজিয়ে চলছে নগরায়ন৷
ছবি: DW/Payel Samanta
বিপদে গঙ্গা
রাসায়নিক বর্জ্য দূষিত করে গঙ্গার মতো নদীকেও৷ পাশাপাশি বিসর্জনের প্রতিমা বা ফুল-মালায় হচ্ছে জলদূষণ৷ বিপন্ন ছোট মাছ, শামুক এবং বকেরা৷
ছবি: DW/Payel Samanta
ছিঃ ছিঃ এত্তা জঞ্জাল!
সুপ্রিম কোর্টের ঘোষণা অনুযায়ী, কলকাতার সবচেয়ে দূষিত এলাকা ট্যাংরা-তিলজলা৷ তবে শহরের যত্রতত্র এমন ডাঁই করা আবর্জনা দেখলে মনে হবে, সারা শহরটাই দূষিত! ঘুমিয়ে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্য প্রশাসন৷
অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক রাখতে এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন ঠেকাতে গাছ লাগানোই সঠিক পন্থা৷ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বরানগরে গাছ লাগানোর কর্মসূচিতে শিশুদের পাশে বড়রা৷
ছবি: DW/Payel Samanta
প্রাণের আরাম
কলকাতায় প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যা দেশের বাকি মহানগরগুলির তুলনায় অনেকটা কম৷ গাড়ি-দূষণের মোকাবিলায় রাজপথে রয়েছে সবুজের সমারোহ৷
ছবি: DW/P. Samanta
দূষণ প্রতিরোধে
যানজটের জন্য থমকে থাকা গাড়ির ধোঁয়া দূ্ষণের মাত্রা বাড়ায়৷ তা রুখতে বিকল্প জ্বালানিনির্ভর যানবাহন রাস্তায় নেমেছে৷ তার অন্যতম এলপিজি চালিত অটো৷
ছবি: DW/Payel Samanta
যত্নের অভাব
কর্তব্যের খাতিরে ব্যস্ত রাস্তার ধারে হয়েছে বৃক্ষরোপণ৷ কিন্তু তার ঠিক মতো দেখভাল হয় না৷ জলের অভাবে ধুঁকছে, শুকিয়ে যাচ্ছে গাছ৷
ছবি: DW/Payel Samanta
বর্জ্য হইতে সাবধান
হাসপাতালে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, অশোধিত কাঁচের যন্ত্রপাতি দূষণ ও সংক্রমণের আকর৷ মাটিতে মিশে যাওয়া জৈব এবং না মিশে যাওয়া অজৈব বস্তুগুলিকে আলাদা রাখাই শ্রেয়৷ আবর্জনা ঘেঁটে যাঁদের জীবিকা নির্বাহ হয়, তাঁদের ভালো রাখা সবার কর্তব্য৷
কেউ কেউ স্মারক হিসেবে বাড়িতে সাজিয়ে রাখছেন এই বোতলজাত বায়ু৷ এখন পর্যন্ত ব্ল্যাক ফরেস্ট এবং কাক্কু ক্লকস আছে পছন্দের শীর্ষে৷ ঐতিহ্যের বিপরীতে গিয়ে এলকে ওট অ্যালুমিনিয়ামে ক্যানে করে বিক্রি করছেন ব্ল্যাক ফরেস্টের বাতাস৷
২০০৬ সালে একই ধরনের বিষয় একবার চেষ্টা করা হয়েছিল৷ তখন ‘বার্লিনের আসল বাতাস' কিনতে পাওয়া যেত৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্ক করে দিয়েছিল যে, এই বাতাসে ৩০ শতাংশ ভাসমান বস্তুকণা থাকতে পারে৷ কিন্তু তাও বন্ধ হয়নি উৎপাদন ও বিপণন৷
তবে এ নিয়ে যতই হাসিঠাট্টা হোক না কেন, পরিবেশ উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজনীয়তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে এই বোতলজাত বাতাস৷
বাতাস বিশুদ্ধ করতে না পেরে বিজ্ঞানীরা এখন মানুষের অক্সিজেনের চাহিদা কীভাবে কমিয়ে ফেলা যায়, সে গবেষণা করছেন৷ বার্লিনের মাক্স ডেলব্র্যুক সেন্টার ফর মলিকিউলার মেডিসিনের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন নেকেড মোল ইঁদুর তাদের মাটির তলার গর্তে খুব অল্প অক্সিজেন নিয়ে দিনের পর দিন বাঁচতে পারে৷ পরীক্ষাগারে এরা শেকড় থেকে ফ্রুকটোজ শুষে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা টিকে ছিল৷ যেখানে স্বাভাবিক নাড়ির স্বাভাবিক গতি মিনিটে ২০০ বার, সেখানে এই ইঁদুর নাড়ি মিনিটে ৫০-এ নামিয়ে আনতে পারে৷
এই আবিষ্কার কীভাবে মানুষের জীবনে কাজে লাগানো যায়, তা বের করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা৷ এবং তাঁরা সবাইকে আশ্বস্ত করছেন, গাড়ি শিল্পের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই৷
ভল্ফগাং ডিক/এডিকে
প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো? লিখুন নীচের ঘরে৷
ধোঁয়াশার নগরী
‘স্মগ’ মানে হচ্ছে কুয়াশা আর ধোঁয়ার সংমিশ্রণ৷ অর্থাৎ এটা বায়ু দূষণের একটা ধরণ৷ বিশ্বের অনেক দেশের মানুষই এখন এই দূষিত বায়ুর শিকার হচ্ছেন৷ এ ছবিঘরে থাকছে সেসব কথাই৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বেইজিং, চীন
চীনের এই মহানগরীটি এবারের শীতে ধোঁয়াশার শহরে পরিণত হয়েছে৷ ফলে সেখানকার অধিবাসীদের মুখে মাস্ক লাগিয়ে বাইরে বের হতে হচ্ছে৷ অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ১০টি ধোঁয়াশার শহরের নামের তালিকায় বেইজিংয়ের নাম নেই৷
ছবি: picture alliance/Photoshot
আহওয়াজ, ইরান
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকা সবচেয়ে বেশি ধোঁয়াশার নগরী হিসেবে এসেছে ইরানের আহওয়াজ শহরের নাম৷ ঐ শহরে অনেকগুলো ভারী শিল্প-কারখানার অবস্থান, যেখানে পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় তেল, বিভিন্ন ধরনের ধাতু ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার হয়৷
ছবি: ISNA
উলান বাটোর, মঙ্গোলিয়া
বিশ্বের অন্যতম শীতল রাজধানী মঙ্গোলিয়ার উলান বাটোর৷ ফলে শীতের সময় সেখানকার অধিবাসীরা ঘর গরম রাখতে বাড়িতে কয়লা আর কাঠ ব্যবহার করে আগুন জ্বালানোর ব্যবস্থা করে৷ আর এই ব্যবস্থাটাই নগরীর প্রায় ৭০ ভাগ ধোঁয়াশার কারণ৷ তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় আহওয়াজের পরই রয়েছে উলান বাটোরের নাম৷
ছবি: picture-alliance/landov
লাহোর, পাকিস্তান
রাস্তার গণপরিবহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া, আবর্জনা পোড়ানো ও পার্শ্ববর্তী মরুভূমি থেকে ময়লার কারণে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী পরিণত হয়েছে ধোঁয়াশার শহরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নতুন দিল্লি, ভারত
গত ৩০ বছরের দিল্লিতে গাড়ির সংখ্যা প্রায় দু’লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ৷ এরপরও অবশ্য কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোই নগরীর ৮০ শতাংশ বায়ু দূষণের কারণ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রিয়াদ, সৌদি আরব
সৌদি আরবের মতো দেশে ধুলা ঝড়ের কারণে ধোঁয়াশা তৈরি হয়৷ এছাড়া সেখানকার ঘন অতিবেগুনি রশ্মি যানবাহন ও শিল্প কারখানার নির্গত ধোঁয়াকে ওজন স্তরে পাঠিয়ে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কায়রো, মিশর
রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধির কারণে কায়রোতে বায়ু দূষণ বাড়ছে৷ এর ফলে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন সেখানকার অধিবাসীরা৷
ছবি: DW Akademie/J. Rahe
ঢাকা, বাংলাদেশ
জার্মানির মাইনৎস শহরের মাক্স-প্লাংক ইনস্টিটিউটের এক জরিপে জানা গেছে যে, বায়ু দূষণের কারণে ঢাকায় প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়৷ এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ঢাকার বাতাসে সালফার ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা৷