ডিনামাইট দিয়ে মাছ-ধরার ফলে প্রবাল প্রাচীর বা কোরাল রিফগুলোর কী দশা হচ্ছে, তা নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই৷ অথচ সেখানেই নানা প্রজাতির মাছ ডিম পাড়ে৷ কাজেই মিয়ানমারের কাছে ব্লাস্ট ফিশিং নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা৷
বিজ্ঞাপন
বহু মাস ধরে ওরা এই মুহূর্তটির জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন৷ সারা বিশ্ব থেকে মেরিন বায়োলজিস্টরা এসেছেন মিয়ানমারের মের্গুই দ্বীপপুঞ্জে গবেষণা করতে৷ বিরল প্রজাতি, অক্ষত কোরাল রিফ বা প্রবালপ্রাচীর, বিজ্ঞানীরা এ সব দেখার আশা রাখেন৷
গবেষণার জাহাজটিতে তারা আগামী এগারো দিন কাটাবেন৷ দিনে তিনবার করে জলে নামবেন, ডুবুরির সাজে, রাতেও, যা খুব সহজ কাজ নয়৷ শুধু এভাবে পর্যাপ্ত নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব৷ অর্থাৎ আগামী কয়েক মাসের জন্য পর্যাপ্ত কাজ৷
ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা ইন্টারন্যাশনাল নামের পরিবেশ সংগঠন বিজ্ঞানীদের দলটিকে এখানে এনেছে৷ তাদের মধ্যে আছেন অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানী ব্যারি রাসেল, যিনি মাছের প্রজাতি নির্ধারণের দায়িত্বে৷ অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরির মিউজিয়াম অ্যান্ড আর্ট গ্যালারির ফিশ ট্যাক্সোনমিস্ট ড. ব্যারি রাসেল জানালেন, ‘‘গতবার আমরা কোরাল রিফের ৪০৯টি প্রজাতির মাছ নথিভুক্ত করেছিলাম; এবার এই অঞ্চলে আমরা ৫০০-র বেশি প্রজাতির দেখা পাবো বলে আমাদের ধারণা৷ কাজেই আমরা গতবার যে সব প্রজাতির দেখা পাইনি, তাদের খোঁজে রয়েছি৷''
এভাবেও মাছ ধরা যায়!
05:35
‘থাইপ্রযুক্তি'
তবে চমকের কোনো অভাব নেই৷ প্রতিদিন সন্ধ্যায় একই দৃশ্য – ‘‘থাই প্রযুক্তি'', বললেন জেমস ট্রু, যিনি ডুবুরিদের দায়িত্বে রয়েছেন৷ তিনি ইতিপূর্বে থাইল্যান্ডে গবেষণা করেছেন, কাজেই মাছ ধরার এই পদ্ধতি তিনি চেনেন৷ ‘‘ওদিকে আরো তিনটে জাহাজ দেখতে পাচ্ছি''....মিয়ানমারের রাজনৈতিক উন্মোচনের পর এই মাছ-ধরার বোটগুলি এখানেও উদয় হতে শুরু করেছে৷
থাইল্যান্ডের প্রিন্স অফ সংক্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জেমস ট্রু জানালেন, ‘‘আলো দেখে টোপের মাছ আসে, স্কুইড আসে, প্রচুর কচি মাছেরাও আসে – সেটাই একটা বড় সমস্যা, কেননা অনেক কচি মাছ এই আলোর বোটগুলোর হাতে ধরা পড়ে, তারা কোরাল রিফ অবধি পৌঁছায়ই না৷ কাজেই এই বোটগুলো মাছের সংখ্যা নতুন করে বাড়তে দিচ্ছে না, অনেক বোট গুলোর আর মাছ-ধরিয়েরা এত দক্ষ৷''
মাত্রাধিক মাছ ধরার ফলে প্রবালপ্রাচীরগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ বিজ্ঞানীদের দল জানতে চান, মের্গুই দ্বীপপুঞ্জের কোন কোন কোরাল রিফ এখনও অক্ষত আছে, আর কোথায় সম্ভবত বড় দেরি হয়ে গেছে৷ সেজন্য তারা ঝিনুক অনুসন্ধান করে দেখছেন; কানকোগুলোয় যে ব্যাকটেরিয়া গজায়, সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখছেন৷ কেননা বিশেষ করে এই ঝিনুকগুলো থেকে পানির উৎকর্ষ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়; কোরাল রিফ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঝিনুকগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিনা, তা জানা যায়৷
এআরসি সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ফর কোরাল রিফ স্টাডিজের ড. অ্যামেলিয়া ওয়েঙ্গার বলেন, ‘‘রিফগুলো আরো ভালো অবস্থায় থাকবে বলে আমি ভেবেছিলাম৷ প্রথমবার জলে নেমে যখন ধ্বংসের পরিমাণ দেখলাম, তখন চমকে গেছিলাম৷ বিশেষ করে ডিনামাইট ফাটিয়ে মাছ ধরা৷ এতো ব্যাপকভাবে আমি তা কখনো ঘটতে দেখিনি৷''
মাছের জন্য লিফট, সিঁড়ি, ট্রেন!
কখনও ভেবে দেখেছেন নদীর যে অংশে বাঁধ দেয়া আছে সেই অংশটি মাছ পার হয় কীভাবে? ছবিঘরে থাকছে সেই উত্তর৷
লিফট
ছবিতে বাঁধের ডানপাশে যে স্থাপনাটি দেখতে পাচ্ছেন সেখানে মাছের জন্য লিফটের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এর মাধ্যমে মাছ উপর থেকে নীচে কিংবা নীচ থেকে উপরে যেতে পারে৷ জার্মানি এক কোম্পানি এই লিফট তৈরি করে ‘জার্মান ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছে৷
ছবি: Baumann Hydrotec
যেভাবে কাজ করে
বাঁধের নীচে স্থাপিত একটি চেম্বারের মধ্যে থাকা কন্টেনারের মধ্যে মাছ প্রবেশ করার পর ঢাকনা বন্ধ হয়ে যায়৷ এরপর চেম্বারের মধ্যে পানি প্রবেশ করতে থাকলে কন্টেনারটি উপরের দিকে উঠতে থাকে৷ এভাবে সম্পূর্ণ উপরে উঠে যাওয়ার পর ঢাকনাটি খুলে গেলে মাছ বের হয়ে যায়৷
ছবি: Baumann Hydrotec
লিফট কেন দরকার
কারণ অনেক মাছই আছে যেগুলো ডিম পাড়তে কিংবা খাবারের সন্ধানে অনেক পথ পাড়ি দেয়৷ যেমন স্যামন মাছ ডিম পাড়ার উপযুক্ত জায়গার সন্ধানে শত শত কিলোমিটার দূরে যায়৷ এই চলার পথে মনুষ্যসৃষ্ট কোনো বাধা পেরোতে মাছের লিফট প্রয়োজন হয়৷
ছবি: picture alliance/Arco Images GmbH
কিন্তু ব্যবস্থা না থাকলে?
ছবিতে যে বাঁধটি দেখতে পাচ্ছেন সেখানকার নীচের অংশে কোনো মাছ পৌঁছানোর পর যদি লিফট না পেয়ে সামনে যেতে না পারে তাহলে কী হতে পারে? উপর থেকে পানি যে বেগে পড়ছে তার প্রভাবে কি মাছ মরে যেতে পারে না?
ছবি: Getty Images/Jeff T. Green
মাছের জন্য ট্রেন!
১৯৪৪ সালে যখন দক্ষিণ কোরিয়ার হওয়াচন বাঁধ তৈরি হয় তখন তার কারণে মাছেদের একটি গুরুত্বপূর্ণ চলার পথ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল৷ এর সমাধান করা হয় মাছের জন্য মনোরেল তৈরি করে৷ এর মাধ্যমে মাছকে বাঁধের এক স্তর থেকে আরেক স্তরে পৌঁছে দেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yonhap News
ইউরোপের সবচেয়ে বড়
জার্মানির হামবুর্গে এলবে নদীতে মাছেদের জন্য প্রায় সাড়ে ৫০০ মিটার দীর্ঘ এই স্থাপনাটি তৈরি করা হয়েছে৷ সেখানে মোট ৪৫টি পুল রয়েছে, যেগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে যুক্ত৷ চলার পথে মাছেদের এই পুলগুলো ব্যবহার করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়৷ প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৫ হাজার মাছ এই পথ পাড়ি দেয়৷
ছবি: dapd
ঘুরানো সিঁড়ি
লিফট বা মনোরেল ছাড়াও অনেক জায়গায় মাছেদের জন্য এমন ঘুরানো সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এর সুবিধা হলো, এতে মাছেদের আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Lübke
জার্মানির কিল শহরে
উত্তর জার্মানির কিল শহরের একটি পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে মাছেদের জন্য এই ঘুরানো সিঁড়ি স্থাপনা করা হয়েছে৷ এটি ২০০ মিটার দীর্ঘ৷ আর এতে ৩৬টি পুল আছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Pfeiffer
8 ছবি1 | 8
বিপর্যয়ের পূর্বাভাস
মৃত প্রবালের ধ্বংসস্তূপ৷ পরিবেশ প্রণালীর পক্ষে একটি বিপর্যয়ের সমতুল৷ প্রবালপ্রাচীরগুলোতে বহু প্রজাতির মাছ ডিম পাড়ে৷ কোরাল রিফ ধ্বংস হওয়ার মানে, প্রজাতিগুলো উধাও হওয়া৷ গবেষকরা কিছু ‘‘ভুতুড়ে জাল'' খুঁজে পেলেন – পুরনো ফেলে দেওয়া বা হারিয়ে যাওয়া মাছ ধরার জাল৷ অথচ সেই জালে জড়িয়ে আজও সাগরের প্রাণী প্রাণ হারায়৷
বিজ্ঞানীদের কাজ হলো, সমাধানের খোঁজে তথ্য সংগ্রহ করা৷ জেমস ট্রু তাঁর সতীর্থদের নিয়ে জলের তলায় মাইক্রোফোন বসাবেন৷ এই সব মাইক্রোফোনে অনেক কিলোমিটার দূর থেকে ডলফিন কিংবা অন্যান্য প্রজাতির আওয়াজ ধরতে পারা যাবে; এছাড়া বেআইনিভাবে মাছ কিংবা অন্য প্রাণী ধরার হদিশ পাওয়া যাবে৷
কর্নেল ইউনিভার্সিটির মেরিন বায়োলজিস্ট ড. জোলেয়া ল্যাম্ব বললেন, ‘‘বর্তমানে মিয়ানমার, এমনকি সারা বিশ্বে কি পরিমাণ ‘ব্লাস্ট ফিশিং' বা ডিনামাইট ফাটিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে, তা আমাদের জানা নেই৷ এটাই প্রথম এ-ধরনের জরিপ৷ কিন্তু এখন আমরা মিয়ানমারের দৃষ্টান্ত থেকে দেখাতে চাই, কী পরিমাণ ব্লাস্ট ফিশিং হচ্ছে৷''
সাগরের তলায় যা কিছু অক্ষত অবস্থায় দেখতে পাবেন বলে জেমস ট্রু ও তাঁর গবেষকরা ধরে নিয়েছিলেন, তার অনেক কিছুরই খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ আটশ'র বেশি দ্বীপ বিশিষ্ট দ্বীপপুঞ্জটিতে বহু প্রবাল প্রাচীর বা কোরাল রিফ আছে, যেগুলোকে বাঁচানোর আর কোনো উপায় নেই৷ অন্যান্য রিফ আবার সুস্থ হতে ত্রিশ বছর লেগে যাবে, বলে গবেষকদের ধারণা৷ কিন্তু মেরিন বায়োলজিস্টরা এমন সব জায়গাও খুঁজে পেয়েছেন, যেখানে বহু ছোট ছোট, তরুণ প্রবাল গজাচ্ছে৷
গবেষকদের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে সংরক্ষিত এলাকা সৃষ্টি করা যাবে – এভাবে যে কোরাল রিফগুলেো এখনও অক্ষত আছে, সেগুলোকে সুরক্ষিত করা যাবে৷ সেজন্য গবেষকরা তাদের দামি মাইক্রোফোনগুলো জলের নীচে এমন সব জায়গায় লুকিয়ে রাখলেন, যেখানে ব্লাস্ট ফিশিং-এর মাছ-ধরিয়েরা সেগুলোকে খুঁজে পেয়ে নষ্ট করে দিতে পারবে না৷
মাছের জগতের আশ্চর্য
পৃথিবীতে মাছের প্রজাতি প্রায় তিন হাজার৷ তাদের মধ্যে কিছু কিছু মাছ সত্যিই চমকে দেবার মতো, যেমন ইলেকট্রিক ইল বা বৈদ্যুতিক পাঁকাল মাছ৷
ছবি: imago/Olaf Wagner
ইলেকট্রিক ইল
ইলেকট্রিক ইল কিন্তু পাঁকাল মাছ নয়, বাংলায় সে পড়বে ছুরি মাছদের পর্যায়ে৷ ৬০০ ভোল্ট অবধি ইলেকট্রিক শক মারতে পারে! সেভাবেই শিকার ধরে - বা মারে - এই বৈদ্যুতিক পাঁকাল৷ গবেষণা করে দেখা গেছে যে, বাদুড়রা যেমন শব্দতরঙ্গ ব্যবহার করে পোকামাকড়ের অবস্থান জানতে পারে, তেমন ইলেকট্রিক ইল’ও কারেন্ট মারার সময় সেই পন্থায় শিকারের অবস্থিতিও জানতে পারে৷
ছবি: imago/Olaf Wagner
ডোরাকাটা তীরন্দাজ মাছ
এই মাছগুলো জলের নীচে থেকেই পুকুরের ধারের ঘাস-গুল্ম থেকে পোকামাকড় শিকার করতে পারে৷ কিভাবে? মুখ থেকে জলের পিচকিরি ছুঁড়ে পোকাগুলোকে পানিতে ফেলে দেয় এই তীরন্দাজ মাছ৷ বড় মাছগুলো তিন মিটার দূরত্বে বসা শিকারকে ঘায়েল করতে পারে!
এই মাছটি বালির মধ্যে শরীর ডুবিয়ে বসে থাকে শিকার ধরার আশায়৷ শিকার এলে লাফ দিয়ে উঠে শিকার ধরে৷ স্টারগেজার মাছের চোখ মাথার উপর বসানো, থ্যাবড়া মুখটাও ওপরদিকে বাঁকানো৷ মনে রাখতে হবে, মাছটি কিন্তু বিষাক্ত৷
ছবি: picture-alliance / OKAPIA KG
স্টোনফিশ বা পাথর মাছ
এ’মাছটিও বিষাক্ত এবং ক্যামোফ্লেজ, মানে ছদ্মবেশ ধারণে ওস্তাদ৷ দেখলে মনে হবে যেন শ্যাওলায় ঢাকা এক টুকরো পাথর৷ কিন্তু পায়ের নীচে পড়লেই বিষাক্ত কাঁটাগুলো ফুটে যাবে! বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত মাছগুলোর মধ্যে পড়ে এই পাথর মাছ৷ সে বিষে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে৷
ছবি: gemeinfrei
পটকা মাছ
পটকা মাছেদের পেটটা রাবারের মতো বাড়ে বা কমে৷ পটকা মাছেরা পেটে পানি ঢুকিয়ে বলের মতো গোলাকৃতি হয়ে যেতে পারে৷ এদের শরীরেও টেট্রোডোটক্সিন নামের একটি মারাত্মক বিষ আছে৷ জাপানে এই মাছ সুখাদ্য বলে পরিগণিত৷ তবে অতি সাবধানে কাটতে হয়, বিষের অংশটা বাদ দিয়ে৷ কেননা সে’ বিষে মানুষ মরতে পারে৷
ছবি: picture alliance/Arco Images
অ্যাঙ্গলার ফিশ বা মাছ ধরা মাছ
এই মাছের মাথায় ইলিসিয়াম নামধারী একটি আঙুলের মতো দেখতে আঁচিল আছে৷ সেই আঁচিলের ওপর দিকটা বাতির মতো জ্বল জ্বল করে, যা’তে হবু শিকাররা আকৃষ্ট হয়৷ তারপরেই সেই শিকার অ্যাঙ্গলার মাছের সুবিশাল মুখগহ্বরে ঢুকে যায়৷ এই মাছের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল, বিশ্বের সর্বত্র এদের পাওয়া যায়, এমনকি গভীর সমুদ্রেও৷
ছবি: Flickr/Stephen Childs
ভাইপার ফিশ বা সর্প মাছ
আজগুবি মাছ দেখতে হলে যেতে হয় সাগরের অতলে৷ সেখানে জলের চাপ বেশি, আলো প্রায় নেই বললে চলে, খাবারও কম৷ এই পরিবেশে শিকার ফসকালে চলবে না৷ তাই ভাইপার ফিশদের দাঁত, মুখ, সবই ভয়ংকর, ভয়াবহ...
ছবি: picture-alliance/dpa
প্লেইস বা রূপচাঁদা মাছ
চাঁদা মাছরা চ্যাপটা৷ তাদের ক্যামোফ্লেজ বা নিজেকে লুকনোর ক্ষমতা অসাধারণ, বিশেষ করে কাদার মধ্যে৷ মজার কথা: বড় হওয়ার সময় তাদের একটা চোখ মাথার এপাশ থেকে ওপাশে চলে গিয়ে অন্য চোখটির সঙ্গে যুক্ত হয়!
ছবি: picture-alliance/dpa/H.Bäsemann
সিহর্স ঘোড়া নয়
যদিও এই ছোট্ট মাছগুলোকে ঘোড়ার মতো দেখতে এবং এদের প্রকৃতিও অত্যন্ত নিরীহ৷ দ্বিতীয়ত, ‘সাগরের ঘোড়া’ নামধারী এই মাছগুলি চিৎ হয়ে নয়, খাড়া হয়ে সাঁতার কাটে - ফলে এরা খুব ভালো সাঁতারু হয় না৷ তৃতীয়ত, পুরুষ সিহর্সরা নিষিক্ত ডিমগুলোকে পেটের ভাঁজে বয়ে নিয়ে বেড়ায় এবং পরে বাচ্চাদের জন্মও দেয়৷
ছবি: picture-alliance/ dpa
মাডস্কিপার বা লাফানো কাদা মাছ
মাডস্কিপাররা মাছ হলেও, তাদের জল বেশি পছন্দ, না ডাঙা বেশি পছন্দ, তা তারা কখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি৷ নিঃসন্দেহে মাছ হলেও, তারা পাখনা ব্যবহার করে কাদার ওপর দিয়ে হাঁটতে পারে৷ এছাড়া তারা অন্যান্য উভয়চরের মতো ত্বক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/MAXPPP
হাতুড়ি-মাথা হাঙর
বিজ্ঞানীদের মতে হ্যামারহেড শার্কের মাথাটা হাতুড়ির মতো দেখতে হওয়ার কারণ হল, এর ফলে তার চোখ দু’টো আরো দূরে দূরে হয়৷ ফলে হাতুড়ি-মাথা হাঙর আরো বেশি দেখতে পায়... যেমন শিকার...