ইউরোপে ব্যাংকিং সংকট
১৬ অক্টোবর ২০১৩ব্যাংকিং ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ইউরোজোন দেশগুলিতে কিছুটা অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ বেশ কিছুকাল পর ইউরোপীয় স্তরে এ নিয়ে আবার কিছু কার্যকলাপ শুরু হয়েছে৷ ইইউ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের পাশাপাশি ইউরো এলাকার প্রায় ১৩০টি বড় আকারের ব্যাংকের জন্য এক তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ ২০১৪ সালের শেষের দিকে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসিবি-র কাঠামোর মধ্যে এই কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করবে৷ তবে তার আগে ব্যাংকগুলির সম্পদ খতিয়ে দেখে ‘স্ট্রেস টেস্ট'-এর ব্যবস্থা করতে হবে৷
এই পদক্ষেপকে ব্যাংকিং ইউনিয়নের আগের ধাপ হিসেবে ধরে নেয়া হচ্ছে৷ আপাতত সংকট প্রতিরোধ করাই হবে মূল লক্ষ্য৷ অর্থাৎ, অর্থের অভাব দেখা দিলে ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার বা অন্যান্য বেসরকারি সূত্র থেকে সেই ঘাটতি মেটাতে হবে, সরকারের কাছে হাত পাতলে চলবে না৷ একমাত্র বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটতে পারে৷ অতীতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এই কাঠামো চালু করা হচ্ছে৷
তবে ইউরোপের চালিকা শক্তি হিসেবে পরিচিত দেশ ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মতভেদ রয়ে গেছে৷ ফ্রান্সের নেতৃত্বে কিছু দেশ চায়, শুধু সরকার নয়, ব্যাংকিং ক্ষেত্রে সংকটের ক্ষেত্রেও ইউরোপীয় জরুরি তহবিল ইএসএম সহায়তা করতে এগিয়ে আসুক৷ অন্যদিকে জার্মানির নেতৃত্বে অন্য কিছু দেশ চায়, ইএসএম-এর নাগাল পেতে হলে কড়া শর্ত পূরণ করতে হবে৷ জার্মানিতে নতুন সরকার গঠিত হলেও এই প্রশ্নে ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে৷
অ্যামেরিকায় বাজেট নিয়ে অচলাবস্থা এখনো না কাটায় বাকি বিশ্বের মতো ইউরোপের পুঁজিবাজারেও দুশ্চিন্তা দূর হচ্ছে না৷ ১৭ই অক্টোবরের মধ্যে দুই দলের মধ্যে রফা না হলে গোটা বিশ্বের আর্থিক বাজার বড় ধাক্কা খেতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে৷ তবে সোমবার বাজারে কিছুটা দরপতন ঘটলেও মঙ্গলবার বাজার আবার বেশ চাঙ্গা হয়ে ওঠে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাজেট সংকট কেটে যাবে, এমন একটা আশার কারণেই এমন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)