1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জনগণের অর্থ নয়

২৬ জুন ২০১৩

বেসরকারি ব্যাংক সংকটে পড়লেই এতকাল ইউরোপের দেশগুলি করতাদাতাদের অর্থ দিয়ে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে৷ তবে ইউরোপীয় স্তরে এখনও সম্পূর্ণ ঐকমত্য অর্জিত হয়নি৷ একক নীতির কথা অবশ্য বলা হচ্ছে বহুদিন থেকেই৷

#10275931 - Geldscheine © Liudmila Travina -
Symbolbild 500 Euro Schieneছবি: Liudmila Travina/Fotolia

ব্যাংকিং ক্ষেত্র সম্পর্কে ইউরোপের একক নীতির আশা করা হলেও, এক্ষেত্রে তেমন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না৷ মনে রাখতে হবে, ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ইউরোপে বেলআউট বাবদ প্রায় সাড়ে চার লক্ষ কোটি ইউরো ব্যয় করা হয়েছে৷ ভবিষ্যতে ইউরোপে কোনো ব্যাংক বিপদে পড়লে করদাতা বা সাধারণ মানুষের অর্থ দিয়ে তাকে আর বাঁচানো হবে না, এ বিষয়ে ঐকমত্য দেখা যাচ্ছে৷ সাইপ্রাসের ক্ষেত্রে সেই নীতিই গ্রহণ করা হয়েছে৷ কিন্তু আবার এমন অবস্থা দেখা দিলে কী করা উচিত, সে বিষয়ে গত সপ্তাহে ইইউ অর্থমন্ত্রীরা একমত হতে পারেন নি৷

জার্মানি চায় এক ‘বেইল ইন' প্রক্রিয়া৷ অর্থাৎ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার ও যে সব গ্রাহকের এক লাখ ইউরোর বেশি অর্থ জমা রেখেছেন, ব্যাংক বাঁচাতে তাদের প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে৷ ফ্রান্স সহ কিছু দেশ এত কড়া নিয়মের বিপক্ষে৷ তাদের যুক্তি, এর ফলে অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে৷ অথচ ব্যাংকিং ইউনিয়ন কার্যকর করতে গেলে বিষয়টি স্পষ্ট করতেই হবে৷ ইউরোপীয় জরুরি তহবিল ইএসএম কোন অবস্থায় কোনো ব্যাংককে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে পারে, সে বিষয়ে নীতিমালার প্রয়োজন রয়েছে৷ ফলে আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে এ বিষয়ে কতটা অগ্রগতি সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

এবারের এই ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতাদের সামনে আরও বড় প্রশ্ন অপেক্ষা করে রয়েছে৷ অ্যাজেন্ডার শীর্ষে রয়েছে প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান৷ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চরম বেকারত্ব ঘোচাতে কিছু একটা করতেই হবে, চাপে পড়ে এমন তাগিদ অনুভব করছেন নেতারা৷ তবে জার্মানি সংস্কার ও ব্যয় সংকোচের রাশ শিথিল করতে এখনো রাজি নয়৷ সে ক্ষেত্রে মন্দার মাঝে ইউরোপ কীভাবে কর্মসংস্থান বাড়াবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ এদিকে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আপাতত সুদের হারে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই৷

ইউরোপের সংকটগ্রস্ত দেশগুলির অবস্থাও তেমন ভালো নয়৷ বন্ড বাজারে স্পেন ও ইটালির অবস্থার অবনতি ঘটেছে৷ ঋণ নিলে সুদের চড়া হার গুনতে হচ্ছে তাদের৷ সরকারে রদবদলের পর গ্রিস কী করে, তা দেখার জন্য বাজার অপেক্ষা করছে৷ জার্মানিতে আগামী সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগে কোনো বড় রকমের সিদ্ধান্ত আশা করছে না এই সব দেশ৷

ইউরোপের সংকটগ্রস্ত দেশগুলির অবস্থাও তেমন ভালো নয়ছবি: AFP/Getty Images

সোমবার ইউরোপের পুঁজিবাজারে দরপতন দেখা গেছে৷ চীনের আর্থিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ ইউরোর বিনিময় মূল্যও কিছুটা পড়ে গেছে৷ চলতি সপ্তাহে অনিশ্চয়তা কাটার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ