1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্য

ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশার কামড় কমাতে পারে ডেঙ্গু

৪ নভেম্বর ২০২৩

প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন দশ কোটি মানুষ, প্রাণ হারান ২২ হাজার জন৷ এ অবস্থার উন্নতির সম্ভাবনা দেখছেন বিজ্ঞানীরা৷

Asiatische Tigermücke
ছবি: H. Schmidbauer/blickwinkel/picture alliance

কলম্বিয়ার আবুরা উপত্যকার তিনটি শহরের ডেঙ্গু সংক্রমণ ৯৭ শতাংশ কমার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকতে পারে উয়োলবাখিয়া ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশা৷

অলাভজনক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মসকিউটো প্রোগ্রামের গবেষকরা অক্টোবরের শেষে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন৷ এই সংস্থাটির কাজ ডেঙ্গু, জিকা ভাইরাস বা ইয়েলো ফিভারের মতো মশাবাহী রোগ ঠেকানো৷ সেজন্য উয়োলবাখিয়া ব্যাক্টেরিয়া মশার শরীরে ঢুকিয়ে সেই মশাগুলি এই রোগের প্রবণতা যেসব অঞ্চলে বেশি, সেখানে ছেড়ে দেন তারা৷

কীভাবে ডেঙ্গু ঠেকায় এই ব্যাক্টেরিয়া?

এডিস এজিপ্টাই মশার রোগ ছড়ানোর ক্ষমতাকে কমাতে পারে উয়োলবাখিয়া ব্যাক্টেরিয়া৷ এডিস বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক রোগবাহী মশা৷

২০১৫ সালে ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশাগুলিকে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে কলম্বিয়ার বেলো শহরে ছাড়া হয়৷ পরে মেডেয়িন ও ইটাগুয়া শহরেও ছড়ানো হয় এই মশা৷ এর আগেও ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশা ছড়ানো হয়েছিল বিশ্বের অন্যান্য জায়গাতেও৷ তবে এত বড় আকারে এটাই প্রথম৷

২০২২ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে এই গবেষণা থেকে জানা যায় যে, বেলো ও ইটাগুয়ার প্রায় ৮০ শতাংশ মশা উয়োলবাখিয়াযুক্ত মশাদের থেকে সংক্রামিত হচ্ছে৷ মেডেয়িনের জন্য এই হার ৬০ শতাংশ৷

কিন্তু এই সংক্রমণ ডেঙ্গু সংক্রমণের ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলবে তা জানতে গবেষকরা ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত স্থানীয় ডেঙ্গু সংক্রমণের হারের তথ্য খতিয়ে দেখেন৷

জানা যায়, এই পরীক্ষা চালানোর শুরুর সময়ে, অর্থাৎ দশ বছর আগের ডেঙ্গু সংক্রমণের সংখ্যা থেকে পরীক্ষা চালানোর পর সংক্রমণের হার ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে৷ মেডেয়িনে একটি নির্দিষ্ট কেসভিত্তিক নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা করা হয়৷ সেখানেও ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশার সাথে ডেঙ্গু কমতে দেখা গেছে৷ কমার হার ছিল ৪৭ শতাংশ৷

এই গবেষণার ইতিবাচক ফলাফলগুলি ‘সহজলভ্য সমাধানের দিকে আলোকপাত করে ও নাগরিক পরিসরে গণস্বাস্থ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে' ভূমিকা রাখবে বলে গবেষকদের বিশ্বাস৷

কলম্বিয়ার এই পরীক্ষা বিশ্বের সবচেয়ে বড় হলেও ওয়ার্ল্ড মসকিউটো প্রোগ্রামের তরফে এমন প্রকল্প আরো নানা জায়গায় নেওয়া হচ্ছে৷ এর আগে, ইন্দোনেশিয়ার ইয়োগিয়াকার্তাতে এই ধরনের পরীক্ষার পর ডেঙ্গু সংক্রমণ ৭৭ শতাংশ কমে যায়৷ ব্রাজিলে এই হার ৩৮ শতাংশ৷

বিজ্ঞানীরা বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গুরোধে নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়ার্ল্ড মসকিটো প্রোগ্রামের প্রস্তাবিত সমাধান ভালো উপায় হলেও দীর্ঘস্থায়ী না-ও হতে পারে৷ ব্রাজিলের জীববিজ্ঞানী রাফায়েল মাসিয়েল দে ফ্রাইটাসের মতে, যেহেতু ডেঙ্গুর প্যাথোজেন সময়ের সাথে সাথে বিবর্তিত হতে পারে৷ ফলে একটা সময়ের পর তারা উয়োলবাখিয়া ব্যাক্টেরিয়ার প্রভাব কাটিয়ে ফেলার ক্ষমতাও অর্জন করে নিতে পারে৷

ফ্রাইটাস যোগ করেন, ‘‘আমি এটা বলবো না যে, উয়োলবাখিয়া পন্থা ডেঙ্গুর আজীবনের সমাধান৷ কিন্তু অবশ্যই এটা সমাধানের জন্য অন্তত একটা ভালো উত্তর৷''

এই উয়োলবাখিয়া পন্থার আরেকটি দুর্বলতা তার বিপুল খরচ৷ তাছাড়া, এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয় যে এই পরীক্ষার সাথে ঠিক কীভাবে সম্পর্কিত ডেঙ্গু সংক্রমণ৷ অন্যদিকে, কয়েকটি স্থানে ব্যাক্টেরিয়াযুক্ত মশা ছড়িয়েও কমেনি ডেঙ্গুর হার৷

ফলে উন্নতশীল দেশগুলিতে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে এই প্রকল্প, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে৷

ক্লেয়ার রথ/এসএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ