ব্যাগ থেকে বেরিয়ে এলো জ্যান্ত ব্যাঘ্রশাবক
২৭ আগস্ট ২০১০ব্যাংকক বিমানবন্দর৷ আন্তর্জাতিক একটি যাত্রী ফ্লাইটে চেক-ইন চলছে৷ সেখানে এক যাত্রীর ব্যাগ, বাঘের বিভিন্ন খেলনা দিয়ে ঠাঁসা৷ আর সেই খেলনা বাঘের মধ্য থেকে বেরিয়ে এলো দু'মাস বয়সী সত্যিকারের একটি বাঘ শাবক৷ এভাবেই শাবকটিকে গোপনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো ইরানে৷ তবে ব্যাগে করে কেন সত্যিকারের বাঘের বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি, তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ব্যাগের মালিক৷
বিমানবন্দরের কাস্টম কর্মকর্তা নিরাত নিপানন্দ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, সেই মহিলা অবশ্য বোঝাতে চাইছিলেন ব্যাগের মধ্যে ব্যাঘ্র শাবক আছে এ বিষয়টি তিনি জানতেনই না৷ তাঁর কথায়, ব্যাগটি তিনি আদতে অন্য এক জনের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন৷
এ বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে এবং এটা কোন জাতের বাঘ তা বোঝার জন্য শাবকটির ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ শাবকটিকে বন থেকে ধরে আনা হয়েছে, নাকি এটা কারো পোষা বাঘের বাচ্চা তা নিয়েও চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা৷
এশিয়ায় বাঘের বে-আইনি ও অবৈধভাবে ব্যবসা হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে৷ বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ গ্রুপ এ ব্যাপারে সরকারের নজরদারি জোরদার ও আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন৷
‘ওয়ার্লড লাইফ ট্রেইড মোনিটর্স' বা ট্র্যাফিক'এর ডেপুটি আঞ্চলিক পরিচালক ক্রিস শেভার্ড বলেন, সবগুলো এজেন্সিকে একহয়ে পাচারকারীদের এইসব অপকর্ম উদঘাটন করার জন্য আমরা তাদের প্রশংসা করছি ‘‘পাচারকারীরা মনে করে, বন্যপ্রাণী পাচার এমন একটা কাজ, যা করেও পার পাওয়া যায়৷''
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ