ফলে আজকের ম্যাচে দুই দলই কয়েকজন খেলোয়াড়কে মাঠে নামায়নি৷ আর খেলার সময়ও কোনো দলকে জেতার জন্য মরিয়া হতে দেখা যায়নি৷
তবে বেলজিয়ামের আদনান ইয়ানুজাই-এর বোধ হয় ড্র বিষয়টি ভালো লাগেনি৷ তাইতো খেলার ৫১ মিনিটের সময় দারুণ এক গোল করে বসেন তিনি৷ তাঁর বাঁকানো শট ইংল্যান্ডের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে গোলে ঢুকে যায়৷ তবে এতে বেলজিয়ামের খেলোয়াড়দের খুব বেশি উল্লসিত হতে দেখা যায়নি৷
ইংল্যান্ডকে এক গোলে হারানোয় বেলজিয়াম এখন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন৷ সোমবার তারা জাপানের মুখোমুখি হবে৷ সেটিতে জিতলে আগামী শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ব্রাজিল-মেক্সিকোর বিজয়ী দল৷
অন্যদিকে, ইংল্যান্ড গ্রুপে দ্বিতীয় হওয়ায় মঙ্গলবার পরের রাউন্ডের খেলায় তারা কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে লড়বে৷ ঐ খেলার বিজয়ী দল মুখোমুখি ৭ জুলাই, শনিবার মুখোমুখি হবে সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যকার বিজয়ী দলের বিরুদ্ধে৷
ব্রাজিলের সঙ্গে যেন খেলতে না হয়, সেজন্য বেলজিয়াম ও ইংল্যান্ড ইচ্ছে করেই হারতে পারে কিনা, তা নিয়ে ম্যাচ শুরুর আগে ও খেলার সময় সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা জমে উঠেছিল৷ যেমন:
গ্রুপ জি-র অপর খেলায় টিউনিশিয়া পানামার বিরুদ্ধে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে৷ তবে প্রথম গোলটি করেছিল পানামা৷
দুটি দলই তাদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরেছিল৷
জেডএইচ/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)
মস্কোর হুন্দাই মোটরস্টুডিয়োতে গেল ৮ জুন উদ্বোধন হলো এমন এক জাদুঘরের, যেখানে এক ছাদের তলায় আছে পুরো বিশ্বকাপের ইতিহাস৷ ফুটবলের কিংবদন্তিরা আছেন, আরো আছে স্থিরচিত্র, ভিডিওচিত্র, চলতি আসরের ৩২ দলের জার্সিসহ কত কী!
ছবি: DW/M.Nomanমস্কোর ফিফা ফুটবল জাদুঘরে কাঁচবন্দী এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ৩২ দলের জার্সি৷ তাতে যে লাল রঙের আধিক্য, সেটি তো বোঝাই যাচ্ছে৷
ছবি: DW/M.Nomanসমর্থকদের প্রমাণসাইজের পোস্টার দেয়ালে সাঁটানো৷ যেখানে একাকার জার্মানি-ব্রাজিল-পর্তুগাল৷
ছবি: DW/M.Nomanচলতি আসরের ৬৪ ম্যাচের ফলের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে জায়গা৷ শূন্যস্থানগুলো ভরে উঠছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে৷
ছবি: DW/M.Nomanযেনতেন বল নয় এটি৷ বিশ্বকাপের রাশিয়া-সৌদি আরব উদ্বোধনী ম্যাচ হয়েছে এই ‘টেলস্টার ১৮’ দিয়ে৷ স্বাগতিকদের জন্য যে এটি পয়া, ৫-০ ব্যবধানের জয়ই সে ঘোষণা দিচ্ছে৷
ছবি: DW/M.Noman২১ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল পোস্টার ঝুলছে দেয়ালে৷ জাদুঘরে আসা দর্শনাথর্থীরা ইতিহাসকে মোবাইলবন্দী করার সুযোগ হাতছাড়া করেন কীভাবে!
ছবি: DW/M.Nomanফুটবলের মতোই গোলাকৃতির এক প্রজেক্টরে বিশ্বকাপের ইতিহাসের ভিডিও দেখানো হচ্ছে অবিরাম৷ সাদা-কালো সময় থেকে টুর্নামেন্টের রঙিন সময়ে বিবর্তনের ধারা বর্ণনা সেখানে৷
ছবি: DW/M.Nomanসময়ের সঙ্গে সঙ্গে বলের বিবর্তনও কি হয়নি! ১৯৩০ থেকে শুরু করে ২১ বিশ্বকাপের বল দেখলে তা বোঝা যায় স্পষ্ট৷ দেয়ালের গায়ে তারকারাশির মতো আলো ছড়াচ্ছে সে বলগুলো৷
ছবি: DW/M.Nomanআরো পোস্টার, আরো সমর্থক, আরো রং৷ বিশ্বকাপ রংধনুর উজ্জ্বলতা বেড়ে যায় সমর্থনের এই বৈচিত্র্যেই৷
ছবি: DW/M.Nomanফিফা জাদুঘরে এসেছিলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি রবের্তো কার্লোস৷ সর্বকালের অন্যতম সেরা এই উইংব্যাকের অটোগ্রাফ সংরক্ষিত আছে সেখানে৷
ছবি: DW/M.Nomanএকেকটি পোস্টার যেন বলছে একেক বিশ্বকাপের গল্প৷ আনন্দ-বেদনার কত মহাকাব্য লুকিয়ে এ পোস্টারগুলোয়!
ছবি: DW/M.Nomanসর্বকালের সেরা ফুটবলারের বিতর্কটা তাঁদের মধ্যেই সীমিত – পেলে ও দিয়েগো মারাদোনা৷ ফিফা ফুটবল জাদুঘরে তাঁদের উপস্থিতি না থাকলে চলে!
ছবি: DW/M.Nomanসোভিয়েত ইউনিয়ন তথা রাশিয়ার সর্বকালের সেরা ফুটবলার লেভ ইয়াসিন৷ তাঁর সঙ্গে ছবি তো প্রেরণা হয়ে থাকবে এই কিশোরের জন্য৷
ছবি: DW/M.Nomanমাঝে রবের্তো কালোসের অটোগ্রাফ৷ চারপাশে দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাসের প্রকাশ৷ ব্ল্যাকবোর্ডে চকের সেই আঁক মুছে ফেলা হয় নিয়মিত বিরতিতে; কিন্তু স্মৃতির বোর্ডে তা খোদাই হয়ে থাকবে চিরকাল৷
ছবি: DW/M.Nomanছিমছাম, পরিপাটি দোতলা এই ফিফা ফুটবল জাদুঘর৷ বিশ্বকাপ দেখতে মস্কোতে আসা সমর্থকদের অবশ্য দর্শনীয় স্থান হয়ে গেছে এটি৷
ছবি: DW/M.Noman