1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
প্যানোরামাব্রাজিল

ব্রাজিলে গণপরিবহণে ই-বাস বাড়ানোর পরিকল্পনা

২৫ মার্চ ২০২৫

কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর উপায় হিসেবে কিছু শহর ও দেশ ইলেক্ট্রিক যানের দিকে ঝুঁকছে৷ তবে ব্যয়বহুল হওয়ায় সবার পক্ষে সেটি সম্ভব হয় না৷

নরওয়ের বিদ্যুৎচালিত বাসের স্টেশন
কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ হিসাবে বিদ্যুৎচালিত বাস চালু নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে অনেক দেশইছবি: Rodrigo Freitas/NTB/picture alliance

তবে ব্রাজিল তাদের গণপরিবহণের একটি অংশ ই-বাস দিয়ে পরিচালনার পরিকল্পনা করছে৷

লাতিন অ্যামেরিকায় ইলেক্ট্রিক যানের সবচেয়ে বড় বাজার ব্রাজিল৷ বর্তমানে দেশটির বিভিন্ন শহর কর্তৃপক্ষ গণপরিবহণ হিসেবে ইলেক্ট্রিক বাস ব্যবহারের সম্ভাবনা খুঁজে দেখছে৷

সাও পাওলো থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে এলেট্রা কোম্পানির কারখানা অবস্থিত৷ ব্রাজিলের এই কোম্পানি কয়েক দশক ধরে ইলেক্ট্রিক ট্রলি বাস তৈরি করছে৷ তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা ১০০ শতাংশ ইলেক্ট্রিক ব্যাটারি বাস তৈরি শুরু করেছে৷

ইতিমধ্যে বাসগুলো সাও পাওলার রাস্তায় চলাচল করছে৷

এলেট্রার নির্বাহী পরিচালক লেডা অলিভিয়েরা বলেন, ‘‘আমরা যদি এমন বাস বানাই যার দাম ডিজেল বাসের চেয়ে তিনগুণ বেশি এবং যেগুলো ১৫ বছরেরও কম সময় ধরে চলে, তাহলে আমরা শুধু ব্রাজিল নয়, পুরো ল্যাটিন আমেরিকার পরিবহন ব্যবস্থাকে ক্ষতির মধ্যে ফেলে দেব৷ এই বাসগুলি অন্তত ১৫ বছর ব্যবহারের উপযোগী থাকতে হবে৷''

সাও পাওলোর ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রিক বাস ঠিকমতো চলাটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, ২০২২ সালের শেষে সেখানে ইলেক্ট্রিক নয়, এমন বাস কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়৷

সাও পাওলোর পরিবহণ সচিব গিলমার মিরান্ডা জানান, ‘‘সাও পাওলোর গণপরিবহণ ব্যবস্থায় প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার যান চলে৷ এগুলো গড়ে প্রায় ৭০ লাখ যাত্রী পরিবহণ করে৷''

সাও পাওলোর যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি বড় অংশ জুড়ে আছে বাস৷ এসব বাসের ২০ শতাংশ ইলেক্ট্রিক করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- যা একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য৷

পরিবেশ রক্ষায় ই-বাস

04:28

This browser does not support the video element.

শব্দ ও দূষণ কমানো হবে বাড়তি সুবিধা... তবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে জাতীয়ভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা ব্রাজিল নির্ধারণ করেছে, সেটি পূরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ৷

তবে পরিবর্তনের কাজটি সহজ নয়৷ কারণ, ইলেক্ট্রিক বাস ব্যয়বহুল৷ গিলমার মিরান্ডা বলেন, ‘‘নতুন প্রযুক্তি হওয়ায় শুরুর সময়ে অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে হয়৷''

মিরান্ডার ধারনা, মহামারির আগে পেট্রোল বাসের তুলনায় প্রাথমিক বিনিয়োগ দ্বিগুন ছিল৷ আর এখন? তিনি জানান, ‘‘এখন দেখা যাচ্ছে, ডিজেল যানের তুলনায় ব্যাটারি ইলেক্ট্রিক যানের মূল্য তিনগুনের বেশি হয়েছে৷''

তিনি বলছেন, নতুন প্রযুক্তি হওয়ায় ইলেক্ট্রিক চার্জিং গ্যারেজের মতো অবকাঠামো গড়ে তুলতে হচ্ছে৷

মিরান্ডা বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা থাকতে হবে, কারণ, ডিজেল যানের জন্য যা প্রয়োজন তার সব ব্যবস্থা গ্যারেজগুলোতে থাকে৷ গ্যারেজে অনেক বাস থাকায় সেগুলোর জন্য পর্যাপ্ত ডিজেলের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই করে রাখে৷ তারা ডিজেল সরবরাহ করা বড় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখে, আর কোম্পানিগুলোও গ্যারেজে জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে৷''

জার্মানির মার্সেডেজ বেনৎস ব্রাজিলের এলেট্রা কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা করছে৷ এলেট্রোসহ অন্যান্য কোম্পানির জন্য ইলেক্ট্রিক বাসের চেসিস তৈরি করছে তারা৷ মার্সেডেজ বলছে, তাদের তৈরি আড়াইশ চেসিস ইতিমধ্যে সাও পাওলোতে চলছে৷

মার্সেডেজ বেনৎসের ব্রাজিল ও লাতিন অ্যামেরিকা কার্যালয়ের আখিম পুশার্ট বলেন, ‘‘আমরা দেখতে পাচ্ছি গণপরিবহণের চাহিদা বাড়ছে এবং এখানে লাতিন অ্যামেরিকাতেও ২০৩০ সাল পর্যন্ত চাহিদা বাড়তে থাকবে বলে আশা করছি৷ আমার মনে হয় আপনাকে বুঝতে হবে যে, একটি বাস দিয়ে ৫০টি কারের চাহিদা মেটানো যায়৷''

ব্যক্তিগত ইলেক্ট্রিক যানের মতোই ভবিষ্যতে ই-বাসের উৎপাদন বাড়াতে স্থানীয় সমাধানকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে৷

কাসান্দ্রা জুনট/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ