ব্রাজিলে বিশ্বায়ন বিরোধী কর্মীদের ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল ফোরাম শুরু
২৮ জানুয়ারি ২০০৯‘অন্য এক দুনিয়া গড়ে তোলা সম্ভব' এই মূলমন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিশ্বায়ন বিরোধী কর্মীরা ব্রাজিলের উত্তর-পূর্ব শহর বেলেমে ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল ফোরামে মিলিত হয়েছেন৷
ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ফ্রান্সিস্কো ভিটেকার বলেন, অংশগ্রহণকারীরা ভিন্ন মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে এক নতুন সভ্যতা সৃষ্টির ব্যাপারে কথা বলছেন৷
ফোরামের সংগঠক ক্যান্ডিডো গ্রিবভস্কি বলেন, এই ফোরাম হচ্ছে একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সকল মতামতই বৈধ৷ এই ফোরামের প্রস্তাবনার মাঝেই নিহীত রয়েছে বহুত্ববাদ জাগিয়ে তোলার রসদ৷
ফোরামের মোট ২৬০০ কার্যক্রমে দেড় শ'টি দেশ থেকে প্রায় এক লাখ বিশ হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করছেন৷ বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা ডা সিলভা, বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট এভো মোরালেস, ইকুয়েডরের রাফায়েল কোরেয়া, পারাগুয়ায় এর ফার্নান্দো লুগো এবং ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট উগো চাভেজ তাঁদের সাথে যোগ দেবেন৷
ইউরোপিয়ান সোশ্যাল ফোরামের প্রতিনিধি ইটালির রাফায়েলা বোলিনি মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্মরণ করিয়ে দেন যে, এই ফোরাম বছরের পর বছর নব্য-উদার বিশ্বায়ন এবং পুঁজিবাদী বাজার ব্যবস্থার নিন্দা করে আসছে যে কারণে এর প্রবক্তারা সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে এবং এমনকি তাঁদের রাজনৈতিক নির্যাতনও সহ্য করতে হয়েছে৷
ফোরামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ব্রাজিলের ব্যবসায়ী ওডেড গ্রাইয়েভ বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে হয়নি বরং এটা সে সমস্যা সৃষ্টিকারী ব্যবস্থাকে জিইয়ে রাখার জন্যই হয়েছে৷
তিনি বলেন, প্রায়ই বলা হয়ে থাকে যে, সম্পদ সীমিত৷ কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবেলায় গাড়ী তৈরির কারখানা, ব্যাংক এবং দেউলিয়া হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানসমূহকে বাঁচানোর জন্য হঠাৎ করে কোটি কোটি ডলার বেরিয়ে আসলো যা দারিদ্র্য মোকাবেলায় এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের চেয়েও বেশি হতো৷
২০০১ সালে শুরু হওয়ার পর ২০০২, ২০০৩ এবং ২০০৫ সালে পোর্টো আলেগ্রেতে এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়৷ এছাড়া ২০০৪ সালে ভারত, ২০০৬ সালে ভেনিজুয়েলা এবং ২০০৭ সালে কেনিয়া এই ফোরামের আয়োজন করে৷ ২০০৮ সালে এই ফোরাম একটি নির্দিষ্ট দেশে না হয়ে বরং একইসাথে ৮২ টি ভিন্ন ভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়৷