বিশ্বকাপ জ্বর ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে ফুটবল ভক্তদের মাঝে৷ ঢাকাসহ বাংলাদেশের নানা শহরে বাড়ির ছাদে-ছাদে শোভা পাচ্ছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের পতাকা৷ এত পতাকার ভিড়ে বাংলাদেশের পতাকা পাওয়া দুষ্কর!
বিজ্ঞাপন
বিশ্বকাপের সময় বিভিন্ন দেশের পতাকা উড়ানোর চর্চা বাংলাদেশে নতুন নয়৷ পতাকার আকার নিয়ে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতাও দেখা যায়৷ কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ রাগিব হাসান এই চর্চাকে আখ্যা দিয়েছেন ‘পতাকাযুদ্ধ' হিসেবে৷ ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘আসছে বিশ্বকাপ, আর তার সাথে শুরু হয়েছে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার সমর্থকদের পতাকাযুদ্ধ৷ কে কার চাইতে বড় পতাকা ওড়াতে পারবে, তার প্রতিযোগিতা৷ একটা ফটোতে দেখলাম চার তলা লম্বা একটা পতাকা ঝুলছে এক ভবন থেকে৷ কয়েকটি মৃত্যুও ঘটেছে নানা ভাবে৷''
ফুটবল তারকাদের সুন্দরী বান্ধবীদের ছবি
স্মার্ট, সুন্দরী, যৌন আবেদনময়ী – বিশ্বখ্যাত তারকাদের বান্ধবীদের সঙ্গে সবগুলো বিশেষণই যে মানানসই! তাই চলুন, মাঠ কাঁপানো ফুটবলারদের ঘর কাঁপানো সুন্দরী সঙ্গিনীদের একনজর দেখে নেওয়া যাক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নগ্ন রোনাল্ডো
বিখ্যাত ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদের জন্য কয়েকবছর আগে নগ্ন হয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো৷ তৎকালীন বান্ধবী ইরিনা শেইখের সঙ্গে তোলা সে ছবি প্রকাশও হয়েছে৷ রুশ মডেল শেইখের সঙ্গে রোনোল্ডোর সম্পর্কের শুরু হয় ২০১০ সালে৷ তবে, কয়েকবছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সেই সম্পর্ক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নেইমারের নতুন প্রেম
সুপার মডেলদের প্রতি ফুটবলারদের টান বোধহয় একটু বেশিই থাকে৷ ব্রাজিলের নেইমারের কথাই ধরুন৷ রোনাল্ডো এবং মেসির মতো তিনিও এক মডেলের সঙ্গেই থাকেন৷ সাও পাওলোতে জন্ম নেয়া গাব্রিয়েলা লেন্সির সঙ্গে নেইমারের সম্পর্ক অবশ্য খুব বেশি দিনের নয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
উদার বালোতেল্লি
গত ইউরো কাপে জার্মানিকে লজ্জায় ফেলা মারিও বালোতেল্লি মেয়েদের ব্যাপারে একটু বেশিই উদার৷ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার বান্ধবী বদল করেছেন ২৩ বছর বয়সি এই তারকা৷ সর্বশেষ ২০১৩ সালে ফ্যান্নি নেগুয়েশার সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন তিনি৷ এই সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে আশা করছেন অনেকে৷ তবে বালোতেল্লির উপর ভরসা করা একটু কঠিনই!
ছবি: imago/Milestone Media
শোয়াইনস্টাইগারের বান্ধবী
জার্মান ফুটবলার বাস্তিয়ান শোয়াইনস্টাইগারের বান্ধবী হিসেবেই বেশি পরিচিত সারা ব্রান্ডনার৷ তবে পেশাগতভাবে তিনি মডেল৷ ২০০৭ সাল থেকে একসঙ্গেই আছেন এই জুটি৷
ছবি: Getty Images
সাংবাদিক বান্ধবী
স্পেনের ফুটবল তারকা ইকার ক্যাসিয়াসের বান্ধবী সারা কার্বোনেরো পেশায় সাংবাদিক৷ ছেলেবন্ধুটি যখন মাঠে খেলায় ব্যস্ত থাকেন, তিনি তখন মাঠে থাকেন খেলা ‘কভার’ করতে৷ মাঝে মাঝে গোলপোস্টের কাছে গিয়ে কাসিয়াসকে ‘একটু বিরক্তও’ করেন তিনি৷
ছবি: imago/alterphotos
সংগীতশিল্পীর ছেলেবন্ধু
সংগীত তারকা হিসেবে বেশ পরিচিত ম্যান্ডি কাপ্রিস্টো৷ ২৪ বছর বয়সি এই জার্মান গায়িকার সঙ্গে মেসুত ও্যজিলের সম্পর্কের শুরু হয় ২০১৩ সালে৷
ছবি: imago/Future Image
মেসির সাফল্যের নেপথ্যে
ফুটবল মাঠে লিওনেল মেসির সফলতার পেছনে যে নারীর বিশেষ অবদান রয়েছে, তিনি হলেন আন্তোনেলা রোকুৎসো৷ মেসির সন্তানের মা তিনি৷ গত তিন বছর ধরে একসঙ্গে আছেন এই জুটি৷ রোকুৎসো পেশায় একজন মডেল৷
ছবি: imago/GEPA pictures
মডেল নার্গি
ইটালির ফুটবলার আলেকসান্দ্রো মাট্রির বান্ধবী ফেডেরিকা নার্গি৷ ১৯৯০ সালে জন্ম নেয়া এই নারীও পেশায় মডেল৷
ছবি: imago/Milestone Media
শাকিরার বন্ধু
কলম্বিয়ান সংগীত শিল্পী শাকিরা অবশ্য নিজের পরিচয়েই গোটা বিশ্বে পরিচিত৷ একের পর এক সুপার হিট গান দেওয়া এই শিল্পীর সঙ্গে ফুটবলার জেরার্ড পিকের সম্পর্ক চলছে সেই ২০১০ সালে থেকে৷ এই জুটির একমাত্র সন্তানের নাম মিলান পিকে মেবারক৷
ছবি: imago/PicturePerfect
গ্যার্কের সঙ্গে খেদিরা
জার্মান টেলিভিশন সঞ্চালিকা এবং ফ্যাশন মডেল লেনা গ্যার্কের সঙ্গে সামি খেদিরার সম্পর্কের শুরু হয় ২০১১ সালে৷ আগে বার্লিন এবং নিউ ইয়র্ক শহরে বসবাস করলেও এখন খেদিরাকেই বেশি সময় দেন গ্যার্কে, থাকেন তাই মাদ্রিদে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
10 ছবি1 | 10
সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘুরে আসা রাগিব হাসান লিখেছেন, ‘‘কিন্তু আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের এই পতাকার ভিড়ে আমার এই সোনার বাংলার পতাকাটা কোথায়? বাংলাদেশের পতাকা আইন অনুসারে বিদেশি পতাকা কেবল তখনি ওড়ানো চলে, যখন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হয় এবং সব চাইতে উঁচুতে সগৌরবে৷''
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অফ অ্যালাবামা অ্যাট বার্মিংহাম' এর কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সেস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাগিব লিখেছেন, ‘‘কাজে ওড়ান পছন্দের দলের পতাকা, মনের আনন্দে, কিন্তু একই সাথে বাংলাদেশের পতাকাও উড়ুক, আর উঁচুতে, আমাদের গর্বে, আনন্দ বেদনার চিরসঙ্গী হিসাবে৷''
আমারব্লগে একই বিষয়ে সজীব ঘোষের লেখার শিরোনাম, ‘‘নেংটুনগরের গবুচন্দ্র আর ভিনদেশি পতাকা৷'' এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘একবার ভেবেছেন কত গর্বের পতাকা এই লাল সবুজ? পতপত করে যখন লাল সবুজের পতাকা উড়ে তখন আমি ঐ লাল অংশটার দিকে চেয়ে থাকি৷ কারণ ঐ লাল অংশে আমি সূর্য দেখি না৷ কারণ সূর্য স্থির, সেটা আমার কাছে পূর্বপুরুষের শরীর থেকে বয়ে যাওয়া রক্তের বহমান স্রোত৷''
সজীব ঘোষ লিখেছেন, ‘‘দয়া করে নিজের পতাকাকে সম্মান করুন, ভালোবাসুন৷ নিজেকে সন্মান করা হবে, নিজেকে ভালোবাসা হবে৷ আপনি অন্য যে কোন দেশকেই সমর্থন করতে পারেন, তার বিজয়ে আনন্দ উল্লাস করতেই পারেন৷ কিন্তু পতাকা উড়িয়ে দয়া করে গবুচন্দ্র হয়ে যাবেন না৷''