1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রাজিল-উরুগুয়ে: বিষাক্ত, অপরূপ খেলা

২৭ জুন ২০১৩

যেন পাড়ায় পাড়ায় মারামারি৷ যে যাকে পারো ল্যাং মারো, রেফারি দেখতে না পেলেই হলো৷ রেফারি দেখছে দেখলে ‘ডাইভ’ মারো, অ্যাক্টিং করো৷ অথচ এ সবই ঘটছে রাস্তার ফুটবল, গলির ফুটবল, আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে৷

epa03761756 Brazil's Fred (C) celebrates with his teammates Hulk (L) and Dani Alves (R) after scoring the 1-0 lead during the FIFA Confederations Cup 2013 semi final soccer match between Brazil and Uruguay at Mineirao Stadium in Belo Horizonte, Brazil, 26 June 2013. EPA/PETER POWELL +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

ফুটবলের বেসিক স্কিলস বা বুনিয়াদি কৌশল যাকে বলে, তার সবই এই দু'টি দলের আরপ্ত৷ কাজেই বাকি থাকে শুধু তুম ভি মাস্তান, হাম ভি মাস্তান৷ জেন্টলম্যানের মতো পায়ে দু 'দণ্ড বল রেখে কায়দা-কসরৎ দেখানোর কোনো উপায় নেই৷ এ পাশ থেকে, ও পাশ থেকে, এমনকি পেছন থেকে ছোঁ মারার জন্য বিপক্ষের পাঁচ থেকে পাঁচশো'টি প্লেয়ার৷ খেলার দুর্ধর্ষ গতি, অথচ খেলা কোনোদিকে এগোচ্ছে না, এগোতে পারছে না৷

ছবি: picture-alliance/dpa

তার ওপর আবার ব্রাজিল আর উরুগুয়ে, এই দুই ‘পাড়ার' মধ্যে ফুটবল নিয়ে বহুদিনের শত্রুতা – একেবারে ১৯৫০ সাল থেকে বলা চলে, যে বছর উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের ঐতিহাসিক হার কোনো পক্ষই ভোলেনি৷ শত্রুতা এতটাই যে, ব্রাজিলের সুপারস্টার নেইমার সম্পর্কে উরুগুয়ের ক্যাপ্টেন দিয়েগো লুগানো মন্তব্য না করে থাকতে পারেননি যে, নেইমার হলেন একজন ‘ডাইভার' – অর্থাৎ টোকা দিলেই, এমনকি টোকা না দিলেও উল্টে পড়ে গিয়ে ফাউল পাবার চেষ্টা করে থাকেন৷

বিশ্বের দুটো সেরা টিমের খেলা

লুগানো মন্তব্যটা করেন কনফেড কাপের সেমিফাইনালের আগেই এবং খোঁচাটা ব্রাজিলের এতটাই লাগে যে, ব্রাজিলের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন স্বমূর্তিতে ও স্বমহিমায় তার তীব্র প্রতিবাদ জানায়৷ বুধবারের ম্যাচেও দু'পক্ষ নন-স্টপ মারামারি, খেয়োখেয়ি করে গেছে: দেখলে কে বলবে, বিশ্বের দুটো সেরা টিমের খেলা দেখছি! তবে উরুগুয়ের দুর্দান্ত আক্রমণাত্মক খেলা, কিংবা ব্রাজিলের নেইমার সম্বল করে কিংবা না করে, বারংবার ঝলসে ওঠা, এ সবও ঘটে চলেছে ঐ পাড়ায় পাড়ায় মারামারির পাশাপাশি৷ যেন দুজন নামজাদা পেশাদারি বক্সার হঠাৎ রাস্তায় ঘুষোঘুষি শুরু করেছে৷ সেই ঘুষোঘুষি দেখে অন্তত এটুকু বোজাচোখেও বোঝা যায় যে, এদের বক্সিংটা জানা আছে৷

ছবি: picture-alliance/dpa

তাল পাকে গরমে

হচ্ছিল ফুটবলের কথা, এসে গেল বক্সিং! আসলে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ব্রাজিলের আগের তিনটে ম্যাচের ফ্লোয়িং ফর্ম-এর কিছুই দেখা যায়নি৷ কিন্তু তারা যে লড়তে জানে, উরুগুয়ের মতো একটি অভিজ্ঞ দলের বিরুদ্ধে জিতে পারে, এই অভিজ্ঞতাটাই তাদের দল হিসেবে আরো পরিপক্ক করে তুলবে – এ কথা বলেছেন কোচ লুইজ ফেলিপে স্কোলারি থেকে শুরু করে গোলরক্ষক হুলিও সেজার অবধি সকলেই৷

ছবি: picture-alliance/dpa

অপরদিকে উরুগুয়ের দলে এডিনসন কাভানি – যিনি উরুগুয়ের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন – দিয়েগো লুগানো, দিয়েগো ফরলান ও লুইজ সুয়ারেজ-এর মতো পোড়-খাওয়া প্লেয়ার আছে৷ সাম্প্রতিক কয়েক বছরে উরুগুয়েকে নিঃসন্দেহে দক্ষিণ অ্যামেরিকার সেরা টিমগুলির মধ্যে ফেলা চলে৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ সালের বিশ্বকাপেও তারা চতুর্থ হয়েছিল৷ ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করতে তাদের কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বটে, কিন্তু সেটাও সাময়িক বলেই ধরে নেওয়া যায়, বিশেষ করে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে তাদের ফর্ম দেখার পরে৷

বুধবারের খেলা সম্পর্কে উরুগুয়ের ক্যাপ্টেন লুগানোই শেষ কথাটা বলে ফেলেছেন: ‘‘ব্রাজিল দারুণ টিম৷ ওদের জেতা উচিত না হলেও ওরা জেতে৷ সেটাই এই দলটার বিশেষত্ব৷''

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ)  

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ