ব্রাজিল চিরকালই ফেবারিট
১ জুন ২০১০ব্রাজিলের ‘সেলেসাও', অর্থাৎ জাতীয় বাছাই এবার দক্ষিণ আমেরিকার কোয়ালিফাইং অভিযানে যা খেলেছে, তা'তে কোচ কার্লোস দুঙ্গা'র ডিফেন্সিভ মনোবৃত্তি প্রতিফলিত হলেও, সাফল্যের কোনো অভাব ঘটেনি৷ ব্রাজিল তাদের কোয়ালিফাইং শেষ করে তালিকার শীর্ষে, ১৮টি খেলায় মাত্র ১১টি গোল খেয়ে এবং পরিবর্তে ৩৩টি গোল দিয়ে৷
মনে রাখতে হবে, রোনাল্ডিনিও এবং রোনাল্ডো'র মতো প্লেয়ারদের এই নতুন স্কোয়াডের জন্য বিবেচনাও করা হয়নি৷ তবে রবিনিও, লুইস ফাবিয়ানো এবং বিশেষ করে রেয়াল মাদ্রিদের কাকা'র মতো আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় থাকতে দুঙ্গা'র দশা এখন সেই রবি ঠাকুরের ‘‘মরব নাকো নিপুণিকা চতুরিকার শোকে, তাঁরা সবাই অন্য নামে আছেন মর্তলোকে''৷ গোলে সম্ভবত বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক হুলিও সেজার, ডিফেন্সে মেইকন৷ - বলতে কি, গতবছর ঐ দক্ষিণ আফ্রিকাতেই অনুষ্ঠিত কনফেডারেশনস কাপে ব্রাজিল ইটালি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে কাপ জিতে প্রমাণ করে দেয় যে - তারা চিরকালের ফেবারিট৷
এবার কিন্তু সেলেসাও পড়েছে গ্রুপ ‘জি'-তে, গ্রুপ অফ ডেথ৷ একে তো খেলতে হবে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর পোর্তুগালের সাথে৷ তার ওপরে আছে উত্তর কোরিয়া, যাদের প্রেরণার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই এবং যারা বিশ্ব পর্যায়ে বিশেষ মাঠে না নামলেও, যখন তারা নামে, তখন ছাপ না রেখে যায় না৷ তার ওপর আবার যদি দিদিয়ের ড্রোগবা'র আইভরি কোস্ট'কে ধরা যায়, যে আইভরি কোস্টের এবার আফ্রিকার তরফ থেকে খেতাব জেতার সম্ভাবনা সর্বাধিক বলে মনে করা হচ্ছে...
যাই হোক, যে কার্লোস দুঙ্গা আদ্রিয়ানো, আলেক্সান্দ্রেই পাতো, নেইমার, পাওলো গানসো'র মতো খেলোয়াড়দের বাড়িতে ফেলে আসতে পারেন, তাঁর গ্রুপ অফ ডেথ'এও বিশেষ ভির্মি খাবার কারণ নেই৷ তাঁর আসল চিন্তা কি নিয়ে, তা তিনি গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছেই ব্যক্ত করেছেন : ‘‘আমাদের তারকারা আছে, কিন্তু তাদের মাঠে দল হিসেবে খেলতে হবে... নয়তো আমরা এগোতে পারব না৷''
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ