1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রাজিল: ফুটবল এবং গণপ্রতিবাদ

২২ জুন ২০১৩

কনফেড কাপকে বলা হয় বিশ্বকাপের ড্রেস রিহার্সাল৷ কিন্তু নাটকটা যদি খেলাধুলার না হয়ে সমাজ ও রাজনীতির হয়? দেশের মানুষ যদি বিশ্বকাপের মঞ্চে তাদের দুঃখ-দুর্দশাকেই তুলে ধরতে চায়? প্লেয়াররাও কি মানুষ নয়? তারাই বা কি ভাবে বা বলে?

RIO DE JANEIRO, BRAZIL - JUNE 20: Protestors display banners during the FIFA Confederations Cup Brazil 2013 Group B match between Spain and Tahiti at the Maracana Stadium on June 20, 2013 in Rio de Janeiro, Brazil. (Photo by Alexandre Loureiro/Getty Images)
ছবি: Getty Images

আরব বসন্ত থেকেই তা বোঝা গিয়েছিল অথবা বুঝতে পারা উচিত ছিল যে এ এক নতুন যুগ৷ এ যুগে মানুষজন অন্যভাবে, অন্য উপায়ে একত্রিত হয়৷ এবং একত্রিত হবার পর সেই আন্দোলন যে কোন দিকে যাবে অথবা মোড় নেবে, তা আগে থেকে বলার কোনো উপায় নেই৷ উদাহরণ: তুরস্কে যা ঘটছে৷ উদাহরণ: ব্রাজিলে কনফেড কাপ উপলক্ষ্য করে যা ঘটছে৷

কনফেড কাপে যারা সারা বিশ্ব থেকে খেলতে এসেছে, সেই নামি-দামি প্লেয়ারদেরও শুনতে হচ্ছে, ভাবতে হচ্ছে, বলতে হচ্ছে, পথের প্রতিবাদ সম্পর্কে তারা তাদের এয়ারকন্ডিশন্ড হোটেলে বসে কি ভাবছে; মাঠের গরমে, খেলার উত্তেজনার মধ্যে কি ভাবছে৷ ফুটবল এমন একটা খেলা, যা জীবনের অঙ্গ হয়ে যায়৷ প্রতিবাদও জীবনের অঙ্গ৷ কাজেই সে-ই বা ফুটবল থেকে বাদ পড়বে কেন? সেনাপুলিশ মোতায়েন করে তাকে স্টেডিয়ামের বাইরে রাখার প্রচেষ্টা করে কোনো লাভ নেই৷

ব্রাজিলে কনফেড কাপ উপলক্ষ্য করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে...ছবি: Reuters

আবেগ-অনুভূতি বলতে যেমন ফুটবল, তেমনই দেশপ্রেম বোঝাতেও

ব্রাজিলের কথাই ধরা যাক৷ জাতীয় একাদশের খেলোয়াড়দের মধ্যে দানি আলভেজ, দাভিদ লুইজ, হাল্ক এবং ফ্রেড, সকলেই প্রতিবাদী জনতাকে সমর্থন করে মতপ্রকাশ করেছেন৷ ‘একজন শিক্ষকের মূল্য কি নেইমারের চেয়ে কম?' জনতা এই প্রশ্ন তোলার পর ব্রাজিলের সকল আশা, সকল ভরসার নেইমারকেও ইনস্টাগ্রামে সরাসরি অভিযোগ করতে দেখা গেছে: সরকার নাকি ব্রাজিলের জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না৷

গত বুধবার ফর্তালেজা স্টেডিয়ামের পরিবেশটা ছিল বৈদ্যুতিক৷ বাইরে ১৫ হাজার প্রতিবাদী জনতার সমাবেশ৷ ভিতরে ব্রাজিলের জাতীয় সংগীত বাজানো শেষ হবার পরেও প্লেয়াররা এবং ফ্যানরা গেয়ে চলেছেন সেই গান৷ ৬০ হাজার মানুষের কণ্ঠ থেকে দেশপ্রেমের অনুভূতি৷ চেলসির ডিফেন্ডার লুইজ পরে বলেন: এটা ছিল তাঁর জীবনের সুন্দরতম মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি৷ ক্যাপ্টেন থিয়াগো সিলভা চোখ বুজে, আকাশের দিকে মুখ তুলে গান গেয়ে চলেছেন৷ তরুণ মিডফিল্ডার অস্কারের চোখে জল৷

সাবধানের মার নেই

অন্য দেশের প্লেয়ারদেরও ভাবতে হচ্ছে৷ উরুগুয়ের স্ট্রাইকার দিয়েগো ফরলান বলেছেন, বিশ্বকাপের দরুণ সারা দুনিয়ার চোখ ব্রাজিলের দিকে৷ কাজেই ব্রাজিলের জনগণের পক্ষে এটাই প্রতিবাদ জানানোর সেরা সময়৷ উরুগুয়ের কোচ অস্কার তাবারেজ আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদ জানানোর ‘‘অধিকারের'' কথা বলেছেন৷ অপরদিকে নাইজিরিয়ার কোচ ফুটবলকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার পক্ষপাতী৷ মেক্সিকোর কোচ তাঁর প্লেয়ারদের বাইরের ঘটনাবলী থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবেন৷ সাবধানীদের দলে অবশ্যই ফিফার প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার-এর নাম করতে হবে, যিনি কনফেড কাপ আর পথের প্রতিবাদের মধ্যে কোনো ‘‘ক্রসওভার'' চান না৷

ব্লাটার হয়ত ভাবছেন: এ তো শুধু কনফেড কাপ৷ এরপর বিশ্বকাপ এলে কি হবে?

এসি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ