ব্রাসেলসে তুরস্ক-ইসরায়েলের গোপন বৈঠক
১ জুলাই ২০১০৩১শে মে গাজার উপকূলে একটি জাহাজের ওপর ইসরায়েলী হামলায় ৯ জন তুর্কি নাগরিক মারা গেলে ইসরায়েল এবং তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়৷ তুরস্ক পুরো ঘটনার তদন্তের দাবি জানায়৷ একই সঙ্গে ইসরায়েলের জন্য তার আকাশসীমা ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে৷
ব্রাসেলসের একটি হোটেলে আলোচনা হয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু এবং ইসরায়েলের বাণিজ্যমন্ত্রী বেঞ্জামিন বেন এলিজারের মধ্যে৷ আহমেত দাভুতোগলু অবশ্য ব্রাসেলসে এসেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের সদস্যপদ নিয়ে কথা বলতে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের অনুরোধেই এই আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়৷ ইসরায়েলের কাছ থেকে আমরা কি আশা করছি তা বারবারই লিখিতভাবে জানানো হয়েছে৷ আলোচনায়ও তা উল্লেখ করা হয়েছে বেশ কয়েকবার৷
৩১শে মে গাজার উপকূলে তুরস্কের ত্রাণ সাহায্য বহনকারী জাহাজে ইসরায়েলি হামলার পর এই প্রথম দু' দেশ মিলিত হল৷ দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক শীতল হওয়ায় অ্যামেরিকা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷
এই হামলার পরপরই আঙ্কারা তেল আভিভ থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় এবং দুই দেশের পরিকল্পিত তিনটি যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল করে দেয়৷
তুরস্কের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা জানিয়েছে, গাজার উপকূলে যা হয়েছে সে জন্য ইসরায়েলকে তুরস্কের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে৷ যে সব পরিবার তাদের আপনজন হারিয়েছে তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইসরায়েলকে৷ একই সঙ্গে তুরস্কের জোর দাবি – আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত করা হোক পুরো ঘটনার আর সেই সাথে আটক করা তুরস্কের অন্য তিনটি জাহাজ ছেড়ে দেওয়া হোক৷ একই সঙ্গে গাজার ওপর যে অবরোধ রয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়ার ওপরও জোর দিচ্ছে তুরস্ক৷
তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবামান এই আলোচনা সম্পর্কে নাকি কিছুই জানতেন না৷ তাঁকে না জানিয়েই তুরস্কের সঙ্গে এই আলোচনা৷পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, মন্ত্রীকে না জানিয়ে ব্রাসেলসে এধরণের আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুবই রুষ্ট হয়ছেন৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক