1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রাসেলস হামলা ও শরণার্থী সংকট

২৪ মার্চ ২০১৬

পোল্যান্ড জানিয়েছে, আগের অঙ্গীকার করলেও এখন তারা শরণার্থী নিতে রাজি নয়৷ ব্রিটেনে উঠছে ইইউ ছেড়ে নিজেদের নিরাপদ রাখার দাবি৷ ব্রাসেলস হামলার কারণে ইউরোপে শরণার্থীদের সমস্যা কি বাড়বে?

ব্রাসেলস বিমানবন্দরে শোক পালন
ছবি: Reuters/G. Vanden Wijngaert

ব্রাসেলস হামলার পর বৃহস্পতিবারই জরুরি বৈঠকে বসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মন্ত্রীরা৷ হামলার ক্ষতি এবং নিরাপত্তা জোরদার করার উপায় নিয়েই মূলত আলোচনা হবে এ বৈঠকে৷

ব্রাসেলস হামলার তিন সন্দেহভাজনের মধ্যে দু’জন সহোদর৷ দুই ভাইয়ের একজন ইব্রাহিম এল বাকরাওয়ি ব্রাসেলস বিমানবন্দরে হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল৷ আর ইব্রাহিমের ভাই খালিদ হামলা চালায় মেট্রো স্টেশনে৷ এছাড়াও ইব্রাহিমের সঙ্গে আরো একজন ছিল৷ সেই তৃতীয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজ চলছে৷

মঙ্গলবার সকালের তিনটি বোমা হামলার ক্ষত নিয়েই ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠছে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস৷ কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই চলছে সব কিছু৷ কোথাও শহরের কেন্দ্রীয় বিমানবন্দর এবং বিমানবন্দর সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনে বোমা হামলায় নিহত ৩১ জনের প্রতি নীরবে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন শান্তিপ্রিয় মানুষ, কোথাও বা সন্ত্রাসবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধরা সমস্বরে তুলছেন হত্যা ও ঘৃণার রাজনীতিবিরোধী আওয়াজ৷

তবে ব্রাসেলস হামলা আতঙ্ক অনেক বাড়িয়েছে৷ হামলাকারীরা আইএস জঙ্গি এবং বহিরাগত বলে পোল্যান্ড ইতিমধ্যে জানিয়েছে আগের অঙ্গীকার অনুযায়ী ৭ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর মধ্যে অন্তত ৪০০ জনকে মার্চ-এপ্রিলের মধ্যেই নেয়ার কথা থাকলেও এখন সে অঙ্গীকার রক্ষা করা ঠিক হবে বলে তারা মনে করে না৷ পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বেয়াটা শিডলো বলেছেন, ‘‘ব্রাসেলসে যা ঘটে গেল তারপরও আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে, এখনো শরণার্থী গ্রহণে আমরা রাজি আছি৷''

তিনি মনে করেন, ঢালাওভাবে শরণার্থী গ্রহণ শুরু করার কারণেই ইউরোপে নিরাপত্তাসংকট দেখা দিয়েছে৷ এভাবে শরণার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ইইউ অঞ্চলকে সমস্যায় ফেলার জন্য আঙ্গেলা ম্যার্কেলকেই দায়ী মনে করেন বেয়াটা শিডলো৷ এ জন্য জার্মান চ্যান্সেলের কঠোর সমালোচনাও করেছেন তিনি৷

'We should not be afraid'

02:53

This browser does not support the video element.

এদিকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রতি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করার জন্য হাঙ্গেরি সরকারের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংস্থা কর্ডেলিয়া ফাউন্ডেশন৷ এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, বিশেষ করে সিরিয়া, আফগানিস্তান ও সোমালিয়া থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হাঙ্গেরিতে অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতনেরও শিকার হতে হয়৷

আফগান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা অবশ্য তুরস্কেও ভালো নেই৷ গত সপ্তাহেও ৩০ জন আফগানকে জোর করে ফেরত পাঠিয়েছে তুরস্ক সরকার৷ ফিরে যেতে বাধ্য হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা জানিয়েছিলেন, দেশে ফিরলে তালেবান তাদের হত্যা করতে পারে৷ তারপরও তাদের জোর করে ফেরত পাঠানোয় তুর্কি সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ