1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিকসের সম্প্রসারণে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

২৮ আগস্ট ২০২৩

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে গঠিত ব্রিকসে আরও ছয়টি দেশকে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ ব্রিকসের এমন সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা গেছে৷

সাউথ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে নেতারা
ব্রিকসের নতুন ক্ষমতাকেন্দ্র হয়ে ওঠার সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রকাশ্যে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পশ্চিমা অনেক দেশছবি: Sergei Bobylev/Imago Images

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, ব্রিকস যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, কারণ, তাদের স্বার্থের মধ্যে অনেক ভিন্নতা আছে৷

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ‘আমাদের অংশীদার এবং দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুমাত্রিক মিত্রদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে... যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, বিভিন্ন দেশ তাদের ইচ্ছামতো অংশীদার এবং গ্রুপ বেছে নিতে পারে৷''

কদিন পর নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-টোয়েন্টির শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র৷ ব্রিকসের বর্তমান পাঁচটি দেশ এই গোষ্ঠীর সদস্য৷ এছাড়া ব্রিকসের সদস্য হতে যাওয়া নতুন দেশগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরবও জি-টোয়েন্টির সদস্য

হোয়াইট হাউস বলছে, পশ্চিমা দেশগুলো নতুন দিল্লির বৈঠকে ‘শক্তিশালী ফলাফল' আশা করছে, যা জি-টোয়েন্টির ভূমিকাকে ‘অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রধান ফোরাম' হিসাবে তুলে ধরবে৷

ব্রিকসের নতুন ক্ষমতাকেন্দ্র হয়ে ওঠার সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রকাশ্যে সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পশ্চিমা অনেক দেশ৷ ৷ তবে তারা হয়ত নিজেদের মধ্যে অন্যরকম চিন্তা করে থাকতে পারে, বলে মনে করছে পশ্চিমা কয়েকটি গণমাধ্যম৷ যেমন নরওয়ের আফটেনপস্টেন সংবাদপত্র লিখেছে, ব্রিকস ‘স্বৈরাচারী এবং প্রতিক্রিয়াশীল নেতাদের একটি বৈশ্বিক ক্লাবে পরিণত হয়েছে, যার প্রধান হচ্ছে চীন এবং রাশিয়া৷'' এসব দেশের মানুষের আরও ভালো কিছু প্রাপ্য বলেও মন্তব্য করেছে পত্রিকাটি৷

নেদারল্যান্ডসের এনআরসি সংবাদপত্র মনে করছে, ‘‘আসলে, শেষ পর্যন্ত, শুধুমাত্র আর্জেন্টিনা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে- যা চীনের জন্য একটি ধাক্কা৷'' দক্ষিণ আফ্রিকা জোর দিয়ে বলেছে যে, ব্রিকসকে পশ্চিমা বিরোধী প্ল্যাটফর্ম হিসাবে দেখা ‘সম্পূর্ণ ভুল'৷ ‘‘গ্রুপটি এখনও জি-সেভেন এর বিকল্প নয়, যেমনটা চীন একে দেখতে চায়,'' লিখেছে এনআরসি৷

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, ব্রিকসের সম্প্রসারণ বড় কোনো বিষয় নয়৷ ২০২৩ সালে এসে একটি দেশ অন্য কোথাও মিত্র খুঁজবে সেটিই স্বাভাবিক, বলে মনে করেন তিনি৷ ‘‘বর্তমান সময়ে প্রতিটি দেশ সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন,'' বলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেক দেশকে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে: কোন অংশীদারিত্ব তার নিজস্ব মূল্যবোধ এবং স্বার্থের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত? দীর্ঘমেয়াদে কোনটি এর জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী?''

ব্রিকস দেশগুলোর সম্মেলনকে একটি সমস্যা হিসাবে দেখছে জার্মানির কিছু গণমাধ্যম৷ তবে বেয়ারবক এর সঙ্গে একমত নন৷ তিনি বলেন, ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা ওএসসিই এবং জি-টোয়েন্টিরও তাদের সদস্য বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে৷

তবে ইউরোপীয় সংসদে সবুজ দলের (বেয়ারবকের দল) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কো-অর্ডিনেটর রাইনহার্ড ব্যুটিকোফার বলেন, ‘‘ব্রিকস সম্প্রসারণের কারণে এই গ্রুপের চরিত্র বদলে যাবে৷ চীনের আধিপত্য বাড়বে এবং ব্রিকস একটি স্পষ্ট কর্তৃত্ববাদী গ্রুপে পরিণত হবে৷''

ইইউ একটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি৷ ‘‘ইউরোপ যে দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য, নির্ভরযোগ্য এবং ন্যায্য অংশীদার হতে চায়, তা প্রমাণ করার জন্য অনেক বছর নেই,'' বলেন ব্যুটিকোফার৷ ‘‘যদি আমরা সফল না হই, তাহলে এই দেশগুলোর অনেকে ব্রিকসের দিকে ঝুঁকতে পারে,'' বলে সতর্ক করে দেন তিনি৷

অলিভার পিপার/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ