ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ব্রিটেনের মাটিতে সাবেক এক রুশ গোয়েন্দা ও তাঁর মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যা চেষ্টার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন৷ প্রতিক্রিয়া হিসেবে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কয়েকটি পদক্ষেপেরও ঘোষণা দেন৷
বিজ্ঞাপন
বুধবার ব্রিটিশ সংসদে দেয়া বক্তৃতায় টেরেসা মে ২৩ জন রুশ গোয়েন্দাকে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেন ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন৷ এই ২৩ ব্যক্তি কূটনীতিক পরিচয়ের আড়ালে গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করতেন বলে ব্রিটেন মনে করছে৷ এছাড়া রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে দেয়া লন্ডন সফরের আমন্ত্রণও বাতিল করা হয়েছে৷ দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের যেসব বৈঠক হওয়ার কথা সেগুলোও স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন টেরেসা মে৷ আর জুন-জুলাই মাসে রাশিয়া অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফুটবল বিশ্বকাপের সময় সেখানে কোনো মন্ত্রী কিংবা রাজ পরিবারের কোনো সদস্যকে পাঠাবে হবে না বলেও জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷
কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ব্রিটেনের এই প্রতিক্রিয়া রাশিয়ার উপর সামান্যই প্রভাব ফেলবে৷ লন্ডনের থিংক ট্যাংক চেটেম হাউসের রাশিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক মাটিয়ু বুলেগ মনে করছেন, ‘‘ক্রেমলিন এটাকে খুবই হালকা প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখবে৷ এটি নিয়ে পুটিন চিন্তিত হবে না বলে মনে হচ্ছে৷''
ইংল্যান্ডে ভ্রমণের ১০ কারণ
উত্তাল সমুদ্র, সবুজ পাহাড়, বড় বড় দুর্গ – সবমিলিয়ে ইংল্যান্ড অসাধারণ৷ যুক্তরাজ্যের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এই ইংল্যান্ড যেখানে ৫০ মিলিয়নের বেশি মানুষ বাস করে৷
ছবি: Getty Images/M.Cardy
লন্ডন
পৃথিবী বিখ্যাত মিউজিয়াম, দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মধ্যরাতে এখানে সেখানে ‘লাইভ মিউজিক’ – এ সবকিছু সমন্বয়ে লন্ডন অসাধারণ৷ যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন ইউরোপের অন্যতম দর্শনীয় স্থান৷ প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন পর্যটক আসে এখানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Kalker
প্রাসাদ
ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য দুর্গ ও প্রাসাদে ঘুরতে ঘুরতে পর্যটকরা খুঁজে পাবেন ইতিহাসের রোমাঞ্চ৷ এর মধ্যে বেশিরভাগই অট্টালিকায় সুসংরক্ষিত৷ উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ডোভার ক্যাসেলের কথা, মধ্যযুগীয় এ দুর্গ অবস্থিত সমুদ্রতীরের খাঁড়া পাহাড়ের উপর৷
ছবি: picture-alliance/prisma/Tpx
চা
চা, বিশেষ করে দুধ দিয়ে ঘন কালো চা এখানকার অন্যতম পানীয়৷ ১৭শ শতকের দিকে এ অঞ্চলে চা পানের প্রচলন হয়৷ সেই থেকে এখনো পর্যন্ত চা এখানকার বিশেষ পানীয়৷
ছবি: picture-alliance/Food and Drink/G. Franks
স্থাপত্যকলা
নর্ম্যান ফস্টার ও ডেভিড চিপারফিল্ডের মতো বিখ্যাত স্থপতিদের জন্যও ইংল্যান্ডের সুনাম আছে আধুনিক স্থাপত্যকলায়৷ লন্ডনে রয়েছে জাহা হাদিদের নকশায় ২০১২ সালের অলিম্পিকসের জন্য বানানো একুয়াটিক্স সেন্টার৷
ছবি: picture-alliance/prisma/Tpx
স্টোনহেঞ্জ
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে এই স্টোনহেঞ্জ৷ এখানকার পাথরগুলো উপাসনালয়, মানমন্দির নাকি কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার হতো, তা অবশ্য এখনো ঠিক জানা যায়নি৷ তবে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ এ স্থান পরিদর্শনে আসে৷ ভিতরের বৃত্তবন্দি পাথরগুলো স্থাপন করা হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ সাল নাগাদ৷
ছবি: picture-alliance/Bildagentur-online/Tetra
ম্যানচেস্টার
এক সময়ের বাণিজ্যিক শহর ম্যানচেস্টার এখন পরিণত হয়েছে এক আধুনিক শহরে, যেখানে অসংখ্য ক্লাব বা সুরিখানার দেখা মিলবে৷ প্রতি দু’বছর পর পর অনুষ্ঠিত ম্যানচেস্টার ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যলে যোগ দিতে পৃথিবী বিখ্যাত সংগীতশিল্পী, আঁকিয়ে, অভিনেতারা জড়ো হন এখানে৷
ছবি: picture-alliance/empics/D. Thompson
উদ্যান
বড় বড় বাগানের পাশাপাশি সারা ইংল্যান্ড জুড়ে আছে অসংখ্য ছোট ছোট বাগান, যেগুলো সারা বছরই খোলা থাকে সাধারণ মানুষের জন্য৷ দক্ষিণ পশ্চিম ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ার কাউন্টিতে দেখা মিলবে ব্রিটিশ ল্যান্ডস্কেপের অসামান্য উদাহরণ৷ তৃণভূমি, হ্রদ, বনভূমির সংমিশ্রণে ১৭২০ সালের দিকে সাজানো হয়েছে এখানকার পরিবেশ৷
ছবি: picture-alliance/robertharding/R. Tomlinson
বিটলস
বিটলস ভক্তরা জীবনে একবার হলেও লিভারপুলে আসার কথা ভাবেন৷ এই চার শিল্পীর ছোটবেলা কেটেছে যেখানে সেসব বাড়িগুলো আছে এখনো৷ বিটলসের নানা স্মৃতি ছড়িয়ে আছে এখানকার বিভিন্ন জায়গায়৷
ছবি: picture-alliance/Pixsell/L. Stanzl
কর্নওয়াল
ইংল্যান্ডের কর্নওয়াল বিখ্যাত এ অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য৷ এতে আছে রুক্ষ সমুদ্র, দীর্ঘ বালুময় সমুদ্র সৈকত, পাহাড়ি উপত্যকা আর ছোট্ট জেলে গ্রাম৷
ছবি: picture-alliance/prisma/Tpx
শেক্সপিয়ার
পৃথিবী বিখ্যাত শেক্সপিয়ারের সান্নিধ্য পাওয়া যাবে এই ইংল্যান্ডেই৷ স্টার্টফোর্ড-আপঅন-অ্যাভনে রয়েছে তাঁর জন্মস্থান, আছে স্কুল৷ তাঁর বিখ্যাত নাটকগুলো ইংল্যান্ডেরই অনেক মঞ্চে নিয়মিত প্রদর্শিত হতো৷
ছবি: picture-alliance/World Pictures/P. Phipp
10 ছবি1 | 10
একসময় রাশিয়ায় সবচেয়ে বড় ফরেন ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ছিল ‘হার্মিটেজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট'৷ এই কোম্পানির প্রধান বিল ব্রাউডার রয়টার্সকে বলেন, লন্ডনকে আরও শক্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে, নইলে আরও হামলা হতে পারে৷ ‘‘রাষ্ট্র সমর্থিত এমন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ব্রিটিশ সরকার যদি ২৩ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার এবং বিশ্বকাপে কিছু কর্মকর্তাকে না পাঠানোর মধ্যে সীমিত থাকে, তাহলে ব্রিটেনের মাটিতে আরও হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে,'' বলেন তিনি৷
২০০৬ সালে লন্ডনে হত্যা হওয়া রাশিয়ার আরেক সাবেক গোয়েন্দা আলেক্সান্ডার লিটভিনেঙ্কোর বিধবা স্ত্রী মারিনা লিটভিনেঙ্কোও মনে করছেন ব্রিটেনের প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট নয়৷ অবশ্য তাঁর স্বামীর হত্যার পর নেয়া পদক্ষেপের চেয়ে এবারেরটি শক্তিশালী বলে মনে করছেন তিনি৷
লিটভিনেঙ্কোকে হত্যার জন্য যে দুই রুশ নাগরিককে দায়ী মনে করেছিল ব্রিটেন, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে ব্রিটেনে পাঠাতে রাশিয়াকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু রাশিয়া সেটি না করায় ব্রিটেন চারজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল৷
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়েকে ব্রিটেনের সলসবেরি শহরের এক বেঞ্চিতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়৷ এরপর তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ দু'জনের অবস্থা এখনও সংকটজনক, তবে স্থিতিশীল বলে জানা গেছে৷ তাঁদের শরীরে বিষ প্রবেশ করাতে ‘নোভিচক' নামে একটি ‘নার্ভ এজেন্ট' ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ উল্লেখ্য, নার্ভ এজেন্ট হচ্ছে এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান, যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাছে বার্তা পাঠানোর কাজ ব্যহত করে৷
৬৬ বছর বয়সি সের্গেই স্ক্রিপাল রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্নেল ছিলেন৷ পরে তাঁর বিরুদ্ধে ব্রিটেনের এম১৬ গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে রুশ গোয়েন্দা এজেন্টদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছিল৷ এরপর ২০১০ সালে লন্ডন ও মস্কোর মধ্যে গোয়েন্দা বিনিময় চুক্তির আওতায় সের্গেই স্ক্রিপাল ব্রিটেনে গিয়েছিলেন৷
রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া
রাশিয়ার বিরুদ্ধে স্ক্রিপালের উপর হামলার অভিযোগ এনে টেরেসা মে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন' বলে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা৷ রাশিয়াও ব্রিটেনের বিরুদ্ধে পালটা ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা করছে বলেও জানান তিনি৷
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ ব্রিটেনের অবস্থানকে ‘দায়িত্বহীন' বলে মন্তব্য করেছেন৷ আর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলছেন, স্ক্রিপাল ইস্যুতে ব্রিটেনের এমন প্রতিক্রিয়ার অন্যতম একটি কারণ ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের সমস্যায় থাকা৷
এদিকে টেরেসা মের বক্তব্যের পর লন্ডনের রুশ দূতাবাসের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করা হয়েছে৷ এতে একটি থার্মোমিটারের ছবি দেয়া হয়েছে, যেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখানো হচ্ছে৷ এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার শীতল সম্পর্কের বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে৷ তবে রাশিয়া শীতল আবহাওয়াকে ভয় পায় না বলেও টুইটে উল্লেখ করা হয়েছে৷
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যের নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে ইংল্যান্ডে সাবেক রুশ গোয়েন্দার উপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং এর জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন৷ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ঐ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, স্ক্রিপালকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে ধরণের নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে সেটি রাশিয়ায় তৈরি৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের মাটিতে এটিই প্রথম নার্ভ এজেন্টের ব্যবহার বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়৷ এছাড়া ‘‘এটি যুক্তরাজ্যের সার্বভৌমত্বের উপর হামলা,’’ বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা৷
রানির বিখ্যাত পোশাক-আশাক
গোলাপি ড্রেসে রানি, মাথায় গোলাপি টুপি৷ নীল ড্রেস হলে নীল টুপি৷ সবুজ ড্রেস হলে টুপিও সবুজ৷ রানিকে আমরা এভাবেই চিনি৷ কিন্তু সেটা চিরকালই এ রকম ছিল না৷ রানির অবশ্য নিজস্ব স্টাইল তৈরি হতে বহুদিন সময় লেগেছে...
সবসময় ম্যাচিং
রানি এলিজাবেথের সাজগোজ প্রায় কিংবদন্তি৷ ড্রেস-এর সঙ্গে ম্যাচ করা হ্যাট বা টুপি, গাউনের হেমলাইন ওজন দিয়ে ভারি করা, যা-তে বাতাসে কোনোরকম লজ্জাকর পরিস্থিতি না সৃষ্টি হয়৷ তারপর হাতের বটুয়াটি: হ্যান্ডব্যাগের আকার সবসময় এক; রং, কালো; সাইজ এমন যে, তা-তে রানির লিপস্টিক, চশমা, মিন্ট লজেন্স আর হাতরুমাল ধরে৷ দুনিয়া রানি এলিজাবেথকে এভাবেই গত ষাট বছর ধরে দেখে আসছে৷
উর্দিধারী রাজকন্যা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এলিজাবেথ উইন্ডসর ছিলেন অক্সিলিয়ারি টেরিটোরিয়াল সার্ভিসের সদস্য৷ ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর মহিলা ডিভিশন ছিল এই এটিএস৷ এলিজাবেথ মেকানিকের কাজ শেখেন, ট্রাক চালাতে শেখেন৷ ছবিটি ১৯৪৫ সালের – এখানেও মাথায় টুপি!
ছবি: public domain
বিয়ের ‘বেনারসি’
যুদ্ধ শেষ হবার দু’বছর পরে এলিজাবেথ তাঁর ছেলেবেলার প্রেম প্রিন্স ফিলিপ অফ গ্রিস অ্যান্ড ডেনমার্ককে বিয়ে করেন৷ যুদ্ধের পর তখন ব্রিটেনে রেশন ব্যবস্থা চলেছে৷ রাজকন্যার বিয়ের পোশাকের জন্য সেরকম ভালো মালমশলা পাওয়াই কঠিন৷ তা সত্ত্বেও স্যাটিন ড্রেসটিতে দশ হাজার মুক্তো আর অন্যান্য ক্রিস্টাল বা পাথর বসানো ছিল, লেসের ‘ট্রেন’ বা ঝালরের দৈর্ঘ ছিল পাক্কা ১৩ ফুট৷
ছবি: Imago/ZUMA/Keystone
করোনেশন গাউন
১৯৫৩ সালের ২রা জুন প্রিন্সেস এলিজাবেথের অভিষেক৷ অনুষ্ঠানে তিনি একটি সাদা সিল্কের ড্রেস পরেছিলেন, তার ওপর কমনওয়েল্থ-এর এমব্লেম এমব্রয়ডারি করা ছিল৷ ১৬ ফুট লম্বা মখমলের কেপটি বহন করার দায়িত্ব ছিল ছ’জন ‘মেইড অফ অনার’-এর ওপর৷
ছবি: picture-alliance/Heritage Images
পশ্চিম জার্মানিতে প্রথম সফর
সাংবাদিকরা নাম দিয়েছিলেন ‘শতাব্দীর সফর’৷ পশ্চিম জার্মানি পরম উচ্ছ্বাসে স্বাগত জানায় ইংল্যান্ডের রানিকে – সময়টা ছিল ১৯৬৫ সালের মে মাস৷ ৫৬ বছর এবং দু’টি বিশ্বযুদ্ধের পর আবার ব্রিটেনের একজন রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির জার্মানিতে পদার্পণ৷ রানি এলিজাবেথ তাঁর ১১ দিনের সফরে ১৮টি শহর পরিদর্শন করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Rohwedder
দ্বিতীয় সফর
রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়বারের রাষ্ট্রীয় সফরে জার্মানিতে আসেন ১৯৭৮ সালে৷ এবার তাঁর সফর যেন সহজ, স্বাভাবিক বন্ধুত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিল, যা-তে তৎকালীন জার্মান প্রেসিডেন্ট ভাল্টার শেল-এর অবদানও কিছু কম ছিল না৷
ছবি: imago
আটপৌরে
রানি যখন রাষ্ট্রীয় সফরে যান না কিংবা ব্রিটিশ সংসদের অধিবেশন উদ্বোধন করেন না, তখন তিনি হ্যাটের পরিবর্তে মাথায় রুমাল বাঁধাই পছন্দ করেন৷ রানি যেন হঠাৎ খোশমেজাজের দাদিতে পরিণত হন! ছবিটি তোলা ২০১২ সালে৷