1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যানেজারদের ডানা ছাঁটছে ইইউ

৬ মার্চ ২০১৩

সুইজারল্যান্ডের গণভোটের ফলে ম্যানেজারদের আকাশছোঁয়া বোনাস কার্যত বন্ধ হতে চলেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নও সামগ্রিক কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে ভবিষ্যতে সংকটের আশঙ্কা দূর করতে চলেছে৷ তবে বাধা দিচ্ছে ব্রিটেন৷

Banker mit Bonus Banker mit Bonus © granata68 #28961772
ছবি: Fotolia/granata68

সবার নজর আপাতত সপ্তাহান্তে সুইজারল্যান্ডের গণভোটের ফলাফলের দিকে৷ সেখানকার মানুষ এমন এক রায় দিয়েছেন, যার প্রভাব গোটা ইউরোপে পড়তে বাধ্য৷ বেসরকারি কোম্পানি ও ব্যাংকের ম্যানেজারদের এতকাল কোনো নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিশাল অঙ্কের পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছিল৷ এমনকি সংস্থা লোকসান করলেও মোটা টাকার বেতন ও বোনাস পকেটে নিয়ে বিদায় নিচ্ছিলেন ম্যানেজাররা৷ এবার সেই রীতি বদলে যাবে৷ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন ছাড়া সুইজারল্যান্ডের কোম্পানিগুলি ম্যানেজারদের আর এমন অস্বাভাবিক অঙ্কের পারিশ্রমিক দিতে পারবে না৷ অর্থাৎ রাষ্ট্র সরাসরি ম্যানেজারদের বেতন ও অন্যান্য আয় নিয়ন্ত্রণ করবে না, বিষয়টা ছেড়ে দেবে শেয়ারহোল্ডারদের উপর৷

এমন এক মডেল ইউরোপীয় ইউনিয়নেও আলোচিত হচ্ছে৷ তবে ইউরোপ সেই সঙ্গে আরও একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিতে চাইছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট প্রতিরোধ করা৷ মনে রাখতে হবে, ২০০৮ সালে আর্থিক সংকটের মূলেই ছিল ম্যানেজারদের বল্গাহীন ঝুঁকি নেয়ার প্রবণতা৷

Swiss To Crack Down on Executive Pay

01:24

This browser does not support the video element.

ইউরোপীয় অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনে এ বিষয়টিই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে৷ ইউরোপীয় কমিশন ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টও বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা দেখাচ্ছে৷ প্রস্তাবিত এক আইনের আওতায় ম্যানেজারদের বোনাস নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে যথেষ্ট মূলধন প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে সংকট এলে সরকার, তথা করদাতাদের কাছে হাত পাততে না হয়৷ তবে এ নিয়মের বিরুদ্ধে তাদের পাল্টা যুক্তি হলো, সংকটের এই সময়ে তহবিলে অর্থ আটকে থাকলে হিতে বিপরীত হবে৷ বেসরকারি সংস্থাগুলির ঋণের চাহিদা মেটাতে সেই অর্থ কাজে লাগানো যাবে না, ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে ফিরে আসার অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হবে৷

মোটকথা, ২০০৮ সালের মতো পরিস্থিতি এড়াতে চান ইউরোপের নেতারা৷ ‘বাসেল থ্রি'

নামের এই প্যাকেজ নিয়ে জোরালো তর্ক-বিতর্ক চলছে৷ গত সপ্তাহেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি দেশ আয়ারল্যান্ড ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট মিলে এই মর্মে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ সরাসরি ম্যানেজারদের বেতনের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ না করে বোনাসের প্রশ্নেই কড়া নিয়ম চালু করার পক্ষে সওয়াল করছে দুই পক্ষ৷

আপাতত ব্রিটেন একাই এই উদ্যোগের বিরোধিতা করছে৷ তাদের পুরানো যুক্তি, লন্ডনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির অসুবিধা হলে সরকার কোনো পদক্ষেপ সমর্থন করবে না৷ অন্যদিকে ইউরোজোনের বক্তব্য, ব্যাংকিং ক্ষেত্র আর তাদের কল্পনার জগত আঁকড়ে থাকলে চলবে না – বাস্তব জগত, বাস্তব অর্থনীতি এবং মানুষের সঙ্গে তাদের একাত্ম হতে হবে৷ তবে সবাই রাজি হলেও এই উদ্যোগ কার্যকর করতে বেশ সময় লাগবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই ‘বাসেল থ্রি'

কার্যকর করার কথা ছিল৷ কিন্তু ব্রিটেন এবং কিছু ব্যাংকের আপত্তির কারণে সময়সূচিতে রদবদল করতে হয়েছে৷

বরাবরের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের পেছনে ফ্রান্স ও জার্মানির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে৷ ‘সিটি অফ লন্ডন'এর বিশেষ স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে তাদের কোনো সহানুভূতি নেই৷ তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থারও কোনো প্রশ্ন ওঠে না বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ