ইউনাইটেড কিংডম ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বার উপনির্বাচনে জয়লাভ করলো৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে তাদের সাফল্যের পর ব্রিটেনে ইউরোপ-বিরোধিতা আরও জোরালো হয়েছে বলে মনে করেন গ্রেহেম লুকাস৷
বিজ্ঞাপন
ইউকিপ-এর জয় ব্রিটেন ও ইউরোপের ইতিহাসের সন্ধিক্ষণ রচনা করেছে৷ এ নিয়ে কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই বললে চলে৷ কারণ এর ফলে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল৷ বিদেশি ও ইইউ-বিরোধী এই দলটির প্রতি ভোটারদের সমর্থনের পেছনে দু'টি কারণ রয়েছে বলে মনে হচ্ছে৷ প্রথমত, পূর্ব ইউরোপ থেকে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করার জোরালো ডাক দিচ্ছে ইউকিপ৷ ইইউ-র অভ্যন্তরীণ বাজারের মধ্যে অবাধ বিচরণের অধিকার নিয়েই তারা প্রশ্ন তুলছে৷ দ্বিতীয়ত, ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রতিষ্ঠিত দলগুলি সম্পর্কেও অনীহা দেখা যাচ্ছে৷ রচেস্টার উপনির্বাচনে যা ঘটেছে, আগামী বছরের মে মাসে জাতীয় নির্বাচনে তার পুনরাবৃত্তি হলে দেশের দুটি প্রধান দলের কোনোটি সংসদে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না৷ এ নিয়ে তেমন সন্দেহ থাকতে পারে না৷ ইউকিপ-এর ইউরোপ-বিরোধিতার ঢেউয়ে রক্ষণশীল দল জিম্মি হয়ে পড়েছে৷ ইউকিপ-কে নকল করতে ও দলের মধ্যে দক্ষিণপন্থিদের সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ২০১৭ সালে ইইউ-তে থাকার বিষয়ে একটি গণভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ তার উপর রক্ষণশীল দলে ক্যামেরন-এর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বরিস জনসন আরও দক্ষিণপন্থি অবস্থান নিয়েছেন৷ আগামী মে মাসে রক্ষণশীল দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে তিনি নেতৃত্বের দাবি করতে পারেন৷
ইউরোপের সবচেয়ে সুন্দর সাতটি ট্রেন স্টেশন
ইউরোপে ট্রেন খুব জনপ্রিয়৷ ইউরোপ ঘুরে দেখার জন্য যদি রেলপথ বেছে নিতে চান, তাহলে কোন ট্রেন স্টেশনগুলো বেছে নেবেন? ছবিঘরে থাকছে ডয়চেভেলের ফেসবুক অনুসারীদের পছন্দের সাতটি স্টেশনের কথা৷
ছবি: Fotolia/Sascha F.
বেলজিয়ামের সেরা
বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ট্রেন স্টেশনের তালিকা করলে সেখানে অ্যান্টওয়ার্পের কেন্দ্রীয় রেল স্টেশনকে রাখতেই হবে৷ যুক্তরাষ্ট্রের নিউজউইক ম্যাগাজিন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ট্রেন স্টেশনগুলোর একটা তালিকা করেছিল৷ সেই তালিকায় চতুর্থ স্থান পেয়েছিল এই স্টেশনটি৷ অ্যান্টওয়ার্পের এই স্টেশনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ১৮৯৫ সালে, কাজ শেষ হয় ১৯০৫ সালে৷
ছবি: Fotolia/Sascha F.
‘কাঁচমহল’
‘বার্লিন হাউপ্টবানহফ’, অর্থাৎ বার্লিনের প্রধান রেল স্টেশনটি কাঁচের তৈরি৷ একসময় এখানেই ছিল বার্লিন লেয়ারটার বানহফ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেটা প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়৷ ২০০৫ সালে সেখানে গড়ে তোলা হয় বার্লিন হাউপ্টবানহফ৷ স্টেশনটি রাজধানীতে হলে কী হবে, বার্লিন হপ্টবানহফ কিন্তু জার্মানির সবচেয়ে ব্যস্ত ট্রেন স্টেশন নয়!
ছবি: Fotolia/kreativtraum
জার্মানির ব্যস্ততম স্টেশন
জার্মানির সবচেয়ে ব্যস্ত ট্রেন স্টেশন হামবুর্গে৷ হামবুর্গ হাউপ্টবানহফ৷ প্রতিদিন অন্তত সাড়ে চার লাখ মানুষ এই স্টেশন থেকে যাতায়াত করেন৷ হামবুর্গ হাউপ্টবানহফ ইউরোপের দ্বিতীয় ব্যস্ততম ট্রেন স্টেশন৷ এখান থেকে দ্রুতগামী ট্রেনে চড়ে যাত্রীরা সোজা চলে যেতে পারেন কোপেনহেগেন৷ এভাবেই ডেনমার্কের সঙ্গে সেন্ট্রাল ইউরোপের সংযোগ রক্ষা করে হামবুর্গ৷
ছবি: Fotolia/kameraauge
ইউরোপের ব্যস্ততম স্টেশন
ইউরোপের সবচেয়ে ব্যস্ত ট্রেন স্টেশন ‘গার দু নর্ড’৷ প্যারিসের এই স্টেশন থেকে প্রতি বছর অন্তত ১৯ কোটি মানুষ ফ্রান্স এবং ফ্রান্সের বাইরের বিভিন্ন স্থানে যায়৷ বেলজিয়াম, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস আর ইংল্যান্ডে যাওয়া যায় এখান থেকে৷ গার দু নর্ড শুধু ইউরোপের ব্যস্ততমই নয়, বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম স্টেশনও এটি৷ বিশ্বের ব্যস্ততম স্টেশনটি রয়েছে জাপানে৷
ছবি: Bertrand Guay/AFP/Getty Images
লন্ডনের সেইন্ট প্যানক্রাস স্টেশন
ইউরোপের ব্যস্ততম ট্রেন স্টেশন থেকে চলে যেতে পারেন ইউরোপের বাণিজ্যিক কেন্দ্র লন্ডনে৷ সেখানে ১৮৬৮ সাল থেকে পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে সেইন্ট প্যানক্রাস স্টেশন৷ সে আমলে স্টেশনটি অবশ্য এমন ছিল না৷ তখনকার নিউ-গথিক স্থাপত্য শৈলীর সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বর্তমান কাঠামোটি দাঁড় করাতে কয়েকশ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/Ellen Rooney/Robert Harding
আইফেলের আরেক অনন্য সৃষ্টি
প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের সঙ্গে বুদাপেস্ট ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে স্টেশনের একটা মিল আছে৷ দুটিরই ডিজাইনার এক৷ হ্যাঁ, হাঙ্গেরির রাজধানী শহরের এই ট্রেন স্টেশনটিও নির্মাণ করেছে আইফেল কম্পানি৷
ছবি: imago/Volker Preußer
ক্রোয়েশিয়ার প্রাণকেন্দ্রে...
ইউরোপে এলে ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবের প্রধান স্টেশন দেখে যেতে ভুলবেন না৷ স্টেশনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল ১৮৯২ সালে৷ এত প্রাচীন, এত সুন্দর একটা ট্রেন স্টেশন দেখার সুযোগ হাতছাড়া করা কি ঠিক?
ছবি: picture-alliance/Uwe Gerig
7 ছবি1 | 7
লেবার পার্টির অবস্থাও ভালো নয়৷ গত এক দশকে ইউরোপ সম্পর্কে তাদের অবস্থান অস্পষ্ট থেকেছে৷ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী তাদের ক্ষমতায় আসতে হলে বামপন্থি ও ইউরোপপন্থি স্কটিশ ন্যাশানাল পার্টি-র সমর্থন লাগবে৷ এসএনপি অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে, যে তারা স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে আবার গণভোট আয়োজন করতে চায়৷ লেবার পার্টিকে ইউরোপপন্থি লিবারাল ডেমোক্র্যাট দলেরও সাহায্য লাগবে৷ রচেস্টারের উপনির্বাচনে তাদের অবশ্য ভরাডুবি হয়েছে৷
এই প্রেক্ষাপটে দুটি সম্ভাব্য চিত্র উঠে আসছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে এক গ্রেট ব্রিটেন অথবা ‘লিটল ইংল্যান্ড'৷ কারণ ততদিনে ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যও ভেঙে পড়বে৷ দুটি মধ্যে একটি সম্ভাবনাও যদি বাস্তব রূপ নেয়, তাতে ইউরোপেরই বড় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে৷ তবে এটা মনে রাখতে হবে, এমন পরিস্থিতি এড়ানো এখনো সম্ভব৷ চরম দক্ষিণপন্থিদের সামলাতে ক্যামেরন বার বার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তিগুলি নিয়ে নতুন করে দরাদরি করতে চান৷ জার্মানির আঙ্গেলা ম্যার্কেল সহ ইউরোপের অনেক নেতা তাঁর এই জ্বালাময়ী কথাবার্তা ও হাবভাবের কারণে বিরক্ত হয়ে উঠছেন৷ ব্রিটেন বরং ইইউ ছেড়ে চলে যাক – এমন হতাশ মনোভাবই বেড়ে চলেছে৷ এটা বোঝা তেমন কঠিন নয়৷ তবে তা সত্ত্বেও সেটা হবে মস্ত এক ভুল৷
ইউরোপের বস্তিগুলো
ইউরোপের শহরগুলোর বস্তিতে তিন কোটিরও বেশি মানুষের বাস৷ এসব বস্তিতে নেই বিদ্যুৎ ও পানির সুব্যবস্থা৷
ছবি: FILIPPO MONTEFORTE/AFP/Getty Images
অমানবিক অবস্থা
বেশিরভাগ বস্তিতে এক ছাদের নীচে অনেকে বাস করেন৷ মাত্র চার বর্গমিটার এলাকায় তিন জন মানুষ গাদাগাদি করে থাকে৷ নেই বিশুদ্ধ পানি, শৌচাগার বা নিরাপত্তা৷
ছবি: AFP/Getty Images
প্যারিসের অন্য রূপ
ইউরোপের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নাম রোমা৷ অভিজাত শহর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠে একটি বস্তির ছবি এটি৷ ইউরোপের বিভিন্ন শহরের বস্তিতে রোমাদের সংখ্যাটাই বেশি৷ এদের বেশিরভাগই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত এবং বেকার৷
ছবি: DW/G. Ketels
ঘর হারানোর ভয়
আমাদের দেশের মতোই বেশিরভাগ বস্তি অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে৷ তবে প্রধান শহরগুলোতে কিছু বস্তি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত৷ রোমারা এসব বস্তিতে খুব আশঙ্কার মধ্যে থাকে, কেননা তারা শ্রেণি বৈষ্যমের শিকার এবং যে-কোনো সময় তাদের বের করে দেয়ার ভয় দেখানো হয়৷
ছবি: Pablo Blazquez Dominguez/Getty Images
প্রদীপের নীচে অন্ধকার
ইউরোপকে সবসময় ধনসম্পদে পরিপূর্ণ এবং জীবনযাপনের জন্য ভালো স্থান বলে তুলে ধরা হয়৷ কিন্তু ফ্রান্স থেকে সার্বিয়া বা তুরস্ক সব জায়গাতেই কিন্তু বস্তি রয়েছে৷ ইউরোপের সবচেয়ে বড় বস্তিটি স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের কাছে অবস্থিত৷ ৪০ বছর আগে গড়ে ওঠা এই বস্তিতে বাস করেন প্রায় ৩০,০০০ মানুষ৷
ছবি: DW
বস্তিতে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা
জাতিসংঘের মতে, ২০২০ সালের মধ্যে সাহারা অধ্যুষিত আফ্রিকায় মোট জনসংখ্যার ২৬.৬ শতাংশ বস্তিতে বাস করবে, যা বর্তমানের চেয়ে একটু বেশি৷ এশিয়ার মোট জনসংখ্যার ৫৭.৭ শতাংশ মানুষ বস্তিতে বাস করবে৷ সেই তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোতে মোট জনসংখ্যার মাত্র ২.৩ শতাংশ মানুষ থাকবে বস্তিতে৷
ছবি: Mindjazz pictures
বৃত্ত থেকে বের হওয়ার উপায় নেই
বিশ্বের অন্যান্য বস্তির তুলনায় ইউরোপের বস্তিগুলোর মানুষ অবশ্য সুযোগ সুবিধা থেকে ততটা বঞ্চিত নয়৷ তবে বিশ্বের সব বস্তিতে একটা বিষয়ে মিল আছে আর তা হলো শিক্ষার আলো থেকে বস্তিবাসীরা বঞ্চিত৷ ফলে এরা কেউ এই দরিদ্রতা থেকে বেরিতে আসতে পারে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কণ্টকিত জীবন
ইউরোপের বস্তিগুলো কেবল রোমা সম্প্রদায় নয় অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাথা গোঁজার জায়গা৷ বিশেষ করে স্পেনে অর্থনৈতিক মন্দার পর অনেকেই বাসা ভাড়া এবং বাড়ি বন্ধকীর অর্থ শোধ করতে না পারায় বস্তিতে ঠাঁই নিয়েছেন৷
ছবি: DW
গৃহহীন
ইটালির রাজধানী রোমের উপকণ্ঠে একটি শরণার্থী শিবিরে এই পরিবারটির বাস৷ আসলে একটা বস্তির আকার ও আয়তন কি হবে তা পরিমাপ করাটা কঠিন৷ তবে বরাবরই কর্তৃপক্ষ যা ঘোষণা করে তার চেয়ে বস্তিবাসী মানুষের সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে৷
ছবি: FILIPPO MONTEFORTE/AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
ইউরোপীয় নেতাদের উচিত, ব্রিটেনের আগামী সরকারের সঙ্গে ইউরোপে সংস্কারের বিষয়ে কথা বলা৷ কারণ ব্রিটেনের কিছু সমালোচনা সত্যি ন্যায্য৷ সেই বিষয়গুলির নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন৷ তাছাড়া সাম্প্রতিক ইউরোপীয় নির্বাচনে দেখা গেছে, যে শুধুমাত্র উত্তর পশ্চিম উপকূলের তর্কবাগীশ ব্রিটিশরাই অসন্তুষ্ট নন৷ ইউরোপের অনেক মানুষ মনে করেন, ইউরোপীয় স্তরে গণতান্ত্রিক কাঠামোর অভাব রয়েছে এবং ধীরে ধীরে অনেক ক্ষমতা ব্রাসেলস-এর হাতে চলে যাচ্ছে৷ তাছাড়া বেশ কিছু নীতির ক্ষেত্রে ইউরোপে ঐকমত্যের প্রয়োজন রয়েছে – যেমন অভিবাসন বা সামাজিক ভাতার লোভে পর্যটনের প্রবণতা৷ তা না করলে সামাজিক ভাতার কাঠামো এই চাপ সহ্য করতে পারবে না৷ অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতিযোগিতার পথের বাধাগুলিও দূর করতে হবে৷ তার চেয়েও বড় কাজ হবে ইইউ-র ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা৷
রচেস্টারের ঘটনা সম্ভব হয়েছে, কারণ আরও বেশি মানুষ মনে করছেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্কার একেবারেই সম্ভব নয়৷ ২০০৮ সাল থেকে ব্রিটেনের অর্থনীতির উন্নতির ফলে তারা মনে করছেন, যে ব্রিটেন একা থাকলে আরও ভালো ফল করবে৷ সেটাও একটা বড় ভুল৷ ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকায় হিলারি মান্টেল সম্প্রতি লিখেছেন, ব্রিটিশরা তাদের দ্বীপের মানসিকতা, তীব্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যে ডুবে যাচ্ছে৷ জার্মানির ম্যার্কেল সহ ইউরোপীয় নেতাদের উচিত ইইউ-র সমালোচকদের উত্থাপিত বিষয়গুলি নিয়ে খোলামেলা কথা বলা, বিতর্ক চালানো এবং এমন উত্তর বার করা, যা ইউরোপের সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে৷ ব্রিটিশরাও যেন বুঝতে পারে, যে সফল ইউরোপীয় ইউনিয়ন আসলে তাদেরও স্বার্থে প্রয়োজনীয়৷