করোনা ভাইরাস মহামারি রূপ নেয়ার পর স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য কেনা পাঁচ কোটি মাস্ক নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার৷ মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক সরকারের ‘বোর্ড অফ ট্রেড'- এর উপদেষ্টা৷
বিজ্ঞাপন
বিরোধী দলগুলো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরুরি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে৷
মাস্ক কেনার জন্য বিনিয়োগকারী ফার্ম আয়ান্দা ক্যাপিটেলের সঙ্গে এপ্রিলে ২৫ কোটি ২০ লাখ পাউন্ডের চুক্তি সই করে ব্রিটিশ সরকার৷ কিন্তু মাস্কগুলো নিরাপদ নয় বলে আদালতে মামলা করা হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে৷ এতে বলা হয়েছে, মাথায় ফাঁকা রাখার বদলে কান দুটো ফাঁকা রাখা হয়েছে এবং এগুলো যথেষ্ট ‘টাইট' নয়৷ এ কারণে মাস্কগুলো সরকার বিতরণ করেননি৷
বৃহস্পতিবার কনজারভেটিভ সরকারের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে দুটি ক্যাম্পেইনিং গ্রুপ ‘দ্য গুড ল প্রজেক্ট' এবং ‘এভরি ডক্টর'৷ তারা আদালতের কাছে জানতে চেয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষরের আগে কেনো পিপিই মাস্কগুলো কেনো যথাযথভাবে দেখে নেয়া হয়নি৷ গ্রুপ দুটোর দাবি, ৫ কোটি মাস্কের দাম কমপক্ষে ১৫ কোটি পাউন্ড৷ যদিও সরকার জানায়নি কত দাম দিয়ে তারা এগুলো কিনেছে৷ চুক্তির বাকি অর্থও দেয়া হয়েছে কিনা বা আদৌ দেয়া হবে কিনা তা-ও অস্পষ্ট৷
মার্চে যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল যে, দেশটির চিকিৎসক আর নার্সদের জন্য প্রচুর মাস্ক, দস্তানা, গাউন এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা/প্রতিরোধক সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে৷ বিশ্বের সব সরবরাহকারীর কাছ থেকেই তখন এসব উপকরণ কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল৷
সরকার মামলার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, আয়ান্দা ক্যাপিটেলের মালিক এন্ড্রু মিলসের কাছ থেকে এই মাস্কগুলো কেনা হয়েছে, যিনি সরকারের ‘বোর্ড অফ ট্রেড'-এর একজন উপদেষ্টা৷ মিলস এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ আয়ান্দা ক্যাপিটেলের প্রধান নির্বাহী টিম হরলিক দাবি করেছেন, সরকারের মানদণ্ড মেনেই মাস্কগুলো তৈরি করা হয়েছে এবং এগুলো অব্যবহারযোগ্য বা অনিরাপদ নয়৷
ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, আয়ান্দার কাছ থেকে কেনা আরো ১৫ কোটি মাস্ক এখনো পরীক্ষা করে দেখা হয়নি৷ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি খুবই হতাশ৷
প্লাস্টিকের বোতল থেকে মাস্ক বানাচ্ছে বৌদ্ধমন্দির
থাইল্যান্ডের ব্যাংককের কাছে ওয়াত চাক দায়েং বৌদ্ধমন্দিরে প্লাস্টিকের বোতল থেকে মাস্ক তৈরি হচ্ছে৷ মন্দিরটি দুই বছর ধরে প্লাস্টিক থেকে ভিক্ষুদের পোশাকও তৈরি করছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Suwanrumpha
প্লাস্টিকের বোতল থেকে মাস্ক
থাইল্যান্ডের ব্যাংককের কাছে ওয়াত চাক দায়েং বৌদ্ধমন্দিরের চামনানওয়েজ সুথিয়ানো পুনরায় ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বোতল থেকে তৈরি মাস্ক পরে আছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Suwanrumpha
কারণ করোনা
ওয়াত চাক দায়েং মন্দির বছর দুয়েক আগে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বোতল থেকে ভিক্ষুদের পোশাক তৈরির কাজ শুরু করে৷ করোনার কারণে এখন মাস্কও তৈরি হচ্ছে সেখানে৷ পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই এই উপায় বের করেন মঠাধ্যক্ষ প্রাণম ধামালাঙ্কারো৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Suwanrumpha
মাস্কে মন্ত্র
একজন ভিক্ষু মাস্কে মন্ত্র লিখে দিচ্ছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Suwanrumpha
১৫ টন প্লাস্টিক
পোশাক তৈরি করতে প্রত্যেক মাসে গড়ে ১৫ টন প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করা হয়৷ মন্দিরের আশেপাশে বাস করা অবসরপ্রাপ্ত মানুষ, গৃহিণীসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীরা এসব সংগ্রহ করে দেন৷ পোশাক বিক্রির অর্থ দিয়ে তাদের বেতন দেয়া হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Suwanrumpha
আশীর্বাদ নিতেও প্লাস্টিক
আশীর্বাদপ্রার্থী অনুসারীরা সাধারণত মন্দিরে খাবার, পোশাক ইত্যাদি নিয়ে যান৷ ওয়াত চাক দায়েং বৌদ্ধমন্দিরে এছাড়াও অনুসারীরা প্লাস্টিকের ব্যাগ আর বোতল দিয়ে আসেন৷ ছবিতে একজন স্বেচ্ছাসেবীকে মাস্ক তৈরি করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Suwanrumpha
পাঁচ দেশের একটি
থাইল্যান্ড উপসাগরে প্লাস্টিকের বিপুল বর্জ্য রয়েছে৷ ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, সাগরে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য পাওয়া পাঁচ দেশের একটি হচ্ছে থাইল্যান্ড৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Suwanrumpha
বোতল দিয়ে তৈরি মন্দির
ওয়াত চাক দায়েং-ই থাইল্যান্ডের পরিবেশবান্ধব একমাত্র বৌদ্ধমন্দির নয়৷ ওয়াত পা মাহা শেদি ক্যাও মন্দিরটি তৈরি হয়েছে বোতল দিয়ে৷ থাইল্যান্ডের সিসাকেত রাজ্যে মন্দিরটি অবস্থিত৷ স্থানীয় ভিক্ষুরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ১৯৮৪ সালে বোতল দিয়ে মন্দির তৈরির কাজ শুরু করেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Yongrit
বিয়ারের বোতল
সবুজ রংয়ের ‘হাইনেকেন’ বিয়ারের বোতল আর ‘চাঙ’ নামে বাদামি রংয়ের বিয়ারের বোতল দিয়ে মন্দিরটি তৈরি হয়েছে৷ আর বোতলের মুখ মোজাইক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে৷