1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনে পৌঁছাতে মরীয়া

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪

ফ্রান্সের ‘কালে’ শহরে যে হাজার দেড়েক হবু অভিবাসী ব্রিটেন যাবার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন, তাঁরা হয়ত জানেনও না যে, তাঁদেরকে কেন্দ্র করে ফ্রান্স, ব্রিটেন ও ইউরোপে কী পরিমাণ বিতৃষ্ণা, বিরোধ তথা বিতর্ক দানা বাঁধছে৷

Migranten Großbritannien
ছবি: picture-alliance/dpa

‘কালে' একটি সুবিশাল বন্দর: প্রতি বছর এখান দিয়ে এক কোটি বিশ লাখ টুরিস্ট ও ১৯ লাখ ট্রাক যাতায়াত করে৷ সেই সঙ্গে যদি হাজার দেড়েক অভিবাসনপ্রয়াসী যোগ হয়, তাহলে সেটা প্রায় চোখে না পড়ারই কথা৷ অতীতে হয়ত সেরকমই খানিকটা ছিল৷ কিন্তু সম্প্রতি এই অভিবাসনপ্রয়াসীদের প্রকৃতি ও আচরণ যেন বদলে গেছে৷ তাঁরা যেন আরো নিঃস্ব, আরো মরীয়া৷ কাজেই তাঁদের পুলিশ থেকে শুরু করে ট্রাক ড্রাইভার, এমনকি টুরিস্টদের সঙ্গে দাঙ্গা লাগাচ্ছে৷ ফ্রান্সের দক্ষিণপন্থি ফ্রান্সের ফ্রঁ নাসিনাল বা ন্যাশনাল ফ্রন্ট রাজনৈতিক দল তাঁদের বিরুদ্ধে অকুস্থলে প্রচার চালাচ্ছে৷ কালে থেকে বেআইনি অভিবাসন কিভাবে রোখা যায়; সে রোখার দায়িত্ব কার অর্থাৎ কোন দেশের, শুধু ফ্রান্স, নাকি সেই সঙ্গে ব্রিটেনেরও; কালে-কে নিরাপদ করার, অর্থাৎ এখান থেকে ব্রিটেন অভিমুখে অভিবাসন রোখার খরচাটাই বা দেবে কে – ইত্যাদি নানা প্রশ্ন৷

কালে-র এই ‘মাইগ্রান্ট'-রা এসেছে প্রধানত পূর্ব আফ্রিকা থেকে: এরিট্রিয়া, সুদান, সোমালিয়া, হয়ত আফগানিস্তান থেকেও কিছু৷ এরা ইউরোপে পা দেয় নড়বড়ে নৌকা কিংবা জাহাজে করে, ভূমধ্য সাগর পার হয়ে৷ প্রথমে পদার্পণ করে সাধারণত ইটালিতে৷ তারপর সেখান থেকে শেঙেন চুক্তির দেশগুলির সীমান্ত পার হয়ে ফ্রান্সের কালে-তে৷ কেননা তাঁদের গন্তব্য হলো ব্রিটেন৷ স্বপ্নের দেশ বলতে সেটাই বোঝেন তাঁরা – যেমন তাঁদের হয়ত দালালেরা বুঝিয়েছে৷

ইটালিতে এ বছরেই ৬০ হাজার মানুষ এভাবে ভাগ্যের সন্ধানে এসে পৌঁছেছে৷ এমনকি ভাঙাচোরা বোটে বা জাহাজে সমুদ্রযাত্রার নানা বিপদ – মাঝেমধ্যে ভরাডুবি থেকেও রক্ষা করার দায়িত্ব ইটালির সীমান্তরক্ষী ও নৌ-বাহিনীর উপর ন্যস্ত৷ কিন্তু ৭৫ হাজার বাসিন্দার ছোট্ট শহর – অথচ বিরাট বন্দর – কালে-তে পৌঁছানোর পর সে চেহারা বদলে যায়৷ কালে-তে এই মাইগ্রান্টরা অবাঞ্ছিত৷ তাঁদের করোগেটেড টিন আর প্লাস্টিক শিটের ঝুপড়িগুলোকে কেউ দেখতে চায় না৷ কিন্তু মাইগ্রান্টরা যাবে কোথায়?

কাজেই তাঁরা প্রয়োজনে ঢিল মেরে, কিংবা রাস্তায় শুয়ে থেকে ট্রাক থামানোর চেষ্টা করছেন৷ জোর করে টুরিস্টদের গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করছেন৷ পুলিশের সঙ্গে মারামারি, হাতাহাতি করছেন৷ সম্প্রতি একটা ফেরিবোট পর্যন্ত আক্রমণ করেছেন তাঁরা৷ রাস্তার ধারে ভালো জায়গাগুলো দখল করার জন্য এঁদের নিজেদের মধ্যে মারামারিও বিরল নয়৷ বলতে কি, এই মাইগ্রান্টদের উৎপাত থেকে বাঁচার জন্য নাকি কিছু যানবাহন কালে শহরের দিকে না এসে, ডানকার্ক অথবা চ্যানেল টানেল হয়ে ব্রিটেনে যাবার চেষ্টা করছে – যা কালে-র অর্থনীতির পক্ষে সুখবর নয়৷

ছবি: AP

বিশ্বের দরিদ্র মানুষেরা যে-করে-হোক সমৃদ্ধ ইউরোপে আসার এবং এখানে থেকে যাওয়ার চেষ্টা করছে৷ এটা শুধু ফ্রান্স, ব্রিটেন কিংবা ইউরোপের সমস্যা নয়: কালে-তে যা দেখা যাচ্ছে, তা হলো বিশ্বায়িত বিশ্বের সংকট৷ এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের অভিবাসন মন্ত্রী জেমস ব্রকেনশায়ার প্রস্তাব দিয়েছেন: সম্প্রতি ওয়েলস-এ ন্যাটোর শীর্ষবৈঠকে যে ১১ ফুট উঁচু ইস্পাতের বেড়া ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোকে অভিবাসী ঠেকানোর জন্য কালে শহরে পাঠালে কেমন হয়?

এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ