1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিটের জট ছাড়াতে এবার আসরে জনসন

১২ জুন ২০২০

চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট পুরোপুরি কার্যকর করার ঝুঁকি এড়াতে সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ইইউ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা হবে৷ তারপর দুই পক্ষের মধ্যে খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনার গতি বাড়িয়ে দ্রুত বোঝাপড়ার চেষ্টা চালানো হবে৷

জনসন
ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Dunham

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ব্রেক্সিট পুরোপুরি কার্যকর হবার পর ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্ক কী দাঁড়াবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ মধ্যস্থতাকারীদের একাধিক আলোচনায় অগ্রগতির অভাবে এবার শীর্ষ পর্যায়ে বোঝাপড়ার উদ্যোগ শুরু হচ্ছে৷ সোমবার দুপুরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তিনটি ইইউ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করবেন৷ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ছাড়াও এই আলোচনায় অংশ নেবেন ইইউ সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রধান ডাভিড সাসোলি৷

শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার আগেই দুই পক্ষ মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে বৈঠকের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ফলে ২৯শে জুন থেকে পর পর পাঁচ সপ্তাহ ধরে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে৷ এর আওতায় দুই প্রতিনিধিদলের মধ্যে সরাসরি আলোচনা ছাড়াও ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে মধ্যস্থতাকারীরা নির্দিষ্ট বিষয়ে বোঝাপড়ার উদ্যোগ নেবেন৷ বেশিরভাগ আলোচনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হলেও কিছু বৈঠক লন্ডন ও ব্রাসেলসে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে৷

ব্রেক্সিট চুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে এক রাজনৈতিক ঘোষণাপত্রও স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷ ইইউ-র অভিযোগ, বরিস জনসন সেই ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করলেও তাঁর সরকার এখন বেশিরভাগ অঙ্গীকার থেকে সরে আসছে৷ অন্যদিকে ব্রিটেন বৃহত্তর বিষয়গুলি সরিয়ে রেখে শুধু এক ‘সহজ’ বাণিজ্য চুক্তি আদায় করতে চাইছে৷ গত সপ্তাহে চার দিনের আলোচনার পরেও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিধিনিয়ম ও মাছ ধরার অধিকারের মতো বেশ কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে৷ ব্রিটেন কোনো পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন অবস্থার মেয়াদ বাড়াতে না চাওয়ায় দ্রুত বোঝাপড়ার জন্য চাপ বাড়ছে৷

করোনা সংকটের ফলে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তার উপর ভবিষ্যৎ সম্পর্ক স্থির করতে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট, পুরোপুরি কার্যকর হলে অর্থনীতির আরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে৷ বিশেষ করে ব্রিটেনের ব্যবসা-বাণিজ্য জগত এমন পরিস্থিতি এড়াতে সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে৷ ফলে ব্রিটেনের সরকার বাধ্য হয়ে ১লা জানুয়ারি থেকে ইইউ সীমান্তে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চালু করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এর বদলে ডোভারের মতো বন্দরে ইইউ থেকে আসা পণ্যের জন্য এক সাময়িক ‘লাইট টাচ রেজিম’ চালু করা হবে৷ ফাইনাশিয়াল টাইমস পত্রিকা সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে এমন দাবি করেছে৷ সম্ভবত শুক্রবারই আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করা হবে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ