ইইউ, আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেনের মধ্যস্থতাকারীরা দৃশ্যত ব্রেক্সিট আলোচনায় পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করেছেন৷ এবার যুক্তরাজ্য ও ইইউ'র ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে কথাবার্তা শুরু হতে পারে বলে মনে করে ইউরোপীয় কমিশন৷
বিজ্ঞাপন
ইইউ কমিশনের প্রধান জঁ ক্লোদ ইয়ুঙ্কার শুক্রবার ব্রাসেলসে বলেন যে, ব্রিটেন এবং ইইউ ব্রেক্সিট ডিভোর্স চুক্তি সম্পর্কে ‘পর্যাপ্ত প্রগতি’ অর্জন করেছে, যার ফলে উভয় পক্ষ এবার আলাপ-আলোচনার পরবর্তী পর্যায়ে যেতে পারবে৷
ইইউ প্রশাসন জানায় যে, জটিল আলোচনার পর একটি আপোশে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে, যার ফলে ব্রেক্সিট আলোচনার পরিধি বাড়িয়ে ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও একটি উত্তরণের পর্যায় সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে৷
ইউরোপীয় পরিষদের সভাপতি ডোনাল্ড টুস্ক সাংবাদিকদের বলেন, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা- এই তিনটি ক্ষেত্রে ব্রিটেনের সঙ্গে ইইউ'র ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে পরস্পরের মনোভাব যাচাইয়ের জন্য ‘প্রাথমিক আলোচনা’ এবার শুরু হতে পারবে৷ আপাতত একটা আপোশ সম্ভব হলেও, ‘সবচেয়ে সমস্যাকর চ্যালেঞ্জ’ এখনও সামনে রয়েছে বলে টুস্ক বিশেষভাবে উল্লেখ করেন৷
উত্তরণের সময় ব্রিটেনকে ইইউ'র যাবতীয় আইনকানুন মেনে চলতে হবে ও তার বাজেট অনুদান দিয়ে যেতে হবে৷ এছাড়া ব্রিটেন ইইউয়ের বিচার বিভাগের রায় মেনে চলতে বাধ্য থাকবে৷ তবে ব্রিটেন জোটের বাকি ২৭টি দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না৷
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রেক্সিট সংক্রান্ত তিনটি মূল বিষয়ে স্বচ্ছতা দাবি করেছিল: আইরিশ সীমান্ত, একটি আর্থিক বন্দোবস্ত ও যুক্তরাজ্যে ইইউ নাগরিকদের অধিকারসমূহ৷
‘‘এটা একটা শক্ত আলাপ-আলোচনা, কিন্তু আমরা একটি প্রাথমিক সাফল্য অর্জন করেছি৷ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমরা যে ন্যায্য আপোশ করতে পেরেছি, সে বিষয়ে আমি সন্তুষ্ট,’’ বলেন ইয়ুঙ্কার৷
ব্রেক্সিট আলাপ-আলোচনার মূল বিষয়গুলো
২০১৭ সালের ১৯শে জুন ব্রাসেলসে ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনা শুরু হবে৷ শেষ হবার কথা আগামী বছর৷ যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সরকারিভাবে বিদায় নেওয়ার কথা ২০১৯ সালের মার্চ মাসে৷ দু’ পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে কী কী নিয়ে?
ছবি: Getty Images/AFP/O. Scarff
ইইউ’র মার্কেটে প্রবেশাধিকার
প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ৮ই জুনের সংসদীয় নির্বাচনের আগেই আভাস দিয়েছিলেন যে, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের একীকৃত মুক্ত বাণিজ্য এলাকা ছেড়ে যাবে৷ কিন্তু নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের পর টোরি সরকারকে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে৷ অপরদিকে ব্রাসেলসের মনোভাব স্পষ্ট: ব্রিটেনের সিঙ্গল মার্কেটে প্রবেশাধিকার বজায় থাকার শর্ত হলো, ইইউ’র বাকি ২৭টি দেশ থেকে আগত কর্মসন্ধানীদের যুক্তরাজ্যে অবাধ প্রবেশাধিকার দিতে হবে৷
ছবি: Picture alliance/empics/A. Matthews
ব্রিটেনে ইইউ নাগরিকদের অধিকার
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনায় যুক্তরাজ্যে ইইউ নাগরিকদের অধিকার ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ পাবে৷ ইইউ-এর মুখ্য মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ের বলেছেন, ইইউ’র সকল সদস্যদেশ তাদের নাগরিকদের প্রতি যুক্তরাজ্যে ‘সঠিক ও মানবিক’ আচরণ করা হবে – এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার আগে কোনো আলাপ-আলোচনা হবে না৷ প্রায় ৩০ লাখ ইইউ নাগরিক যুক্তরাজ্যে বাস করেন৷ অপরদিকে ১১ লাখ ব্রিটিশ নাগরিক ইইউ’র অধিবাসী৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Ratcliffe
অভিবাসন
টেরেসা মে ব্রেক্সিটের পর ইউরোপ থেকে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করার সংকল্প ঘোষণা করেছেন৷ কিন্তু অভিবাসন মাত্রাধিকভাবে কমে গেলে যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য, সামাজিক পরিচর্যা ও নির্মাণকার্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলিতে কর্মীর অভাব দেখা দিতে পারে বলে একাধিক ব্রিটিশ বিধায়কের আশঙ্কা৷ অন্যদিকে ব্রাসেলসের কাছে ব্রিটেনের ইইউ সিঙ্গল মার্কেটে প্রবেশাধিকারের পূর্বশর্ত হলো ইইউ নাগরিকদের ব্রিটেনে কাজ করার অধিকার৷
ছবি: picture alliance/PA Wire /S. Parsons
নিরাপত্তা
যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে চালু নিরাপত্তা সহযোগিতা দু’ পক্ষেরই স্বার্থে৷ জুনের সূচনায় লন্ডনে সন্ত্রাসী আক্রমণের পর উভয় পক্ষই এই নিরাপত্তা সহযোগিতার গুরুত্ব উল্লেখ করেছে৷ কিন্তু ইউরোপোল বা ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মতো প্রক্রিয়াগুলি ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশে ইইউ’র আইন বলবৎ থাকা প্রয়োজন৷ টেরেসা মে তাঁর ‘গ্রেট রিপিল বিল’-এর মাধ্যমে ইইউ আইনসমূহকে ব্রিটিশ আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে চান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/o. Hoslet
‘বিবাহবিচ্ছেদের মাসোহারা’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন, সেই সঙ্গে ইইউ প্রদত্ত বিভিন্ন ঋণ ও অন্যান্য প্রকল্পে ব্রিটেন যে অর্থদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাসেলস দাবি করছে যে, যুক্তরাজ্যকে ইইউ’র বাজেটে তার প্রদেয় অনুদান দিয়ে যেতে হবে৷ অন্যদিকে ব্রিটেনে ব্রেক্সিট সমর্থকদের বলা হয়েছিল যে, যুক্তরাজ্য ব্রাসেলসে অর্থদান বন্ধ করবে৷
ছবি: picture-alliance/empics/D. Martinez
ইউরোপের আইনকানুন
টেরেসা মে ব্রিটেনে ইউরোপীয় আদালতের এক্তিয়ারের অন্ত ঘটানোর সংকল্প করেছেন৷ অবশ্য সে-যাবৎ ব্রিটিশ সরকারকে অবস্থান কিছুটা নরম হতে দেখা গেছে৷ ‘গ্রেট রিপিল বিল’-এর একটি অর্থ হলো এই যে, ব্রিটিশ কোম্পানিগুলি তাদের ইইউ সহযোগীদের আইনকানুনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে৷ অপরদিকে ব্রাসেলসের কামনা, ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস (ইসিজে) ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যে ইইউ নাগরিকদের প্রতি সদয় আচরণের গ্যারান্টি দেবে৷
ছবি: Reuters/F. Lenoir
আইরিশ সীমান্ত
আসন্ন আলোচনায় আয়ারল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ সীমান্ত একটি কণ্টকিত বিষয় হয়ে উঠতে পারে৷ আইরিশ প্রজাতন্ত্র আর উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিভাজনরেখা আবার একটি ‘কঠিন সীমান্তে’ পরিণত হোক, তা কোনো পক্ষেরই কাম্য নয়৷ কিন্তু টেরেসা মে আপাতত উত্তর আয়ারল্যান্ডের জাতীয়তাবাদী ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন পার্টি-র সঙ্গে জোট সরকার গঠনের চেষ্টা করেছেন৷ তবে দক্ষিণের আইরিশ প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে ডিইউপি’র সম্পর্ক কোনোকালেই ভালো ছিল না৷
ছবি: Reuters/C. Kilcoyne
7 ছবি1 | 7
‘কঠোর’ আইরিশ সীমান্ত নয়
বৃহস্পতিবার লন্ডনে সারারাত ধরে ইইউ ও আইরিশ মধ্যস্থদের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে শুক্রবার সকালে বিমানযোগে ব্রাসেলস যাত্রা করেন৷ আইরিশ সীমান্ত নিয়ে অচলাবস্থা দূর হবার পর তিনি ইয়ুঙ্কারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন৷
উত্তর আয়ারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত ব্রেক্সিট আলাপ-আলোচনায় একটি মূল প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছিল৷ মে'র উত্তর আইরিশ জোট সহযোগীরা আইরিশ সীমান্তের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি সংক্রান্ত বয়ান নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন৷
মে বলেন যে, আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে ‘কোনো ‘কঠোর সীমান্ত’ থাকবে না এবং যুক্তরাজ্য ১৯৯৮ সালের গুড ফ্রাইডে শান্তি চুক্তি বজায় রাখার নিশ্চয়তা দেবে৷ উত্তর আয়ারল্যান্ডের ব্রিটেনপন্থি ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন পার্টি বা ডিইউপি মে'র সরকারকে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাচ্ছে৷ ডিইউপি'র প্রধান আর্লিন ফস্টার স্কাই নিউজ-কে বলেছেন যে, ‘‘আইরিশ সাগরের ভিতর দিয়ে কোনো রেখা চলে না যাওয়ায়’’ তিনি খুশি৷
‘‘আমরা স্পষ্ট স্বীকৃতি পেয়েছি যে, গোটা যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরিত্যাগ করছে, ইইউ'র সিঙ্গল মার্কেট ও কাস্টমস ইউনিয়ন পরিত্যাগ করছে,’’ বলেন ফস্টার৷
মে বলেন যে বহু ‘আদানপ্রদানের’ পর বাকি দু'টি মুখ্য ব্রেক্সিট বিষয়ে ঐকমত্যে আসা সম্ভব হয়েছে৷ ফলে ইইউ ও ব্রিটেনে মোট ৪০ লাখ ইইউ বা ব্রিটিশ নাগরিকের অধিকার রক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া হচ্ছে এবং ডিভোর্স বিলের ক্ষেত্রে দু'পক্ষ ‘‘ব্রিটিশ করদাতার পক্ষে ন্যায্য একটি বন্দোবস্তে’’ পৌঁছাতে পেরেছে৷
এই ‘ব্রেকথ্রু’ অর্জনের মেয়াদ শেষ হচ্ছিল আগামী রবিবার, কেননা, ইইউ নেতৃবর্গ ডিসেম্বরের ১৪-১৫ তারিখে একটি শীর্ষবৈঠকে মিলিত হয়ে ব্রেক্সিট আলোচনার পরবর্তী পর্যায় শুরু করার সবুজ সঙ্কেত দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ এ কারণে একটি ম্যারাথন আলাপ-আলোচনায় শেষ প্রতিবন্ধকতাগুলি দূর করার সার্বিক প্রচেষ্টা করা হয়৷
এসি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)
ব্রেক্সিটের পর ইউরোপ-প্রেম বাড়ছে
ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটের এক বছর পর ইইউ সম্পর্কে ব্রিটেন তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির মানুষের মনোভাব অনেক ইতিবাচক হয়ে উঠেছে৷ ‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝা যায় না’ – এই প্রবাদ ফলে যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Schreiber
শীর্ষে জার্মানি ও ফ্রান্স
ইউরোপীয় ইউনিয়নের চালিকা শক্তি বলে পরিচিত দেশ জার্মানি (৬৮ শতাংশ) ও ফ্রান্সের মানুষ (৫৬ শতাংশ) কিছু সমালোচনা ও সংশয় সত্ত্বেও বরাবর ইইউ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন৷ ব্রেক্সিট গণভোটের পর সেই সমর্থন আরও ১৮ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে৷
ছবি: Reuters/H.Hanschke
ব্রিটেনের ভোলবদল
গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার রায় দেওয়ার পর ব্রিটেনের অনেক মানুষের টনক নড়েছে৷ এখন ৫৪ শতাংশ মানুষ ইইউ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন৷ অর্থাৎ এক ধাক্কায় সমর্থন ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ তবে তার ফলে ইইউ থেকে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়ায় নড়চড় হবার সম্ভাবনা কম৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Tallis
পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি
কট্টর জাতীয়তাবাদী ও ইইউ-বিরোধী সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও পোল্যান্ড (৭৪ শতাংশ) ও হাঙ্গেরির মানুষ (৬৭ শতাংশ) কিন্তু সমীক্ষায় ইইউ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন৷ বাকি অনেক দেশের তুলনায় তাঁরা বরং এ ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Schreiber
অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল
মন্দার ধাক্কা সামলে ইউরোপের অনেক দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে৷ যেমন নেদারল্যান্ডসের ৮৭ শতাংশ মানুষ এর ফলে সন্তুষ্ট৷ জর্জরিত অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হয়ে ওঠায় স্পেনের মানুষের মধ্যেও ইইউ সম্পর্কে উৎসাহ অনেক বেড়ে গেছে৷
ছবি: Getty Images/T. Lohnes
গ্রিস ও ইটালিতে হতাশা
অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দেশ গ্রিসের মানুষ এখনো ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন৷ তাই ইউরোপ সম্পর্কে মাত্র ৩৩ শতাংশ মানুষ তাঁদের উৎসাহ প্রকাশ করেছেন৷ ইটালির অর্থনীতির অবস্থাও ভালো নয়৷ তবে তা সত্ত্বেও সেখানে ৫৬ শতাংশ মানুষ ইইউ-বান্ধব বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Gouliamaki
শরণার্থী সংকট
তুরস্কের সঙ্গে ইইউ-র চুক্তির কারণে শরণার্থীর ঢল কমে যাওয়ায় ইউরোপের অনেক মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন৷ তাঁদের অনিশ্চয়তার সুযোগ নিয়ে বেশ কিছু ‘পপুলিস্ট’ দল ইউরোপবিরোধী আবেগ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালিয়ে এসেছে৷ পরিস্থিতির উন্নতির ফলে তাদের প্রতি সমর্থন অনেক কমে গেছে৷