ক্যামেরনকে ইইউ-র উপহার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ব্রিটেনের চাহিদাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে ইইউ-র অন্য দেশগুলো ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে৷ সেটাই ঠিক ছিল, কারণ ব্রিটেনের অর্থনীতির জন্য যেমন ইইউ-কে প্রয়োজন, তেমনি ইইউ-র প্রয়োজন ব্রিটেনকে৷ ব্রিটেন থাকার কারণে আর্থিক, কূটনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে ইইউ-র যে পরিচিতি, ব্রিটেন না থাকলে সেটা থাকবে না৷ এছাড়া ব্রিটেন না থাকলে জার্মানি এমন এক ব্লকে একা হয়ে পড়বে, যেখানে ঋণগ্রহীতারা সংস্কার চায় না এবং তারা দিন দিন ইইউর অর্থের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে৷
প্রচারণা চালাবেন ক্যামেরন
সাধারণ ব্রিটিশদের মনে এমন এক ধারণা জন্ম নিয়েছে যে, তাঁরা নিজ দেশের বাইরে অন্য আরেক শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে৷ কিন্তু এটি যে ঠিক নয়, ব্রিটিশ জনগণকে সেটা বোঝাতে হবে৷ এক্ষেত্রে ক্যামেরনকে তাঁর মেধা কাজে লাগাতে হবে৷ ব্রিটেনের ইইউ-বিরোধী গোষ্ঠী ও সংবাদমাধ্যমগুলো গণভোট অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাবে৷ ইইউ-র সঙ্গে ব্রিটেনের স্বাক্ষরিত হওয়া চুক্তি যতই উদার হোক না কেন, ব্রিটিশ জনগণ যদি তাতে মত না দেয় তাহলে সেটি বাতিল হয়ে যাবে৷ সেক্ষেত্রে ব্রিটেনকে ইইউ ছাড়তে হবে৷
আর এমন হলে ইইউবিরোধী অন্য দেশগুলোও ব্লক ছেড়ে় চলে যেতে চাইতে পারে৷ সেক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইউনিয়ন' শব্দটির আর কোনো অর্থ নাও থাকতে পারে৷
প্রাক-জরিপ বলছে, ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত ইইউ-বিরোধী প্রচারণার পক্ষেই বেশিরভাগ মানুষ৷ ইউরোপীয় শরণার্থী সংকটের কারণে এমন ফল পাওয়া গেছে৷ ব্রিটেন যদিও শরণার্থী গ্রহণে জার্মানির উদারনীতির পক্ষে নয়, তবুও জার্মানি যদি শরণার্থীদের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দেয় তাহলে শরণার্থীরাও অদূর ভবিষ্যতে ব্রিটেনে গিয়ে থাকতে পারবে৷ এর মানে হচ্ছে ব্রিটেন না চাইলেও অন্য পথ ধরে শরণার্থীরা ঠিকই ব্রিটেনে প্রবেশ করবে৷ এই অবস্থায় জুন মাসে যে গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাতে ব্রেক্সিট-এর পক্ষেই বেশি ভোট পড়তে পারে৷
ক্রিস্টোফ হাসেলবাখ মনে করেন, ব্রিটেনে জুন মাসের গণভোটে ব্রেক্সিট-এর পক্ষেই বেশি ভোট পড়তে পারে৷ প্রিয় পাঠক, আপনি কি তাঁর সঙ্গে একমত? নীচে আপনার মতামত লিখুন৷