1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যামেরনকে ইইউ-র উপহার

ক্রিস্টোফ হাসেলবাখ/জেডএইচ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ব্রাসেলসে ম্যারাথন আলোচনা শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন একটি চুক্তি নিয়ে লন্ডন ফিরে গেছেন, যেটা দিয়ে তিনি প্রচারণা চালাতে পারবেন৷ সবদিক দিয়েই এটা ভালো হয়েছে, বলে মনে করেন ডিডাব্লিউ-র ক্রিস্টফ হাসেলবাখ৷

London Premierminister David Cameron zu den EU-Verhandlungen Downing Street in London
ছবি: Getty Images/AFP/J. Tallis

ব্রিটেনের চাহিদাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে ইইউ-র অন্য দেশগুলো ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে৷ সেটাই ঠিক ছিল, কারণ ব্রিটেনের অর্থনীতির জন্য যেমন ইইউ-কে প্রয়োজন, তেমনি ইইউ-র প্রয়োজন ব্রিটেনকে৷ ব্রিটেন থাকার কারণে আর্থিক, কূটনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে ইইউ-র যে পরিচিতি, ব্রিটেন না থাকলে সেটা থাকবে না৷ এছাড়া ব্রিটেন না থাকলে জার্মানি এমন এক ব্লকে একা হয়ে পড়বে, যেখানে ঋণগ্রহীতারা সংস্কার চায় না এবং তারা দিন দিন ইইউর অর্থের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে৷

প্রচারণা চালাবেন ক্যামেরন

সাধারণ ব্রিটিশদের মনে এমন এক ধারণা জন্ম নিয়েছে যে, তাঁরা নিজ দেশের বাইরে অন্য আরেক শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে৷ কিন্তু এটি যে ঠিক নয়, ব্রিটিশ জনগণকে সেটা বোঝাতে হবে৷ এক্ষেত্রে ক্যামেরনকে তাঁর মেধা কাজে লাগাতে হবে৷ ব্রিটেনের ইইউ-বিরোধী গোষ্ঠী ও সংবাদমাধ্যমগুলো গণভোট অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাবে৷ ইইউ-র সঙ্গে ব্রিটেনের স্বাক্ষরিত হওয়া চুক্তি যতই উদার হোক না কেন, ব্রিটিশ জনগণ যদি তাতে মত না দেয় তাহলে সেটি বাতিল হয়ে যাবে৷ সেক্ষেত্রে ব্রিটেনকে ইইউ ছাড়তে হবে৷

ক্রিস্টফ হাসেলবাখ, ডয়চে ভেলে

আর এমন হলে ইইউবিরোধী অন্য দেশগুলোও ব্লক ছেড়ে় চলে যেতে চাইতে পারে৷ সেক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইউনিয়ন' শব্দটির আর কোনো অর্থ নাও থাকতে পারে৷

প্রাক-জরিপ বলছে, ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত ইইউ-বিরোধী প্রচারণার পক্ষেই বেশিরভাগ মানুষ৷ ইউরোপীয় শরণার্থী সংকটের কারণে এমন ফল পাওয়া গেছে৷ ব্রিটেন যদিও শরণার্থী গ্রহণে জার্মানির উদারনীতির পক্ষে নয়, তবুও জার্মানি যদি শরণার্থীদের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দেয় তাহলে শরণার্থীরাও অদূর ভবিষ্যতে ব্রিটেনে গিয়ে থাকতে পারবে৷ এর মানে হচ্ছে ব্রিটেন না চাইলেও অন্য পথ ধরে শরণার্থীরা ঠিকই ব্রিটেনে প্রবেশ করবে৷ এই অবস্থায় জুন মাসে যে গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাতে ব্রেক্সিট-এর পক্ষেই বেশি ভোট পড়তে পারে৷

ক্রিস্টোফ হাসেলবাখ মনে করেন, ব্রিটেনে জুন মাসের গণভোটে ব্রেক্সিট-এর পক্ষেই বেশি ভোট পড়তে পারে৷ প্রিয় পাঠক, আপনি কি তাঁর সঙ্গে একমত? নীচে আপনার মতামত লিখুন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ