1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট জনসনের পরিবারও ভাগ করেছে

৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

টোরি দলের বিদ্রোহী সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর ভাইয়ের পদত্যাগের ফলে ব্রেক্সিটকে ঘিরে সমাজে বিভাজন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠলো৷ বরিস জনসন এখনো ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়াতে নারাজ৷

বরিস জনসন ও জো জনসন
ছবি: picture-alliance/ZumaPress/A. Parsons

ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের পরিবারগুলোতেও যে মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই৷ এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীও সেই বিভাজনের বিষয়টি মানতে বাধ্য হলেন৷ বরিস জনসনের ভাই ও সরকারের প্রতিমন্ত্রী জো জনসন বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন৷ তিনিও টোরি দলের ২১ জন বিদ্রোহীদের একজন, যারা চলতি সপ্তাহে সংসদে সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন৷ জো জানিয়েছেন, একদিকে পরিবারের প্রতি আনুগত্য, অন্যদিকে জাতীয় স্বার্থের মধ্যে টানাপড়েনের ফলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন৷ বরিস জনসন বলেন, ‘‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিষয়ে আমার ভাই আমার সঙ্গে একমত নয়৷ এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পরিবার ও সবার মধ্যে বিভাজন দেখা যাচ্ছে৷''

ভাইয়ের এমন সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও নিজস্ব অবস্থানে অবিচল রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ বিরোধী ও বিদ্রোহীদের উদ্যোগে সংসদের নিম্ন কক্ষ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে যে প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, শুক্রবার উচ্চ কক্ষ সম্ভবত সেটি অনুমোদন করবে৷ সে ক্ষেত্রে সোমবার সেটি আইন হিসেবে কার্যকর হবে৷ তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার বরিস জনসন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ব্রাসেলসের কাছে ব্রেক্সিটের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করতে একেবারেই উৎসাহী নয়৷ তিনি বলেন ‘‘তার চেয়ে বরং আমি গর্তের মধ্যে মরে পড়ে থাকবো৷''

সোমবার ব্রিটিশ সংসদে আগাম নির্বাচন নিয়ে ভোটাভুটি হবার কথা৷ নীতিগতভাবে বিরোধী পক্ষও আগাম নির্বাচনের পক্ষে৷ তবে সেই নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংঘাত দেখা দিচ্ছে৷ বরিস জনসন ১৫ অক্টোবর, অর্থাৎ ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগেই নির্বাচন আয়োজন করতে চান৷ অন্যদিকে বিরোধীরা সেই সম্মেলনে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের পর জনগণের মুখোমুখি হতে চায়৷ এ বিষয়ে দুই পক্ষের ঐকমত্য না হলে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার সম্ভব নয়৷

ব্রেক্সিটের বিষয়ে বোঝাপড়ার লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না৷ ব্রিটেনে আগাম নির্বাচন নিশ্চিত হলে সেই প্রক্রিয়া একেবারে থমকে যাবে বলে কূটনীতিকরা আশঙ্কা করছেন৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইইউ কূটনীতিক বলেন, ‘‘ব্রিটিশ পক্ষ আগের মতোই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে চলেছে৷ ফলে কোনো কিছুর পূর্বাভাষ দেওয়া অত্যন্ত কঠিন৷''

বরিস জনসন আর সময় নষ্ট না করে নির্বাচনি প্রচার শুরু করে দিচ্ছেন৷ শুক্রবার তিনি স্কটল্যান্ডে ভোটারদের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরবেন৷ উল্লেখ্য, স্কটল্যান্ডের মানুষ গণভোটে ইইউ-তে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন৷ সেখানে আঞ্চলিক নেতার পদত্যাগের পর জনসনের টোরি দল বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে৷ বৃহস্পতিবার জনসন ইংল্যান্ডের উত্তরেও আগাম নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ