1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল

২৯ মার্চ ২০১৭

অবশেষে দিনটি এলো৷ গত বছরের জুন মাসে গণভোটের পর বুধবার ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার প্রক্রিয়া শুরু করছে৷ ২ বছরের মধ্যে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার কথা৷

ব্রেক্সিট আবেদনপত্র স্বাক্ষর করলেন টেরেসা মে
ব্রেক্সিট আবেদনপত্র স্বাক্ষর করলেন টেরেসা মেছবি: REUTERS/C. Furlong

ইইউ-র লিসবন চুক্তির সনদ ৫০ অনুযায়ী কোনো সদস্য দেশ এই রাষ্ট্রজোট ত্যাগ করতে পারে৷ দেশের মধ্যে ব্রেক্সিট-কে ঘিরে নানা বিতর্ক এবং রাজনৈতিক ও আইনি জটিলতার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে অবশেষে সেই কাঠামোর আওতায় আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করলেন৷

অভূতপূর্ব এই ঘটনা এই দুই বছরে ঠিক কোনদিকে গড়াবে, তার পূর্বাভাষ দেওয়া কঠিন৷ ইইউ ব্রিটেনকে কোনোরকম ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়৷ ব্রাসেলস এমন এক দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চায়, যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করা বাকিদের জন্য মোটেই আকর্ষণীয় হবে না৷

নিয়ম অনুযায়ী দুই বছরের মধ্যে প্রক্রিয়াটি শেষ না হলে আলোচনার মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব, তবে তার জন্য ২৭টি সদস্য দেশের সম্মতি প্রয়োজন৷ আরেকটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি হলো, ব্রিটেন মেয়াদ অনুযায়ী দুই বছরের মাথায় ইইউ ত্যাগ করবে, কিন্তু ইইউ-র সঙ্গে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে এত দ্রুত কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে না৷ সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংগঠন ডাব্লিউটিও-র নিয়ম অনুযায়ী দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য চলবে৷ ব্রিটেনে কিছু মহল এখনো ইইউ-তে থেকে যাবার আশাও করছে৷

ব্রেক্সিট ব্রিটেনের জন্য বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ জটিলতাও সৃষ্টি করতে পারে৷ স্কটল্যান্ড এর মধ্যেই ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য ত্যাগ করার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে৷ ব্রেক্সিট সংক্রান্ত আলোচনা শেষ হবার আগেই স্কটল্যান্ড এই প্রশ্নে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজন করতে চায়৷ উল্লেখ্য, সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইইউ-তে থেকে যাবার পক্ষেই ভোট দিয়েছিলেন৷ অন্যদিকে উত্তর আয়ারল্যান্ড ও প্রতিবেশী আইরিশ প্রজাতন্ত্রের সীমান্ত নিয়েও দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে৷ ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তির অন্যতম ভিত্তি ছিল উন্মুক্ত এই সীমানা৷ ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করলে সেই সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে৷ এই প্রেক্ষাপটে দুই আয়ারল্যান্ডের পুনরেকত্রীকরণের দাবিও উঠতে শুরু করেছে৷ সে ক্ষেত্রে ব্রিটেন স্কটল্যান্ডের পাশাপাশি উত্তর আয়ারল্যান্ডকেও হারাতে পারে৷ ব্রিটেনের অর্থনীতি ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতির উপরেও এই প্রক্রিয়ার গভীর প্রভাব পড়তে চলেছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ