1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেগা হাতছাড়া, মিসরাতা চাপের মুখে

৩ এপ্রিল ২০১১

উপকূলের একের পর এক শহরকে কেন্দ্র করে এখন গাদ্দাফি বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে যা চলেছে, তা’কে যুদ্ধ ছাড়া আর কিছু বলা চলে না৷ কিন্তু জয় কোনোপক্ষেই নিশ্চিত নয়৷

ব্রেগার কাছে চেকপয়েন্টে বিদ্রোহীরা (গত শুক্রবারের ছবি)ছবি: picture alliance/dpa

ফরাসি এএফপি সংবাদ সংস্থার এক সংবাদদাতা দৃশ্যত ব্রেগার কাছেই অবস্থান নিয়েছেন৷ তিনি জানাচ্ছেন, বিদ্রোহীরা এই গুরুত্বপূর্ণ তেলের শহরটি থেকে আবার পশ্চাদপসারণ করেছে৷ এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে বিদ্রোহীপক্ষের যোদ্ধারা ব্রেগায় ঢোকে এবং শহরের প্রান্তে সুবিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি দখল করে৷ কিন্তু গাদ্দাফি বাহিনীর চোরাগোপ্তা আক্রমণের সম্মুখীন হয়ে বিদ্রোহীরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়৷ এএফপি'র সংবাদদাতা তাদের ৩০০-৪০০ জনকে মূল সড়কে রিগ্রুপ করতে দেখেছেন ব্রেগা থেকে দশ কিলোমিটার দূরে৷ সেখানেও তারা সম্ভবত নিরাপদ নয়, কেননা পশ্চাদপসারণের সময়েই তাদের ওপর ব্রেগা থেকে কামানের গোলা এসে পড়ে৷ বিদ্রোহীরা রকেট সহ তার উত্তর দেয়৷ মাথার ওপর ন্যাটো জোটের বিমানকে ঘুরতে শোনা যায়৷

যুদ্ধ অন্যত্রও চলেছে৷ পশ্চিমে গাদ্দাফির সৈন্যরা জিনতান এবং মিসরাতা শহর দু'টিকে বিদ্রোহীদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায়৷ অর্থাৎ সারারাত গোলাবর্ষণ করে দিনের আলোয় শহরে ঢোকার পরিকল্পনা৷ যেমন মিসরাতায় একটি পলিক্লিনিক, অথবা যেখানে বিদ্রোহীদের আহতদের পরিচর্যা করা হতো, সেরকম একটি ভবনের উপর গোলা পড়েছে৷ মিসরাতায় এখন ওষুধপত্র, চিকিৎসার সরঞ্জামের অভাব৷ জিনতানে পানি এবং বিদ্যুতের কেন্দ্রগুলি ধ্বংস হয়েছে বলে আল-জাজিরার খবর৷

কিন্তু উপকূলের শহরগুলো আঁকড়ে না থাকলে বিদ্রোহীরা ত্রিপোলি জয়ের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে৷ আসলে বিদ্রোহীরা ঠিক সংগঠিত নয়৷ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সৈনিকও তাদের মধ্যে শুধু একাংশ৷ সেখানেই তাদের মূল দুর্বলতা৷ তবে আল-জাজিরা এবার কোন এক বিদ্রোহী সূত্রে খবর দিয়েছে যে, দেশের পূর্বাঞ্চলে কোনো একটি গোপন স্থানে মার্কিনি এবং মিশরীয় সৈন্যরা বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে৷

রাজনৈতিকভাবেও ওদের সংগঠিত হওয়া প্রয়োজন৷ সেই জন্যই নাকি বেনগাজিতে একটি ‘ক্রাইসিস টিম' তৈরি করা হয়েছে৷ তা'তে লিবিয়ার প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিদ্রোহী বাহিনীর প্রধান করা হয়েছে৷ এই ক্রাইসিস টিম নাকি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলিতে প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করবে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ