ব্রেস্ট ক্যান্সার রোধে ঠিক সময়ে সতর্ক হতে হবে
২৪ নভেম্বর ২০১১![](https://static.dw.com/image/3259291_800.webp)
কেন হয় এই ব্রেস্ট ক্যান্সার? জার্মানিতে বসবাসকারী নারী বিশেষজ্ঞ ড. শুভ্রা কুন্ডু জানান, ‘‘নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনও জানা না গেলেও, একাধিক কারণে স্তন ক্যান্সার হতে পারে৷ এই যেমন, একাধারে অনেক দিন ধরে জন্ম নিরোধ বড়ি খেলে, মাসিক বন্ধ হওয়ার পরপরই নানা রকম হরমন নেওয়া শুরু করলে অথবা ‘রিক্স ফ্যাক্টর' – যেমন মা বা মাসির মধ্যে কারুর স্তন ক্যান্সার থাকলে, এ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এছাড়া, অবিবাহিতা বা সন্তানহীনা মহিলা – মানে যারা কখনো সন্তানকে স্তন্য পান করান নি – তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি হয়৷''
অবশ্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এ রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে নিরূপণ করা সম্ভব৷ আর সেটা করা গেলে, এর চিকিৎসাও অনেক সহজসাধ্য এবং কার্যকর৷ তাই ড. কুন্ডু জানান, ২০ বছর বয়স থেকে নিয়মিত ব্রেস্ট পরীক্ষা করা, ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়া, সন্তানকে বুকের দুধ পান করানো, ছোট থেকেই টাটকা শাক-সবজি ও ফল খাওয়া, ধূমপান এবং মদ্যপান পরিহার করা এবং সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গেই কোনো ক্যান্সার সার্জন বা ‘অঙ্কোলজিস্ট'-এর শরণাপন্ন হওয়া অত্যন্ত জরুরি৷
ড. শুভ্রা কুন্ডুর কথায়, ‘‘মেমোগ্রাফি, স্তনের আলট্রাসনোগ্রাম এবং টিউমার থেকে রস নিয়ে পরীক্ষা করলে বর্তমানে খুব সহজেই ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয় করার সম্ভব৷ তাছাড়া কেমোথেরাপি, রেডিও থেরাপি, হরমোন থেরাপি এবং সাম্প্রতিককালের ‘ন্যানো' প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্যান্সার, বিশেষত স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা সত্যিই একটি কার্যকর রূপ নিয়েছে৷ জার্মানিতে আজকাল বেশিরভাগ সময় স্তনটি না বাদ দিয়েই তা সারিয়ে তোলা সম্ভব৷ তবে সেক্ষেত্রেও আগেভাগে রোগ নির্ণয়ের কোনো বিকল্প নেই৷ বিকল্প নেই সচেতনতারও৷''
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক