একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার গ্রহণের পর বার্লিনে আসেন সারা হোসেন৷ সেখানে তাঁর সাক্ষাৎকার নেন ডয়চে ভেলের দেবারতি গুহ৷ বাংলাদেশে ব্লগার হত্যা, রাষ্ট্রধর্ম, তনু হত্যা, পার্বত্য শান্তিচুক্তিসহ অনেক বিষয় উঠে এসেছে সাক্ষাৎকারে৷
বিজ্ঞাপন
একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার গ্রহণের কয়েকদিন পরই বার্লিনে এসেছিলেন আইনজীবী সারা হোসেন৷ তখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন দেবারতি গুহ৷ বাংলাদেশে ব্লগার হত্যা, রাষ্ট্রধর্ম, তনু হত্যা, পার্বত্য শান্তিচুক্তিসহ অনেক বিষয়ই উঠে এসেছে এ সাক্ষাৎকারে৷
সম্প্রতি বিশ্বের ১৪ জন নারীকে ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অফ কারেজ অ্যাওয়ার্ড', অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সাহসী নারীর পুরস্কার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর৷ বাংলাদেশ থেকে এ পুরস্কার পেয়েছেন সারা হোসেন৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের কয়েকদিন পরই ‘বাংলাদেশ ফোরাম'-এ যোগ দিতে বার্লিনে এসেছিলেন এই আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী৷
শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লিঙ্গবৈষম্য দূর করা এবং নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা পালনে নারীদের সাহসিকতার জন্য পুরস্কার দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর৷ সাক্ষাৎকারের শুরুতে তাই এমন একটি পুরস্কারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল৷ সারা হোসেন বললেন, ‘‘পুরস্কার পাচ্ছি শুনে খুব ভালো লেগেছিল, অবাকও লেগেছিল৷ পরে অবশ্য মনে হলো, অবাক হওয়ার কিছু নেই, বরং এটা নিয়ে গর্বই করা উচিত৷ কারণ এই পুরস্কার তো শুধু আমার জন্য নয়৷ আমি অনেকের সঙ্গে কাজ করি৷ বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, অর্থাৎ ‘ব্লাস্ট' নামের সংগঠনটির সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছি৷ আইন ও শালিশ কেন্দ্রের সঙ্গেও কাজ করছি৷ এমন কিছু সংগঠন আর আরো অনেক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বলেই আমাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে বলে আমি মনে করি৷''
সারা হোসেন
এরপর একে একে উঠে এসেছে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি, ব্লগার হত্যা, রাষ্ট্রধর্মসহ আরো কিছু প্রসঙ্গ৷
বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম৷ এ কারণেই কি অন্য ধর্মাবলম্বীরা বাড়তি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন? তাঁদের মনস্তত্ত্বে কি এর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়ে? এমন এক প্রশ্নে সারা হোসেনের জবাব, ‘‘আসলে অনেকেই কিন্তু দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই চলে গেছেন৷ তবে এটা যে সরাসরি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হবার কারণেই হয়েছে তা বলা যাবে না৷ নানা কারণে হয়েছে৷ জমি দখল, ভয়ভীতি, বিভিন্ন সময়ে হামলা ইত্যাদি...৷ অবশ্য এগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রধর্ম থাকার কিছু সম্পর্ক থাকতেই পারে৷''
বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার শিকার যারা
চলতি বছর ইসলামপন্থিরা একের পর এক হামলা চালিয়ে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে৷ এতে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন৷ চলুন জানা যাক ২০১৫ সালের কবে, কারা হামলার শিকার হয়েছেন...৷
ছবি: Getty Images/AFP/Uz Zaman
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্লগার খুন
একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে খুন হন ব্লগার এবং লেখক অভিজিৎ রায়৷ কমপক্ষে দুই দুর্বৃত্ত তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে৷ এসময় তাঁর স্ত্রী বন্যা আহমেদও গুরুতর আহত হন৷ বাংলাদেশি মার্কিন এই দুই নাগরিককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’৷ পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
বাড়ির সামনে খুন
ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে হত্যা করা হয় ঢাকায়, গত ৩০ মার্চ৷ তিন দুর্বৃত্ত মাংস কাটার চাপাতি দিতে তাঁকে কোপায়৷ সেসেময় কয়েকজন হিজরে সন্দেহভাজন দুই খুনিকে ধরে ফেলে, তৃতীয়জন পালিয়ে যায়৷ আটকরা জানায়, তারা মাদ্রাসার ছাত্র ছিল এবং বাবুকে হত্যার নির্দেশ পেয়েছিল৷ কে বা কারা এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছে জানা যায়নি৷ বাবু ফেসবুকে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের বিরুদ্ধে লিখতেন৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
সিলেটে আক্রান্ত মুক্তমনা ব্লগার
শুধু ঢাকায় নয়, ঢাকার বাইরে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷ গত ১২ মে সিলেটে নিজের বাসার কাছে খুন হন নাস্তিক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস৷ ভারত উপমহাদেশের আল-কায়েদা, যাদের সঙ্গে ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর সম্পর্ক আছে ধারণা করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷ দাস ডয়চে ভেলের দ্য বব্স জয়ী মুক্তমনা ব্লগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/EPA/Str
বাড়ির মধ্যে জবাই
ব্লগার নিলয় চট্টোপাধ্যায়কে, যিনি নিলয় নীল নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন, হত্যা করা হয় ঢাকায় তাঁর বাড়ির মধ্যে৷ একদল যুবক বাড়ি ভাড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ৮ আগস্ট তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে৷ নিজের উপর হামলা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় পুলিশের সহায়তা চেয়েছিলেন নিলয়৷ কিন্তু পুলিশ তাঁকে সহায়তা করেনি৷ ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’ এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে, তবে তার সত্যতা যাচাই করা যায়নি৷
ছবি: Getty Images/AFP/Uz Zaman
জগিংয়ের সময় গুলিতে খুন বিদেশি
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে জগিং করার সময় ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় খুন হন ইটালীয় এনজিও কর্মী সিজার তাবেলা৷ তাঁকে পেছন থেকে পরপর তিনবার গুলি করে দুর্বৃত্তরা৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে জিহাদিদের অনলাইন কর্মকাণ্ডের দিকে নজর রাখা একটি সংস্থা৷ তবে বাংলাদেশে সরকার এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে ‘এক বড় ভাইয়ের’ তাঁকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/ A.M. Ahad)
রংপুরে নিহত এক জাপানি
গত ৩ অক্টোবর রংপুরে খুন হন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও৷ মুখোশধারী খুনিরা তাঁকে গুলি করার পর মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়৷ ইসলামিক স্টেট এই হত্যাকাণ্ডেরও দায় স্বীকার করেছে, তবে সরকার তা অস্বীকার করেছে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না যে তাঁর দেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীটির উপস্থিতি রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
হোসনি দালানে বিস্ফোরণ, নিহত ১
গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার ঐতিহ্যবাহী হোসনি দালানে শিয়া মুসলমানদের আশুরার প্রস্তুতির সময় বিস্ফোরণে এক কিশোর নিহত এবং শতাধিক ব্যক্তি আহত হন৷ বাংলাদেশে এর আগে কখনো শিয়াদের উপর এরকম হামলায় হয়নি৷ এই হামলারও দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট, তবে সরকার সে দাবি নাকোচ করে দিয়ে হামলাকারীরা সম্ভবত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবি-র সদস্য৷ সন্দেহভাজনদের একজন ইতোমধ্যে ক্রসফায়ারে মারা গেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Zaman
ঢাকায় প্রকাশক খুন
গত ৩১ অক্টোবর ঢাকায় দু’টি স্থানে কাছাকাছি সময়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়৷ এতে খুন হন এক ‘সেক্যুলার’ প্রকাশক এবং গুরুতর আহত হন আরেক প্রকাশক ও দুই ব্লগার৷ নিহত প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের সঙ্গে ঢাকায় খুন হওয়া ব্লগার অভিজিৎ রায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসার-আল-ইসলাম’ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
প্রার্থনারত শিয়াদের গুলি, নিহত ১
গত ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশের বগুড়ায় অবস্থিত একটি শিয়া মসজিদের ভেতরে ঢুকে প্রার্থনারতদের উপর গুলি চালায় কমপক্ষে পাঁচ দুর্বৃত্ত৷ এতে মসজিদের মুয়াজ্জিন নিহত হন এবং অপর তিন ব্যক্তি আহত হন৷ তথকথিত ইসলামিক স্টেট-এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা দাবি করা স্থানীয় একটি গোষ্ঠী হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
9 ছবি1 | 9
দেবারতি গুহ আরো জানতে চেয়েছিলেন, ‘ব্লগার হত্যার বিচার হচ্ছে না কেন?' ব্লগার হত্যার বিচার যে একেবারে হচ্ছে না এমনটি সারা হোসেন মনে করেন না৷ তাঁর মতে, ‘‘রাজীব হত্যার বিচার তো চলছে৷ এবং অন্যান্য ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে তদন্ত এখনো চলছে৷ সব কিছু খুব সহজ না৷ এ ধরনের তদন্ত সম্পন্ন করাও হয়ত সহজ না৷''
তবে ব্লগার হত্যা মামলাগুলোতে তদন্তের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে হতাশাই প্রকাশ করেছেন তিনি৷ এ প্রসঙ্গে সারা হোসেন বললেন, ‘‘এক বছরের মধ্যে ছয়টা ঘটনা ঘটে যাওয়া এবং কোনো তদন্তই সম্পন্ন না হওয়া খুব দুঃখজনক৷''
এছাড়া নিহত ব্লগারদের পরিবারগুলোর পাশে সবার এক হয়ে দাঁড়ানো উচিত বলেও মনে করেন সারা হোসেন৷ তিনি মনে করেন, নিহত ব্লগারদের পরিবারগুলোকে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম গড়া উচিত, যেখানে সব ভেদাভেদ ভুলে সমাজের সর্বস্তরের সব দায়িত্বশীল মানুষ অংশ নেবেন৷
সারা হোসেন মনে করেন, সকল মতবিরোধ ভুলে সবার উচিত নিহত ব্লগারদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো৷ আপনিও কি একমত? জানান নীচে, মন্তব্যের ঘরে৷
যে দেশগুলোতে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘মাইনোরিটি রাইটস গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল’ প্রতিবছর যেসব দেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে আছে তার তালিকা প্রকাশ করে৷ ছবিঘরে ২০১৫ সালের জুলাইতে প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদনের তথ্য থাকছে৷
ছবি: DW
প্রথম: সিরিয়া
সুন্নিপ্রধান দেশ সিরিয়ায় শিয়া, বিশেষ করে আলাউইট সম্প্রদায়ের লোকজন সহ খ্রিষ্টান, কুর্দ, ফিলিস্তিনি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হুমকির মুখে রয়েছে৷ আইএস, হিজবুল্লাহ ছাড়াও সিরিয়ার শাসকপন্থি গ্রুপ সাবিহা এ সব হুমকির অন্যতম কারণ৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘মাইনোরিটি রাইটস গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল’ হুমকি বলতে গণহত্যা, রাজনৈতিক হত্যা ও সহিংস দমননীতি বুঝিয়েছে৷
ছবি: Reuters/SANA
দ্বিতীয়: সোমালিয়া
সরকারের সঙ্গে আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর সংঘাত এখনও চলছে৷ আর এর শিকার হচ্ছে বান্টু (বেশিরভাগ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী) ও বেনাদিরি (বেশিরভাগ ইসলাম ধর্মাবলম্বী) গোষ্ঠীর মানুষজন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Y. Warsame
তৃতীয়: সুদান
দেশটির দারফুর অঞ্চলে বসবাসকারী নন-আরব মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর খার্তুম সরকারের নিপীড়নের অভিযোগে দু’টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ২০০৩ সালে সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে৷ সেটি এখনও চলছে৷ ফলে দারফুরে বসবাসকারী ফুর, জাঘাওয়া, মাসালিট সহ অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষদের জীবন সংকটে রয়েছে৷
ছবি: GetttyImages/AFP/C. Lomodon
চতুর্থ: আফগানিস্তান
বিদেশি সৈন্য চলে যাবার পর সেখানে আবারও তালেবানের শক্তি বেড়েছে৷ ফলে হাজারা, পশতুন, তাজিক, উজবেক, তুর্কমেন, বেলুচি সহ অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষের উপর নির্যাতনের আশঙ্কা বাড়ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Aref Karimi
পঞ্চম: ইরাক
দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ শিয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত৷ তারপরও সেখানে শিয়া গোষ্ঠীর লোকজনের জীবন বিপদমুক্ত নয়৷ সংকটে রয়েছে সুন্নি, কুর্দ, তুর্কমেন, খ্রিষ্টান, ইয়াজিদি, শাবাক, বাহাই, ফিলিস্তনি সহ অন্যান্যদের জীবনও৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani
ষষ্ঠ: ডিআর কঙ্গো
স্থানীয় মায়ি-মায়ি মিলিশিয়া, উগান্ডা ও রুয়ান্ডার বিদ্রোহী এবং কাতাঙ্গান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কারণে মানুষের প্রাণ যাওয়া অব্যাহত আছে৷ ফলে সংকটে আছে হেমা, লেন্ডু, হুতু, লুবা, লুন্ডা, টুটসি, বাটওয়া সহ আরও কয়েকটি গোষ্ঠীর জনগণ৷
বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের হামলায় সংকটে রয়েছে ইসলাম ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের লোকজন৷ এছাড়া কচিন, কারেনি, কারেন, মন, রাখাইন, শান, চিন এবং ওয়া জাতির জনগণও ভালো নেই সেখানে৷
ছবি: Reuters
বাংলাদেশ, ভারতের অবস্থান
‘মাইনোরিটি রাইটস গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল’-এর তালিকায় বাংলাদেশ ৪১তম আর ভারত ৫৪তম অবস্থানে আছে৷ বাংলাদেশে আহমদিয়া, হিন্দু সহ অন্য ধর্মাবলম্বীরা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী উপজাতির লোকেদের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ আর ভারতে আসামিজ, বোড়ো, নাগা, ত্রিপুরা সহ অন্যান্য উপজাতি এবং কাশ্মিরী, শিখ, মুসলিম ও দলিতরা হুমকির মুখে আছে৷ প্রতিবেদনটি পড়তে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷