বাংলাদেশের ব্লগাররা এখনও জঙ্গিদের খতম তালিকায়৷ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধৃত ২ বাংলাদেশি জঙ্গি এমনটিই জানালো৷ তবে কলকাতা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্লগার হত্যার নতুন হিটলিস্টের খবরটি ঠিক নয়৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে ব্লগার হত্যা থেমেছে, কিন্তু শেষ হয়নি৷ এখনও সক্রিয় ‘খতম তালিকা' ধরে মৌলবাদী জঙ্গিদের গোপন প্রস্তুতি৷ এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেল সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের বিশেষ নাশকতা দমন বাহিনী ‘স্পেশাল টাস্ক ফোর্স', বা এসটিএফ-এর হাতে ধৃত দুই বাংলাদেশি জঙ্গিকে জেরা করে৷ বাংলাদেশে আল কায়দার সহযোগী গোষ্ঠী আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের ওই দুই সদস্য শামসাদ মিঞা, ওরফে তানভীর এবং রিয়াজুল ইসলামের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ফারুক সাদিক নামে বাংলাদেশের এক ব্লগারের গতিবিধির বিস্তারিত তথ্য৷ তিনি কখন কোথায় থাকেন, কোথায় যান, সব খবর জোগাড় করেছে জঙ্গিরা৷ তাঁর যাতাযাত আছে, এমন সব জায়গায় বার বার রেকি-ও করা হয়েছে৷ ডয়চে ভেলেকে এই খবর দিলেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বাহিনীর এক পদস্থ কর্তা৷
প্রসঙ্গত তিনি জানিয়েছেন, ব্লগারদের নতুন খতম তালিকা তৈরি করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমের একাংশ যে খবর দিচ্ছে, তা ঠিক নয়৷ ব্লগার ফারুক সাদিক সম্পর্কে বিস্তারিত খবরাখবর জোগাড়ের ওই তথ্য ছাড়া অন্য কোনো ব্লগার সম্পর্কে কোনো তথ্য বা নতুন কোনও খতম তালিকার খবর কলকাতা পুলিশের কাছে নেই৷ তিনি আরো জানান, দুই জঙ্গি ধরা পড়ার পর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে পুলিশের শুধু বছর তিনেক আগে বাংলাদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রকাশ করা হিট লিস্ট নিয়েই কথা হয়েছে এবং সেই তালিকা বাংলাদেশ পুলিশের হাতে আগে থেকেই আছে৷
ধৃত দুই জঙ্গি তানভীর এবং রিয়াজুলকে জেরা করে আরও জানা গেছে, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অন্তত ২৫ জন সক্রিয় সদস্য এখন তৎপর ভারতের বিভিন্ন অংশে, যাদের লক্ষ্য উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়, অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দরাবাদে এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আল কায়দার স্লিপার সেল গড়ে তোলা৷ গোপনে নাশকতার প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি জঙ্গি মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া, জঙ্গি গোষ্ঠীতে নতুন ছেলেদের শামিল করা, তাদের নাশকতার তালিম দেওয়ার মতো নানা কাজ করে সেই স্লিপার সেল৷ সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের বিশেষ সন্ত্রাস দমন শাখা এসটিএফ-এর হাতে ধরা পড়া দুই জঙ্গি শামসাদ মিঞা ওরফে তানভীর এবং রিয়াজুল ইসলামকে জেরা করে এমন খবরই জেনেছে পুলিস৷ ব্যাপারটা কতখানি গুরুতর, সেটা বোঝা যাচ্ছে পুলিশের পরবর্তী তৎপরতায়৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ, হায়দরাবাদ পুলিশের এসটিএফ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোয়েন্দারা বৃহস্পতিবারই পৌঁছে গেছেন কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারে৷ ধৃত দুই জঙ্গিকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে৷
২০১৫ সালে নিহত ১৮ ব্লগার
‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে অন্তত ১৮ জন নেটিজেন এবং সিটিজেন জার্নালিস্ট বা ব্লগার প্রাণ হারিয়েছেন৷ এদের মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশে খুন হন চারজন ব্লগার, তবে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন সিরিয়ায়৷
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abbas
সবচেয়ে বেশি সিরিয়ায়
বর্তমানে গৃহযুদ্ধের কবলে থাকা সিরিয়ায় চলতি বছর সবচেয়ে বেশি নেটিজেন এবং সিটিজেন জার্নালিস্ট খুন হয়েছেন৷ প্যারিসভিত্তিক ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ বা আরএসএফ-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রথম হত্যাকাণ্ড ঘটে পহেলা জানুয়ারি, খুন হন দিরার মুসা আল জাহিদ৷ আর সর্বশেষ ২৭ অক্টোবর জুম্মা আল-আহমেদ৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Lawler
বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে
বাংলাদেশে সিরিয়ার মতো গৃহযুদ্ধ না চললেও খুন হয়েছেন চার ব্লগার, আহত কয়েকজন৷ এদের সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে৷ চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় খুন হন লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায়৷ সর্বশষে সাত আগস্ট খুন হন ব্লগার নিলয় চট্টোপাধ্যায়৷ নিহতরা সবাই নাস্তিক এবং ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/Uz Zaman
ব্রাজিলে নিহত এক
ব্রাজিলে ১৮ মে খুন হন ব্লগার ইভানি জোসে মেৎসকার৷ ধারণা করা হয়, তাঁকে হত্যার আগে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছিল৷ নিহত হওয়ার আগে শিশু পতিতাবৃত্তি নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন তিনি৷
ছবি: Facebook
ইসলামিক স্টেট-এর হাতে খুন জুহায়ের
ইরাকের মসুলের সিটিজেন জার্নালিস্ট জুহায়ের কিনান আল-নাহাস৷ আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিমান হামলায় দগ্ধ তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট’-এর একটি গাড়ির ছবি তোলায় তাঁকে হত্যা করে জঙ্গি গোষ্ঠীটি৷
ছবি: picture alliance/dpa/T. Felber
পাকিস্তানে নিহত মানবাধিকার কর্মী
পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী সাবিন মাহমুদ গত ২৪ এপ্রিল করাচিতে খুন হন৷ অজ্ঞাত বন্দুকধারী তাঁকে গুলি করে হত্যা করে৷ এ সময় ব্যক্তিগত গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি৷ পাকিস্তানের বালুচিস্তানে সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মাহমুদ৷ এ কারণে একাধিকবার হুমিকও পান তিনি৷
ছবি: DW/R. Saeed
তরুস্কে নিহত সিটিজেন জার্নালিস্ট
গত ৩০ অক্টোবর তুরস্কে খুন হন সিটিজেন জার্নালিস্ট ইব্রাহিম আব্দ আল-কাদের৷ তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট’-এর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন সিরিয়ার এই ব্লগার৷ তাঁর জবাই করে হত্যা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নিহত ৬৫ সাংবাদিক
আরএসএফ-এর ওয়েবসাইটে নিহত সাংবাদিকদের তালিকা আলাদাভাবে দেয়া হয়েছে৷ সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট সংগঠনটির হিসেব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫ সাংবাদিক, কারাবন্দি আছেন ১৫৩ জন৷ এছাড়া ১৬২ নেটিজেনও কারাবন্দি রয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/epa/A. Abbas
7 ছবি1 | 7
ধৃত শামসাদ মিঞা ওরফে তনভির আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের অন্যতম বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ৷ সেকথা সে কবুল করার পর পুলিশ তাকে দূর নিয়ন্ত্রিত বোমা তৈরির সরঞ্জাম দিয়ে বলেছিল, চটজলদি বিস্ফোরক কীভাবে তারা তৈরি করে, সেটা হাতে-কলমে করে দেখাতে৷ উচ্চ ক্ষমতার একটি বিস্ফোরক তানভীর তৈরি করেছে দু ঘণ্টার মধ্যে! তানভীর এবং রিয়াজুলের কাছে পাওয়া গেছে আল কায়দার মতাদর্শ বিবৃত করা প্রচার পুস্তিকা, যেগুলো সব বাংলায় লেখা৷ ওরা জানিয়েছে, বইগুলো ছাপানো হয়েছে বাংলাদেশে৷ এছাড়া পাওয়া গেছে একাধিক সিম কার্ড, যেগুলো তারা নিয়মিত বদলে বদলে ব্যবহার করতো৷ এবং পাওয়া গেছে ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র ‘আধার কার্ড', যাতে পরিচয় এবং ঠিকানা ভুয়ো হলেও কার্ডে সংরক্ষিত হাতের আঙুলের ছাপ, চোখের মণির গঠন ইত্যাদি ‘বায়োমেট্রিক ডিটেল' ওদের নিজেদেরই! এরপরেই প্রশ্ন উঠে গেছে, মোদী সরকার যে আধার কার্ডকে ভুয়ো নাগরিকত্বের সমস্যার আদর্শ সমাধান হিসেবে প্রচার করে, তার যথার্থতা নিয়েই৷
বস্তুত জঙ্গিদের আধার কার্ডের খবর ফাঁস হওয়ার পরই একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেল একটি স্টিং অপারেশন চালায়, যাতে দেখানো হয়েছে কত কম সময়ে এবং কী সহজে যে কারও আধার কার্ড বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে৷ তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে এনআইএ এবং অন্যান্য সন্ত্রাস দমন সংস্থা৷ আর পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের কাছেও বিষয়টা অত্যন্ত অস্বস্তিকর, যেহেতু তানভীর এবং রিয়াজুলকে জেরা করে পরিষ্কারই বোঝা যাচ্ছে, এই রাজ্যে ওরা কার্যত বিনা বাধায় এতদিন ঘোরাফেরা করেছে৷ পুলিশের জেরায় ওরা জানিয়েছে, কলকাতা শহরে বা রাজ্যের অন্যত্র ওদের স্থায়ী কোনও থাকার জায়গা ছিল না৷ ওরা থাকত বাস স্ট্যান্ডে, রেল স্টেশনে, অথবা রাস্তার ধারে, যা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়৷ এমন হতেই পারে যে, বহিরাগত এই জঙ্গিদের স্থানীয় আশ্রয় এবং মদত পুরোমাত্রায় ছিল, যার হদিস পেতে এখন তৎপর গোয়েন্দারা৷
অভিজিৎ রায়ের স্মরণে দ্য হেগে ফ্রিডম বুকফেয়ার
বাংলাদেশে নিহত ব্লগার অভিজিৎ রায়ের স্মরণে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে আয়োজন করা হয় চারদিনব্যাপী ‘ফ্রিডম বুকফেয়ার’৷ সেই মেলার কিছু স্থিরচিত্র থাকছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: DW/A. Islam
নিহত ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্টদের স্মরণ
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে আয়োজিত ফ্রিডম বুকফেয়ারে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে নিহত ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্টদের স্মরণ করা হয়৷ মেলায় অংশ নেন মুক্তমনা ব্লগের বন্যা আহমেদসহ ইউরোপে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্ট৷
ছবি: DW/A. Islam
বাংলাদেশ, তুরস্ক এবং সোমালিয়ার বইয়ের প্রদর্শনী
গতবছরের আধাবেলার বইমেলা এ বছর চারদিনে গড়িয়েছে৷ শুধু বাংলাদেশ নয়, তুরস্ক এবং সোমালিয়াতে বাকস্বাধীনতার চর্চা করতে গিয়ে আক্রান্তদের কথাও জানানো হয়েছে বইমেলায়৷ এছাড়া তুরস্কে নিষিদ্ধ বিভিন্ন বইও প্রদর্শন করা হয় ২৪ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয়োজিত এই মেলায়৷
ছবি: DW/A. Islam
কার্টুনে বাকস্বাধীনতা
ডয়চে ভেলেকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় কার্টুনে বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতার বর্তমান পরিস্থিতি ফুটিয়ে তুলতে বললে এই কার্টুনটি আঁকেন নরওয়ে থেকে মেলায় আসা বাংলাদেশি কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান৷ তাঁর সাক্ষাৎকারটি ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷ আরো জানতে উপরের ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: DW/A. Islam
ইউরোপীয়দের আগ্রহ
বাকস্বাধীনতা রক্ষায় আগ্রহী অনেক ইউরোপীয়কে দেখা গেছে মেলাপ্রাঙ্গণে৷ সমকামীদের অধিকার বিষয়ক এক প্যানেলেও ছিল উপচে পড়া ভিড়৷
ছবি: DW/A. Islam
লেখিকার অটোগ্রাফ
ফ্রিডম বুকফেয়ারে তানবীরা তালুকদারের ‘একদিন অহনার অভিবাসন’ উপন্যাসটি প্রদর্শন করা হয়৷ ইউরোপে এক বাঙালি নারীর জীবনসংগ্রাম নিয়ে লেখা উপন্যাসটিতে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন তানবীরা৷
ছবি: DW/A. Islam
বইমেলায় সুলতানা কামাল
দ্য ফ্রিডম বুকফেয়ারে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে দ্য হেগ শহরে আসেন মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল৷ তিনি বাংলাদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা রক্ষায় সরকারের আরো সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন৷
ছবি: DW/A. Islam
সোমালিয়ার কবিতা সন্ধ্যায় উপচেপড়া ভিড়
দ্য ফ্রিডম বুকফেয়ারে আয়োজিত সোমালিয়ার কবিতা সন্ধ্যায় ছিল উপচে পড়া ভিড়৷ বার্লিনে নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দারকে নিয়েও একটি কবিতা সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়৷ ডয়চে ভেলে অনুষ্ঠানটি ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে৷ সম্প্রচারটি দেখতে ক্লিক করুন উপরের ‘+’ চিহ্নটিতে৷
ছবি: DW/A. Islam
অভিজিৎ রায়ের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
২৬ ফেব্রুয়ারি ছিল বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী৷ এই দিনে তাঁর স্মরণে বিশেষ স্মরণসভার আয়োজন করা হয় ফ্রিডম বুকফেয়ারে৷ এতে সংগীত পরিবেশন করেন সারানা ইউসূফ৷ স্মরণসভাটির ভিডিও রয়েছে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায়৷ সেই ভিডিওটি দেখতে চাইলে ক্লিক করুন উপরের ‘+’ চিহ্নে৷
ছবি: DW/A. Islam
ফেসবুকে লাইভ সাক্ষাৎকার
ফ্রিডম বুকফেয়ার চলাকালে বাংলাদেশি ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্টদের বেশ কয়েকজনের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায়৷ বাকস্বাধীনতা বিষয়ক একাধিক আলোচনাও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷ সেগুলো পেতে ক্লিক করুন উপরের ‘+’ চিহ্নে৷