‘ব্ল্যাকআউট’ করেছে কয়েকটি ব্লগসাইট
৪ এপ্রিল ২০১৩সচলায়তন ব্লগের হোমপেজে লেখা রয়েছে, ‘‘সরকারের মৌলবাদতোষণ এবং ব্লগার গ্রেফতারের প্রতিবাদে সচলায়তন ব্ল্যাকআউট করছে আজ দুপুর ১২টা থেকে৷''
উন্মোচন ব্লগে লেখা, ‘‘ব্লগ ও ব্লগারদের নিয়ে ঘৃণ্য রাজনৈতিক খেলার অংশ হিসেবে ব্লগ বন্ধ করা এবং ব্লগারদের গ্রেপ্তার-নির্যাতনের প্রতিবাদে উন্মোচন বন্ধ রাখা হয়েছে৷''
এই দুটি ছাড়া আর যেসব সাইটে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে সেগুলো হলো: আমারব্লগ, মুক্তাঙ্গন, মুক্তমনা, নাগরিকব্লগ, আমরাবন্ধু, চতুর্মাত্রিক, ক্যাডেট কলেজ ব্লগ, সরব ও ইস্টিশন৷
আমার ব্লগের অন্যতম অ্যাডমিন সুশান্ত দাশ গুপ্ত ফেসবুকে লিখেছেন, ব্লগার ও ফেসবুক ব্যবহারকারীরা জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্র উন্মোচন করে সরকারকে সাহায্য করে এসেছে এতদিন৷ এবার ব্লগ সাইট বন্ধ করে দেয়ায় সরকার বুঝবে ব্লগারদের দাম আছে কি নেই৷
এছাড়া তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে সরকার কিছুই করতে পারেনি বলেও লিখেছেন তিনি৷ তাঁর মতে, ‘‘ব্লগাররাই বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করেছে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ দলিল ও ছবি৷
‘‘ব্ল্যাকআউটের মাধ্যমে সরকারক ম্যাসেজ দেয়া হবে, আমরা এতোদিন ব্লগে কি করেছি৷ সবগুলো ব্লগ যে একসঙ্গে আছে সেই বার্তাটাও যাবে এর মাধ্যমে৷''
তবে সুশান্তের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন ‘আরন্যক নীলকণ্ঠ'৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে ব্ল্যাক আউটে যাওয়া ব্লগসাইটগুলোর নিয়ন্ত্রকবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন, ‘‘...যখন ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার আগে হেফাজতের সাথে বৈঠক করে, তখন কিভাবে সরকার ব্লগের অনুপস্থিতি অনুভব করবে?''
তিনি মনে করেন, এই ব্লাকআউট কর্মসূচিটা অপ্রয়োজনীয়, এটা প্রতিবাদ নয়৷ প্রতিবাদ করতে হলে ব্লগে আরও গলা ছেড়ে লেখা উচিত বলে তিনি মনে করেন৷ প্রয়োজনে ব্লগারদের রাস্তায় নামারও পক্ষে তিনি৷ ‘‘...যেখানে ব্লগই আমাদের স্বাধীনতা প্রকাশের জায়গা সেখানে ওটা বন্ধ করে প্রতিবাদ হতে পারে না...মুখ খোলা রাখার অধিকার আদায়ের কর্মসূচি হিসেবে মুখ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করতে চাই না, চিৎকার করে প্রতিবাদ করতে চাই৷''