বেঙ্গালুরুর সঙ্গে লখনউয়ের ম্যাচ ছিল। ম্যাচে লখনউয়ের একটা করে উইকেট পড়েছে, আর বিরাটের আগ্রাসী মনোভাব তত বেশি হয়েছে। লখনউয়ের শেষ ব্যাটার নবীন উল হক আউট হওয়ার পর তো বিরাট মাঠে তার টুপি ছুঁড়ে ফেলে উল্লাস প্রকাশ করেন। লখনউ প্লেয়াররা যেখানে বসেছিলেন, সেদিকে তাকিয়ে তাদের চুপ করে থাকার ইঙ্গিত দেন। তাতে খারাপ লাগে নবীনের।

ম্যাচ শেষ হওয়ার পর নবীন কথা বলেন বিরাটের সঙ্গে। সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। এরপর গৌতম গম্ভীর এগিয়ে আসেন। বিরাটকে কিছু বলেন। বিরাটও জবাব দেন। দুজনের কথার সুর চড়তে থাকে। দুই পক্ষের বাকি প্লেয়াররা তাদের সরিয়ে দেন। বিরাটকে সরিয়ে নেন অধিনায়ক দুপ্লেসি। বিরাট ও গম্ভীর দুজনেই দিল্লির প্লেয়ার। কিন্তু তাদের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। আগেও তাদের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে।

এর আগে দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচের পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরাটের বিরোধ সামনে এসেছিল। সেবারও একটি ক্যাচ নিয়ে কড়া চোখে সৌরভ দিল্লির বেঞ্চের দিকে তাকিয়েছিলেোন বিরাট। ম্যাচের শেষে হাত মেলানোর পর্ব যখন আসে, তখন বিরাটকে টপকে পরের প্লেয়ায়ের সঙ্গে হাত মেলান সৌরভ।

ক্রিকেট মাঠে বিরাটের উত্তেজনা ও আগ্রাসী মনোভাব আগেও দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। নানা ধরনের মুখভঙ্গি ও শরীরের ভাষায় তার মনোভাব ও উত্তেজনা সামনে আনেন বিরাট। অধিনায়ক থাকার সময় তো তা তুঙ্গে উঠেছিল।

আইপিএল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার পর বিরাট কোহলির পুরো ম্যাচ ফি কেটে নিয়েছেন। এর আগেও দলের বোলিং রেট কম হওয়ায় বিরাটকে জরিমানা করা হয়েছিল। বিরাট তখন অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

লখনউয়ের মেন্টর গৌতম গম্ভীরের পুরো ম্যাচ ফি কেটে নেয়া হয়েছে। আর আফগানিস্তানের ক্রিকেটার নবীনের ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেয়া হয়েছে।

আইপিএলে এখন পয়েন্টের হিসাবে এক নম্বরে আছে গুজরাট টাইটানস। তারা আট ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে। রাজস্থান, লখনউ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব সকলেই নয় ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট পেয়েছে। বেশি রানরেটের কারণে তৃতীয় স্থানে আছে লখনউ এবং বেঙ্গালুরু পাঁচ নম্বরে। কেকেআর আট নম্বরে ও দিল্লি একেবারে শেষে। উপরের ছবিটি গুজরাট ও দিল্লির ম্যাচের।