1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভবনের দেওয়ালই যখন শিল্পীর ক্যানভাস

৩ অক্টোবর ২০১৯

চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, শিল্প নানা কারণে অনেকেরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে৷ কিন্তু প্রকাশ্যে বড় আকারের শিল্পকর্ম উপেক্ষা করা সহজ নয়৷ বার্লিনের দুই শিল্পী এমনভাবেই সাধারণ মানুষকে শিল্প সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করছেন৷

ছবি: DW

যে চিত্রকর্মের দর্শক সাধারণ মানুষ

02:43

This browser does not support the video element.

ইয়াকব বার্ডু ও হলগার ভাইসফ্লোগ ‘ইনারফিল্ডস' নামের শিল্পীসংঘের সদস্য৷ প্রায় ১০ বছর ধরে তাঁরা বাড়ির দেওয়ালকে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করে বিশালাকার, রঙিন সব ছবি সৃষ্টি করেন৷ তাঁদের সরঞ্জামের আকারও ছোট নয়৷ ভাইসফ্লোগ বলেন, ‘‘এগুলি আমাদের প্রিয় ‘সারপ্রাইজ ব্রাশ'৷ ক্যানভাসের উপর একই কাজ করলে ছোট্ট মিনি ব্রাশের প্রয়োজন হতো৷'' 

মানুষের জীবনে ডিজিটাল বিপ্লবের প্রভাবই তাঁদের শিল্পের বিষয়বস্তু৷ হলগার ভাইসফ্লোগ ভবনের বিশাল দেওয়ালকে মিউরালে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ ও দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করেন৷ ফ্রাইবুর্গ শহরে এমন এক দৃষ্টান্ত রয়েছে৷ হলগার ভাইসফ্লোগ মনে করেন, ‘‘এমন ছবি আঁকার সুযোগ সমাজের সামনে আমাদের অভিব্যক্তি তুলে ধরার বিশাল দায়িত্বও এনে দেয়৷ অনেক মানুষের সমাগম হয়, এমন জায়গায় কিছু সৃষ্টি করার সুযোগ পেলে সমাজের উন্নতির লক্ষ্যে টেকসই কিছু করার দায়িত্ব এসে যায়৷ তা না হলে সেটি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়৷''

কয়েক সপ্তাহ আগে ফিরে তাকানো যাক৷ দুই শিল্পীই বার্লিনে বসবাস করেন ও সেখানেই কাজ করেন৷ গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে তাঁদের আলাপ হয়েছিল৷ তখন দুজনেই গ্রাফিটি স্প্রেয়ার ছিলেন৷ সবসময়ে আইন মেনে তাঁরা সৃষ্টির কাজ করেন নি৷ হলগার ভাইসফ্লোগ বলেন, ‘‘আসলে নব্বইয়ের দশকের পর থেকে আমাদের আবেগের পরিবর্তন হয় নি৷ শুধু একটি ছোট রূপান্তর ঘটেছে৷ সে সময়কার শখ ও আবেগ আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে৷ এখন আমাদের এমন সৃষ্টির অনুমতি রয়েছে৷ কেউ আর আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করে না৷''

দেওয়ালের উপর সঠিক মাপ নিশ্চিত করতে খসড়ার উপর একটি গ্রিড বা খাঁচা বসানো হয়৷ ফ্রাইবুর্গের মিউরাল সৃষ্টি করতে ৪ দিনে ৬ লিটার রং ও ১০ ক্যান স্প্রে পেন্টের প্রয়োজন হয়েছে৷ সৃষ্টিকর্মটি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে এর নানা ব্যাখ্যা হতে পারে৷ ইয়াকব বার্ডু বলেন, ‘‘আমরা মানুষের কাছে পৌঁছানোর আশা রাখি৷ কিন্তু আমরা শিক্ষকের ভূমিকা পালন করতে চাই না৷ আমরা মানুষের চলার পথে এমন পাথর রাখতে চাই, যাতে ধাক্কা খেয়ে তাদের মন খুলে যায়৷''

আর্টিফিশিয়ার ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে মিউরালের মাধ্যমে ইনারফিল্ডস গোষ্ঠী সেই লক্ষ্যই পূরণ করতে চায়৷ বিশাল আয়তনের কারণেই মানুষের পক্ষে সেটি উপেক্ষা করা অসম্ভব৷

প্রতিবেদন: পিয়ের প্রেচ/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ