দলনেত্রীর জন্য নিজের আসন ছেড়়ে দিলেন তৃণমূলের দীর্ঘদিনের নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন। তারপর শোভনদেব জানান, দলনেত্রীর জন্যই তিনি আসনটা খালি করছেন। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে বিজেপি-র তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়েছিলেন শোভনদেব।
মমতা এবার সামান্য ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে হেরেছেন। তার একদা লেফটানান্ট শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। নিয়মানুযায়ী, ছয় মাসের মধ্যে তাকে কোনো আসন থেকে জিতে আসতে হবে। সেই প্রক্রিয়াই শুরু করলেন মমতা। এবার নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে। প্রার্থী মারা যাওয়ার কারণে রাজ্যের আরো দুইটি আসনেও উপনির্বাচন হবে।
ফল প্রকাশ হতেই কলকাতার রাস্তায় বাঁধ ভাঙা আনন্দে মেতে ওঠেন তৃণমূল সমর্থক এবং কর্মীরা।
ছবি: Syamantak Ghosh/DWতৃণমূলের জয় নিশ্চিত হতেই কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন কর্মী-সমর্থকরা। দলের পতাকা নিয়ে গান বাজিয়ে নাচ শুরু হয়ে যায়।
ছবি: Syamantak Ghosh/DWএরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বাইরে জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে ওঠে এই ছবি। মিডিয়া তখনো জানে না যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে হেরে গেছেন। সে বিষয়েই কি কথা বলছেন পিসি-ভাইপো?
ছবি: Syamantak Ghosh/DWকিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য প্রেস কনফারেন্স করে নন্দীগ্রামে হার স্বীকার করে নেন মমতা। একই সঙ্গে দুইশ-র বেশি আসন জেতার জন্য ভিকট্রি সাইন দেখান।
ছবি: Syamantak Ghosh/DWমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির গলি অপরিসর। হঠাৎই সেখানে পিপিই কিট পরা কিছু মানুষকে শবদেহ নিয়ে যেতে দেখা যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। পরে দেখা যায়, নকল শবদেহ সাজিয়ে উৎসবে অংশ নিয়েছেন তারা।
ছবি: Syamantak Ghosh/DWগোটা কলকাতাতেই দুপুরের পর থেকে মাইকিং শুরু করে পুলিশ। তৃণমূল কর্মীদের বলা হয়, করোনাবিধি মেনে উৎসব করতে হবে। এক জায়গায় বেশি লোক থাকতে পারবে না।
ছবি: Syamantak Ghosh/DWবিজেপি অফিসের সামনেও তৃণমূল কর্মীরা উৎসব শুরু করেন। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা ঘিরে দেয়।
ছবি: Syamantak Ghosh/DWকলকাতার রাস্তায় এভাবেই দলের জয় উদযাপন করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। তবে রোববার বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, করোনার সময় কোনো উদযাপন হবে না। করোনা চলে গেলে ব্রিগেডে বিজয়োৎসব হবে।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW শোভনদেবই পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের প্রথম বিধায়ক। তৃণমূল গঠিত হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে রাসবিহারী কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তিনি জিতেছিলেন।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই)