1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইলেকট্রিক গাড়ি আসছে...

ইউলিয়া হাইনরিশমান/এসবি২০ নভেম্বর ২০১৫

ইলেকট্রিক গাড়িকে ভবিষ্যতের পরিবহণ ব্যবস্থার মুশকিল আসান হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে৷ এই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জার্মানি এতকাল পিছিয়ে থাকলেও নতুন উদ্যমে কাজ চলছে৷ যাত্রীবাহী বাস থেকে শুরু করে রেসিং কার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে৷

USA Elektroauto Tesla Model S vorgestellt
ছবি: Reuters/L. Nicholson

ভবিষ্যতের পরিবহণ ব্যবস্থায় ইলেকট্রিক গাড়ি

This browser does not support the video element.

দেখতে ডিজেল-চালিত বাসের মতো মনে হলেও পুরোপুরি বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলে৷ জার্মানির মানহাইম শহরে গত জুন মাস থেকে এমন তিনটি বাস পথে নেমেছে৷ বাস স্টপেই দ্রুত ব্যাটারি চার্জের ব্যবস্থা রয়েছে৷ যাত্রীরা টেরও পান না৷ চালকও নিশ্চিন্ত থাকেন৷

কিন্তু এখনো বড় আকারে এমন বাস চালানোর সময় আসেনি৷ শুধু বিনিয়োগের অঙ্কই ছিল ৬০ লক্ষ ইউরোর বেশি৷ তবে প্রকল্পের প্রধানের আশা, কোনো একদিন ইলেকট্রিক বাস দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠবে৷ ই-বাস প্রকল্পের প্রধান সেবাস্টিয়ান মেঙেস বলেন, ‘‘এমন বাসের দাম খুবই বেশি, এখনো গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে৷ অর্থাৎ বাণিজ্যিকভাবে অন্য বাসের সঙ্গে এর তুলনা চলে না৷ তবে অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে চলেছে৷ তাছাড়া ব্যাটারি নিয়েও সমস্যা রয়েছে৷ এক্ষেত্রেও দাম অনেক কমবে বলে আমাদের আশা৷''

ভবিষ্যতের পরিবহণ ব্যবস্থায় ইলেকট্রিক গাড়ি

This browser does not support the video element.

কার্লসরুয়ে প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট এই ইলেকট্রিক বাস প্রকল্পে জড়িত৷ তাদের এই ল্যাবে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি তৈরি হয়৷ ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য ব্যাটারির দাম কম রাখা এবং একবার চার্জ দিয়ে আরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করাই হলো লক্ষ্য৷ তবে এশিয়ার তুলনায় জার্মানি এখনো এক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে৷

ইয়র্গ কাইসার অনেক বছর ধরে এক জার্মান ব্যাটারি কোম্পানির জন্য কাজ করেছেন৷ কিন্তু সেই কোম্পানি চলতি বছর বন্ধ হয়ে গেছে৷ রসায়নবিদ ইয়র্গ কাইসার বলেন, ‘‘২০১৫ সালে মনে হচ্ছে, যে সেল টেকনোলজির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় ইউরোপ অনেক পিছিয়ে রয়েছে৷ লিথিয়াম আয়ন প্রযুক্তির গুরুত্ব বুঝতে জার্মানিতে অনেক সময় লেগেছে৷ তারপর পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারি সাহায্যে অনেক প্রকল্প শুরু হয়েছে৷ তবে শুধু এই পদক্ষেপে কাজ হয়নি৷''

শহরের ভেতরে ভালো চলে ইলেক্ট্রিক কার

04:18

This browser does not support the video element.

বিজ্ঞানী ও তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা সেইসঙ্গে ইলেকট্রিক গাড়ির সফটওয়্যার আরও উন্নত করার চেষ্টা করছেন৷ তাঁরা ব্যাটারির অবস্থা এবং চার্জিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছেন, যেমনটা এতকাল সম্ভব ছিল না৷ এই প্রকল্প সার্বিকভাবে ইলেকট্রোমোবিলিটি-র অগ্রগতি ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ সফটওয়্যার ডেভেলপার টোমাস কচেনরয়টার বলেন, ‘‘একদিকে এই তথ্য ক্রেতাদের জন্য প্রয়োজনীয়৷ ব্যাটারি কতটা চার্জ হয়েছে, তিনি সেটা জানতে চাইবেন৷ তিনি তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাইবেন৷ জানতে চাইবেন, এক চার্জে গাড়ি কত কিলোমিটার চলবে৷ পরের দিনও চার্জ পুরো থাকা চাই৷ এছাড়া গাড়ি ভাড়া দেয় যে কোম্পানি, তাদেরও ব্যবসায়িক স্বার্থ এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে৷''

কার্লসরুয়ে প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা ভবিষ্যতের ইলেকট্রিক গাড়ির ডেভেলপার হতে পারেন৷ তাঁরা একটি ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার তৈরি করে ‘ফর্মুলা ই' আন্তর্জাতিক ছাত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন৷

শুধু মজা ও দ্রুত গতির রোমাঞ্চ নয়, ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের ইলেকট্রোমোবিলিটির জনক হিসেবে দেখতে চান৷ কনস্টানটিন গেয়ার্ৎস বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, ‘ফর্মুলা স্টুডেন্ট' ও ‘ফর্মুলা স্টুডেন্ট ইলেকট্রিক' প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আগামী কয়েক বছরে ইলেকট্রোমোবিলিটির ক্ষেত্রে কী সম্ভব, তা পরীক্ষা করা যায়৷ অনেক স্পনসর আমাদের কাজে বিনিয়োগ করছে৷ আমাদের ও ইলেকট্রিক গাড়ির প্রতি তাদের আস্থা রয়েছে৷ কে জানে, আমরাই হয়ত আগামী কয়েক দশকে জার্মানির রাস্তায় ই-কারের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছি৷''

এবার রেসিং ট্র্যাকে নামার পালা৷ খুব কম চালকই এই গাড়ি চালানোর অনুমতি পান৷ কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি ইঞ্জিন বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে৷ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে চলতে পারে এই রেসিং কার৷

এই উদ্যোগ সার্থক হয়েছে৷ গত বছর তাদের ই-কার নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা ‘ফর্মুলা ই' প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেছেন৷ এই তো সবে শুরু!

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ