ভবিষ্যতের শ্রেণিকক্ষ
২৩ নভেম্বর ২০১২শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা যে টেবিলে বই খাতা রাখে ভবিষ্যতে সেখানে থাকবে কম্পিউটার স্ক্রিন৷ যাকে বলা হচ্ছে ‘স্মার্টডেস্ক'৷ এই ডেস্কের স্ক্রিন বা পর্দা ঘিরে থাকবে চার পাঁচজন শিক্ষার্থী৷ তারা স্ক্রিনের উপর ঝুঁকে পড়ে হাতের আঙুল দিয়ে নাড়াচাড়া করবে৷ এভাবেই শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করবে জটিল সব গাণিতিক সমস্যার৷ ওদিকে শিক্ষক তার নিজের কম্পিউটারে বিভিন্ন গ্রুপের শিক্ষার্থীদের যাবতীয় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন৷ প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের পরামর্শও দিতে পারবেন৷ সবগুলো স্মার্টডেস্ক যুক্ত থাকবে একটা স্মার্টবোর্ডের সঙ্গে৷
মোটামুটি এই হলো ভবিষ্যতের শ্রেণিকক্ষের চেহারা৷ এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ব্রিটেনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক৷ এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক লিজ বার্ড৷ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কয়েকজন সফটওয়্যার ডেভলপার, যারা ‘মাল্টি-টাচ' ও ‘মাল্টি-ইউজার' স্মার্টডেস্ক তৈরি করেছেন এবং এর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন৷
গবেষণা দলের একটা প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘লার্নিং অ্যান্ড ইন্সট্রাকশন' নামক একটি সাময়িকীতে৷
তিন বছর ধরে আট থেকে দশ বছরের প্রায় চারশো শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন এই শিক্ষাপদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করা হয়৷
অধ্যাপক বার্ড বলছেন, শুধুমাত্র লেকচার শোনার চেয়ে নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান প্রদানের মাধ্যমে জ্ঞানার্জন প্রক্রিয়ায় উৎসাহ দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে৷ এ ছাড়া এর ফলে তাদের গাণিতিক দক্ষতায়ও অনেক উন্নতি দেখা গেছে৷ যেমন যারা স্মার্টডেস্ক ব্যবহার করেছে তাদের ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী একটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে৷ অন্যদিকে যারা চলমান পদ্ধতিতে নিজে নিজে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছে তাদের মাত্র ১৬ শতাংশ সফল হয়েছে৷
বার্ড বলেন, স্মার্টডেস্ক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা এক হয়ে যেভাবে নিজেদের মধ্যে জ্ঞান বিনিময় করতে পারে বর্তমান প্রক্রিয়ায় সেটা সম্ভব নয়৷
জেডএইচ / এসবি (রয়টার্স)